মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪

 মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা এই বিষয়ে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে। কিছু লোক বলে যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব আবার কিছু লোক বলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

কিন্তু আসলেই কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব? হ্যাঁ, অবশ্যই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। যা অনেক লোক বিশ্বাস করতে চায় না কিন্তু আসল ব্যাপার হল স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব, কিন্তু এর কিছু লিমিটেশন রয়েছে। 

যারা এই বিষয়টা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে ক্লিয়ার হতে পারবেন যে সত্যিই মোবাইল বা স্মার্টফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা। 

আর মোবাইল দিয়ে যদি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব হয় তাহলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন, কোন কোন বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত হবে, এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তো আমি আরেক বেশি ইন্ট্রোডাকশন বাড়াচ্ছি না, তো চলুন মূল কথায় ফিরে আসি।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা?

আচ্ছা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা সেটা জানার পূর্বে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর সংজ্ঞাটা আর একবার জেনে নেই, কেননা পরবর্তী সেকশনগুলো বুঝতে এটা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। সবথেকে গ্রহণযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং এর সংজ্ঞা নিচে দেয়া হল, 

ফ্রিল্যান্সিং হলো নিজের স্কিল এবং জ্ঞান ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে আয় করার একটি পদ্ধতি। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে সরাসরি কাজ না করে, বরং বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কনট্রাক্ট বা চুক্তিভিত্তিকভাবে কাজ করা হয়।

এখন আসি মূল কথায়, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা? অবশ্যই, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। মোবাইল এর মাধ্যমে যে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় সেটা অনেক জন অগ্রাহ্য করে, যা মোটেও সত্য নয় আবার সম্পূর্ণ মিথ্যাও নয়। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব তবে এক্সপার্ট লেভেলের সার্ভিস প্রোভাইড করা কখনো সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমন কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে আপনি চাইলে মোবাইল ব্যবহার করেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। 

আবার অনেকগুলো এমন সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে মোবাইল দিয়ে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনের মত সেক্টর গুলোতে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে এই কাজগুলো করতে পারবেন না কেননা এই কাজগুলো করার জন্য পিসি কিংবা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয়। 

আর মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজগুলো করা খুবই টাফ। তবে আপনি মোবাইল ব্যবহার করে কন্টেন্ট রাইটিং সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন যা আমরা নিচে আলোচনা করব। 

তবে সত্যি বলতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যা আপনাকে হয়তো আরো সঠিকভাবে বোঝাতে সক্ষম করবে যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা। আমার নিচের অংশে আগে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জেনে নেই। 

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?

চলুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেয়ার চেষ্টা করি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো সম্পর্কে

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সময় আপনি কয়েকটি স্পেশাল সুবিধা পাবেন যা আপনি পিসি কিংবা ল্যাপটপের মধ্যে বেশিভাগ সময় পাবেন না। সেই সুবিধা গুলো হলো:

১. পোর্টেবিলিটি: মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করা খুবই সহজ। এছাড়াও আপনি চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। আর মোবাইল যেহেতু সাইজে ছোট সেক্ষেত্রে আপনি পকেটে করেও যে কোন স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন এবং যেকোন স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন। 

২. প্রাথমিক খরচ কম: মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে পিসির তুলনায় কম খরচ হয়। আপনি চাইলে ২০-২৫ হাজার টাকার মধ্যেই একটি ভালো মানের মোবাইল কিনে ফ্রিল্যান্সিং শেখা শুরু করে দিতে পারবেন। 

৩. ইউজাবিলিটি: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো যে বিষয়টি সেটি হল আপনি নানা ধরনের সফটওয়্যার এবং অ্যাপস পাবেন যেগুলো আপনি খুব ইজিলি ব্যবহার করতে পারবেন। আর এছাড়াও আমরা সবাই কমবেশি মোবাইল ব্যবহার করতে জানি যে কারণে আপনাকে এক্সট্রা কোন নলেজ অর্জন করতে হবে না। 

৪. একাউন্ট ব্যাকআপ: যারা ফাইভার কিংবা আপওয়ার্কে কাজ করে তাদের প্রায় ৯০% মোবাইল ইউজ করে তাদের অ্যাকাউন্ট কে একটিভ রাখার জন্য। অর্থাৎ তাদের বেশি কমিউনিকেশন থেকে শুরু করে তাদের সার্ভিস ডেলিভারি করা পর্যন্ত মোবাইল ইউজ করে। 

৫. ইন্টারনেট ব্যাকআপ কানেকশন: আমাদের মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ জন ই ফ্রিল্যান্সিং করে ওয়াইফাই কে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ আমাদের ইন্টারনেটের প্রধান সোর্স হলো ওয়াইফাই কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়াইফাই এর লাইন ডিস্টার্ব দেয় কিংবা অনেক সময় লাইন থাকে না।  অপরদিকে আপনি চাইলে মোবাইলে ওয়াইফাই ইউজ করতে পারেন আর wifi না থাকলে সে ক্ষেত্রে মোবাইলে আপনি যে কোন সময় সিম ব্যবহার করে ইউজ করতে পারবেন এখানে কোন ইন্টারনেটের প্রবলেম হবে না।

৬. ব্যাটারি ব্যাকআপ: যখন আপনি পিসিতে কাজ করতে যাবেন সেক্ষেত্রে যদি হঠাৎ করে কারেন্ট অফ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ অনেকটাই বৃথা হয়ে যায়। তবে মোবাইল ব্যবহার করে আপনি ব্যাটারির অনেকগুলো ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। এছাড়া পাওয়ার ব্যাংক থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি রয়েছে মোবাইল ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। এটা সামান্য সুবিধা হলেও কখনো কখনো এটা অনেক বড় আকার ধারণ করে বাংলাদেশের মতো দেশে। 

মোবাইল ফ্রিল্যান্সিংয়ের অসুবিধা

১. সীমিত ক্ষমতা: মোবাইল ডিভাইসে কম্পিউটারের তুলনায় কম পারফরম্যান্স প্রদান করে থাকে, যার কারণে বড় বড় কাজগুলো সহজে করা যায় না। আর তুলনামূলক ভালো হবে কাজ করা কখনো সম্ভব নয়।

২. সাইকোলজিকাল ফ্যাক্ট: রিসেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীরা একটি জিনিসের উপর তাদের এট্রাকশন ধরে রাখতে পারেনা। এছাড়াও রিপোর্ট গুলো ভালোভাবে রিড করে দেখা যায় যে, মোবাইল ইউজারদের তুলনায় ল্যাপটপ ইউজারদের প্রোডাক্টিভিটি তুলনামূলক বেশি। 

৩. ছোট স্ক্রীন: মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিন ছোট হয়ে থাকে, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে এবং অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। 

৪. টাইম কনজিউমিং: মোবাইল দিয়ে যেগুলো কাজগুলো আপনি দীর্ঘক্ষণ ধরে করবেন সেই কাজগুলো আপনি পিসির মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন। অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করতে গেলে আপনাকে তুলনামূলক অধিক সময় ব্যয় করতে হয় ল্যাপটপ ও পিসি তুলনায়। যেটা আমার মতে অনেক বড় একটি প্রবলেম ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে।

৫. নিরাপত্তা: মোবাইল যেহেতু একটি ছোট ডিভাইস যা যে কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে মোবাইল চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর একবার যদি আপনার মোবাইল হারিয়ে যায় কিংবা চুরি হয় সে ক্ষেত্রে আপনার যাবতীয় অর্জন গুলো এক নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। আর মোবাইলের মাধ্যমে তুলনামূলক বেশি তথ্য এবং প্রাইভেসি ক্ষুণ্ণ হয়ে থাকে যার ফলে আপনার আইডেন্টিটি প্রাইভেসির ওপর অনেক প্রভাব রাখতে পারে।

এগুলো হচ্ছে উপরের তুলনামূলক সুবিধা অসুবিধা মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে। এছাড়াও আরো অনেক জনের মধ্যে অনেক ধরনের সুবিধা অসুবিধা থাকতে পারে এগুলো অস্বাভাবিক নয়। তবে আমার মনে হয় যে এগুলো মেজর প্রবলেম এবং বেনিফিট। 

আচ্ছা ধরে নেন এখন আপনি মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নিলেন। এর পরবর্তী কাজ কোন ধরণের কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব সেগুলো খুজে বের করা, এটি কিভাবে করবেন তা আমরা নিচের অংশ আলোচনা করব।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন ধরণের কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব?

মোবাইলের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সেক্টর হয়েছে যেগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে এর মধ্যে থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সেক্টর বা কাজের কথা নিয়ে আলোচনা করব। মোবাইল ব্যবহার করে যে সব সেক্টরে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন সেগুলোর লিস্ট ধারাবাহিক আকারে নিচে দেয়া হল:

১. ইউটিউবিং

ইউটুবিং, ইউটিউব,মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার সবথেকে জনপ্রিয় সেক্টর গুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ইউটিউবিং। তবে অনেকজন ইউটিউবিংকে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে রাখতে চাই না। 

কিন্তু আমরা কিছু পূর্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছি যেখান থেকে আমরা সরাসরি ক্লিয়ার যে ইউটিউবিং এক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং এর অংশ। কেননা ইউটিউবিং করার জন্য কারো আন্ডারে কাজ করতে হয় না এবং এখানে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা যায়। 

আপনি ইউটিউবিং করার জন্য যেকোনো ধরনের মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন তবে ভালো পারফরমেন্সে মোবাইল ফোন হলে ভালো হয়। কেননা ভাল ফোন না থাকলে আপনি সহজেই ভালো মানের ভিডিও ধারণ করতে পারবেন না, এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে এডিটিং করাও খুব একটা সহজ হবে না। 

আপনি আপনার ফোনের সাধারণ ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করতে পারেন। আর মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনি চাইলে kinemaster, Filmora বা পাওয়ার ডিরেক্টর এর মতো সফটওয়্যার গুলো ইউজ করতে পারেন। প্রয়োজনীয় থাম্বেল বানানোর জন্য Canva ব্যবহার করতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাজ মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করেন এবং আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে ধৈর্য থাকে তাহলে খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে সক্ষম হবেন। 

আর একবার আপনার ভিডিও ভাইরাল করতে পারলে এবং সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলে আপনি অটোমেটিক্যালি এই সেক্টরে ভালো ট্রাকে আসতে পারবেন।  ইউটিউব থেকে যে শুধুমাত্র অ্যাড_/সেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করা যায় তা কিন্তু নয় এর পাশাপাশি আপনি স্পন্সারশিপ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত ইনকাম সোর্স সাথে যুক্ত হতে পারেন। 

বর্তমানে মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবিং করে অনেকজন সফল ফ্রিল্যান্সারে পরিণত হয়েছে যা আপনি ইউটিউবে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। আরে ইউটিউবিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং কিভাবে কাজ করতে হয় সে সম্পর্কে জানার জন্য ইউটিউব এর বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন। 

২. ব্লগিং

ব্লগিং, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ব্লগিং হলো একটি মাধ্যম যার সাহায্যে আপনি আপনার চিন্তাভাবনা, এক্সপেরিয়েন্স এবং নলেজকে অন্যের সাথে শেয়ার করতে পারবেন লেখালেখির মাধ্যমে। শুধু যে আপনি লেখালেখি করবেন কিংবা আপনার এক্সপেরিয়েন্স, চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন তা কিন্তু নয়। 

এখান থেকে আপনি একটি বিশাল কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন ও বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। 

আর যখন আপনি লেখালেখির মাধ্যমে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন অর্থাৎ আপনার অডিয়েন্স কে আকৃষ্ট করে আপনার ব্লগে নিয়ে আসবেন তখন তাদের কাছ থেকে আপনি একটি ইনকামের রাস্তা করে নিতে পারবেন। 

ব্লগিং বিষয়টা মূলত অনেক মজাদার, এখানে আপনি নিজের ইচ্ছামত লেখালেখি করতে পারবেন। আপনি এই মুহূর্তে যেখান থেকে আমাদের এই আর্টিকেলটা পড়তেছেন এটার মূলত একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট। ব্লগিং করার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়ে থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় ইনকামের সোর্স গুলো হল অ্যাড_/সেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর শীপ, গেস্ট পোস্টিং অপরচুনিটি, প্রোডাক্ট সেল, সার্ভিস সেল, ওয়েবসাইট ফ্লিপিং বা বিক্রি করার মাধ্যমে। 

কিভাবে একটি ফ্রিতে ব্লগ সাইট তৈরি করা যায় এই বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে আর্টিকেল লিখেছি যা আপনি পড়ে নিতে পারেন। আর ব্লগিং কি এবং কিভাবে করতে হয় এই বিষয়ে আমি একটি আর্টিকেল লিখেছি যে আপনি পড়ে নিতে পারেন। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আমরা ব্লগিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত এবং জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করব আমাদের এই ব্লগে সুতরাং আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকার চেষ্টা করবেন।

৩. কন্টেন্ট রাইটিং এন্ড কপিরাইটিং

কন্টেন্ট রাইটিং এন্ড কপিরাইটিং, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার আরেকটি জনপ্রিয় স্কিল হল কন্টেন্ট রাইটিং এন্ড কপিরাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং দুটিই লেখালেখি দক্ষতার সাথে সরাসরি জড়িত। যদিও এই দুটি বিষয়ের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যও রয়েছে। 

৩.১. কন্টেন্ট রাইটিং:

কন্টেন্ট রাইটিং কে সহজ ভাষায় আমরা লেখালেখি বলি। কিন্তু কনটেন্ট রাইটিং হল এমন এক ধরনের ধারাবাহিক লেখা যা ইনফরমেটিভ, হেল্পফুল এবং অডিয়েন্সদের জন্য ভ্যালু প্রদান করে। কনটেন্ট রাইটিং এর মূল উদ্দেশ্য হল অডিয়েন্সদেরকে বিশেষ কোনো বিষয়ে জানানো, তাদেরকে কোন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সহায়তা করা কিংবা কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানো। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি এই মুহূর্তে আমাদের যে আর্টিকেলটা পড়তেছেন সেটা মূলত এক ধরনের কনটেন্ট রাইটিং এর অংশ অর্থাৎ আমরা এখানে আপনাদেরকে কিছু শেখানোর উদ্দেশ্যে লিখতেছি। 

৩.২. কপিরাইটিং

কপিরাইটিং হল এমন এক ধরনের লেখা যা অডিয়েন্সদেরকে কোন নির্দিষ্ট অ্যাকশন নিতে নিতে উৎসাহিত করে। সেটি যে কোন কিছু হতে পারে- যেমন কোন প্রোডাক্ট কেনা, কোন সার্ভিস ব্যবহার করা, বা কোন বিষয়কে সমর্থন করা। 

কপিরাইটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ, বিভিন্ন বিষয়কে এবং প্রোডাক্টকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইউজ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ ইমেইল লেখা, অ্যাডভার্টাইজিং এর জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা, ল্যান্ডিং পেজের জন্য লেখালেখি করা ইত্যাদি। 

আশা করি কনটেন্ট রাইটিং কি এবং কপিরাইটিং কি এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। এই লেখালেখি রিলেটেড কাজগুলো আপনি খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

আমি জানি বেসিক্যালি আমরা ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া মোবাইলের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ব্যবহার করে থাকি। আর সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা কত দ্রুত টাইপিং করতে পারি সে সম্পর্ক হয়তো আমাদের একটু আনুমানিক ধারণা রয়েছে। 

আপনি ঠিক একইভাবে টাইপিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে কনটেন্ট রাইটিং এবং কপিরাইটিং এর মত কাজগুলো করতে পারবেন। আর সব থেকে ভালো এখন হচ্ছে আমাদের মোবাইলের মধ্যে ভয়েস টাইপিং এর মত অসাধারণ ফিচার রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে লেখালেখি করতে পারবেন। 

এছাড়াও Google Docs, Notepad থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নোটপ্যাড রয়েছে কনটেন্ট রাইটিং করার জন্য। কনটেন্ট রাইটার হওয়া তুলনামূলক খুবই সহজ যদি ভালো একজন গাইডলাইন পেতে পারেন। কনটেন্ট রাইটিং এর মত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে মাসে আপনি লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন মোবাইল ইউজ করে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
মোবাইলের মাধ্যমে করা যায় এরকম সব থেকে সহজ ফ্রীল্যান্সিং কাজ হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেশন, ব্র্যান্ডিং এবং সেলস বৃদ্ধি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতেছে। 

আর বর্তমান সময়ে এটি দিনে দিনে অনেক প্রভাব বিস্তার করতেছে অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া রিলেটেড কার্যকলাপের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে হায়ার করতে হয়। 

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার মূলত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকএডইন ইত্যাদি ব্যবহার করে কোম্পানির অনলাইন কার্যকলাপ ও প্রোমোশন পরিচালনা করে। 

আর যেহেতু এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর অ্যাপ ভার্সন আমাদের মোবাইলে ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এই কাজগুলো আমাদের জন্য খুবই সহজ হয়ে যায়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রধান কাজ হল;

  1. বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং ম্যানেজ করা।
  2. এট্রাক্টিভ ও প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট তৈরি করা এবং পাবলিশ করা। (যেমন ক্যাপশন তৈরি করা ছবি, এডিট করা ইত্যাদি)
  3. কখনো কখনো কনটেন্ট পোস্ট করার সিডিউল তৈরি এবং ম্যানেজমেন্ট করা।
  4. অডিয়েন্সদের কমেন্টের উত্তর দেয়া এবং তাদের মেসেজের রিপ্লাই দেওয়া।
  5. বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের কার্যকারিতা ট্র্যাক করা এবং এনালাইসিস করা (যেমন; ইঙ্গেজমেন্ট মেট্রিক্স, রিচ এবং ওয়েবসাইট ট্রাফিক রিভিউ করা)।
  6. অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করা।
  7. কম্পিটিটারদেরকে এনালাইসিস করা।
  8. কোম্পানির যাবতীয় ডাটা এনালাইসিস করা এবং রিপোর্ট প্রদান করা। 

মূলত সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সবাই ইউজ করি সেক্ষেত্রের আমার মনে হয় না যে এই কাজগুলো খুব একটা কঠিন। যদি আপনি ধৈর্য সহকারে কাজ করতে পারেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হতে পারবেন।

৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ভার্চুয়াল assistant এর অর্থ হল অনলাইনে কাজের সহকারী। আমরা জানি প্রত্যেকটা অফিসে বড় বড় কর্মচারীর সাথে একজন সহকারী থাকে তার কাজকে সহজ করে দেয়ার জন্য। 

ঠিক একইভাবে অনলাইনে বড় বড় ব্যক্তিগণ, ফ্রিল্যান্সার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তাদের কাজকে সহজ করার জন্য এসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। 

বড় বড় ফ্রিল্যান্সার কিংবা প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছোট ছোট কাজ করার জন্য তাদের সহকারীকে নিয়োগ দেয়। এই সহকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মূলত প্রধান কাজ গুলো হল;

১. ক্লায়েন্টের সিডিউল এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট এ সাহায্য করা

২. বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ যেমন ইমেল লেখা, ইমেইলের রিপ্লাই দেওয়া এবং সেন্ড করা, বিভিন্ন ধরনের ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি রিলেটেড কাজ করে দেওয়া।

৩. ক্লায়েন্টের পার্সোনাল এবং বিজনেস রিলেটেড কার্যকলাপ পরিচালনা এবং ম্যানেজমেন্ট করা

৪. ক্লায়েন্টের কথা অনুযায়ী কাজ করা ইত্যাদি।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো কাজ রয়েছে যেগুলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রা করে থাকে। সহজ ভাবে বলতে গেলে, অনলাইনে একজন সহকারীর মত কাজ করতে হবে আপনাকে। 

এখন ক্লায়েন্ট আপনাকে কি ধরনের কাজ দেবে সেটা সম্পূর্ণ ক্লায়েন্টের উপর ডিপেন্ড করবে। এই ধরনের কাজগুলো মূলত মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব। 

তবে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে মোবাইলের দক্ষতার পাশাপাশি কমিউনিকেশন স্কিল এবং টেকনিকাল নলেজ অবশ্যই রাখতে হবে। 

৬. প্রুফ রিডিং এন্ড এনালাইসিং

প্রুফ রিডিং এন্ড এনালাইসিং, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
একটি লেখার যাবতীয় বানান থেকে শুরু করে অন্যান্য ভুল ডিটেক্ট করা এবং সেগুলোকে সংশোধন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে প্রুফ রিডিং বলা হয়।  মূলত বই, আর্টিকেল, ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এবং অন্যান্য লেখার কাজে ভুলত্রুটি শুধরে দেওয়া এবং লেখার কোয়ালিটিকে উন্নত করার জন্য প্রুফরিডার কে হায়ার করা হয়ে থাকে। 

এছাড়াও লেখার মধ্যে সামগ্রী বিষয়গুলোকে রিভিউ করা লেখার স্টাইলকে উন্নত করা এবং লেখাকে স্পষ্ট করার প্রক্রিয়ায় একটি অংশ হলো এনালাইসিস করা। প্রদানকৃত তথ্যের মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি রয়েছে কিনা, ব্যাকরণ, বানান, স্টাইল ইত্যাদি চেক করা একজন প্রুফরিডার এর প্রধান কাজ। 

যদি আরেকটু সহজ হয় বলতে যাই "প্রুফ রিডিং হল কোন একটি লেখাকে বিশুদ্ধ এবং ত্রুটিহীন তা নিশ্চিত করার একটি পদ্ধতি"। বিভিন্ন লেখক থেকে শুরু করে কনটেন্ট রাইটার এবং বিজনেস owner প্রুফ রিডারকে হায়ার করে থাকে। 

এছাড়াও বড় বড় প্রকাশনী বিভিন্ন সময়ে প্রুফ রিডারদেরকে হায়ার করে থাকে। আর প্রুফরিডিং কাজগুলো তুলনামূলক সহজ হয়ে থাকে যা মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব। 

আর এই ধরনের কাজগুলোকে সহজ করতে বর্তমানে Grammarly, ProWritingAid, Hemingway Editor এবং QuillBot এর মত সফটওয়্যার এবং টুলস রয়েছে। যা দিয়ে খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে প্রুফ রিডিং রিলেটেড কাজগুলো করা সম্ভব। 

৭. ট্রান্সক্রিপশন

ট্রান্সক্রিপশন, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ট্রান্সক্রিপশন হল অডিও বা ভিডিও ডকুমেন্ট কে টেক্সট আকারে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া। বিষয়টা একটু সহজ করে বললে আপনাদের কাছে ক্লিয়ার হবে কেননা আপনারা সবাই এই বিষয়ে এটার সাথে একবার হলেও পরিচিত হয়েছেন। 

আমরা যখন কোন ইউটিউব ভিডিও দেখি তখন আমরা ভিডিওর সাথে সাথে নীচে কিছু লেখা দেখতে পারি যা ভিডিও চলাকালীন সময় টেক্সট আকারে ভিডিওর উপর দেখা যায় এগুলো কেই বলা হয় ট্রান্সক্রিপশন। 

অর্থাৎ ভিডিওর মধ্যে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে তার টেক্সট আকারে নিচে দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই ধরনের ট্রান্সক্রিপশন লেখা হয়ে থাকে। 

মূলত বড় বড় প্রতিষ্ঠান, youtube চ্যানেল এবং ব্যক্তিরা তাদের কথাগুলোকে সবার সামনে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নিজ ভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষাতেও যেন প্রসার হয় এজন্য এই ধরনের ট্রান্সক্রিপশন ইউজ করে। 

ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজগুলো মূলত সহজ হয়ে থাকে যা যে কেউ করতে পারবে। ট্রান্সক্রিপশন রিলেটেড কাজগুলো করার জন্য একটি ভাল মানের হেডফোন, মাইক্রোফোন এবং ট্রান্সক্রিপশন সফ্টওয়্যার (যেমন Express Scribe, TranscribeMe, otter.ai) প্রয়োজন হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। 

আর এই ধরনের কাজগুলো মোবাইল এর মাধ্যমেই করা যায়। তবে ট্রান্সক্রিপশন কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই ভালো টাইপিং স্পিড থাকতে হয়।

৮. ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরটা মূলত অনেক বড়, এর মধ্যে কিছু অংশ রয়েছে যেগুলো মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব। মোবাইলের মাধ্যমে সবথেকে জনপ্রিয় যে সেক্টর গুলোতে কাজ করা সম্ভব তার অন্যতম একটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রায় অনেক কাজ করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, instagram মার্কেটিং থেকে শুরু করে আরো অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেগুলো মোবাইল দ্বারা করা সম্ভব। আমরা চাইলে মোবাইল ব্যবহার করে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সেক্টরগুলোতে কাজ করতে পারব। 

যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব তবে কিছু লিমিটেশন থেকেই যায়, ফেসবুক মার্কেটিং ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুলো খুব সহজেই মোবাইলের দ্বারা করা সম্ভব। তবে পেইড মার্কেটিং গুলো মোবাইল দিয়ে না করায় উত্তম। 

আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সেক্টর গুলো দিনে দিনে অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে যার ফলে ভবিষ্যতে এই সেক্টরগুলো থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি ভালো সম্ভাবনাময় কেরিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশিরভাগ কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে ভালোভাবে করা সম্ভব নয় কিন্তু বেসিক লেভেলের কাজগুলো করা সম্ভব। 

৯. সিম্পল গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কিছু সহজ কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি মোবাইলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বর্তমানে অনেকগুলো সফটওয়্যার এবং টুলস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই লোগো জেনারেশন থেকে শুরু করে ইলাস্ট্রেটর এবং থ্রিডি ইমেজ তৈরি করা সম্ভব।

এছাড়াও যেহেতু বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যুগ সে ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যবহার করে এআই ইউজ করে খুব সহজেই মোবাইল দিয়েই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক কাজ করা সম্ভব। 

এছাড়াও কাস্টম ডিজাইন এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায় মোবাইল ফোনের মধ্যে। 

আর সবথেকে জনপ্রিয় ব্যানার এবং ইমেজ এডিটিং ওয়েবসাইট টুলস Canva বর্তমানে অ্যাপস ভার্সন পাওয়া যায় যা দিয়ে ঠিক একই ধরনের কাজ করা যায়। 

তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেশিরভাগ কাজ ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে হয়। তবে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব এর মধ্যে রয়েছে ফটো এডিটিং থেকে শুরু করে অ্যাট্রাক্টিভ ইমেজ তৈরি করা। বিভিন্ন ধরনের ইমেজ এবং ছবি তুলে সেগুলোকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সেল করা ইত্যাদি রিলেটেড কাজগুলো করা সম্ভব। 

১০. কাস্টমার সাপোর্ট

কাস্টমার সাপোর্ট,মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের কাস্টমারদেরকে নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস দেয়ার জন্য তাদের কাস্টমার সাপোর্ট রাখে। কাস্টমার সাপোর্টারের প্রধান কাজ হল কাস্টমারের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া এবং তাকে কোন একটি নির্দিষ্ট একশন নিতে সাহায্য করা। 

এছাড়াও কখনো কখনো টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া সাপোর্ট, ইমেইল সাপোর্ট এবং চ্যাট সাপোর্ট দিতে হয়। এই কাজগুলো তুলনামূলক অনেক সহজ যা মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব কোন অসুবিধা ছাড়া। 

বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠান এবং সার্ভিস প্রধান কারী প্রতিষ্ঠান তাদের অডিয়েন্সদের কে ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিতে এবং নিজেদের প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য কাস্টমার সাপোর্ট নিয়োগ দেয়। 

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে রিলেটেড অনেক কাজ পাওয়া যায় যা দিয়ে খুব সহজেই আয় করা সম্ভব। তবে এই রিলেটেড কাজগুলো করতে হলে অবশ্যই আপনাকে b2c অর্থাৎ বিজনেসের সাথে কাস্টমারের সম্পর্ক রিলেটেড জ্ঞান থাকতে হবে। 

আর বর্তমানে এই ধরনের কাজগুলো অনলাইনে অনেক পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ও অনেক সময় তাদের কাস্টমার সাপোর্ট নিয়োগ দেয় রিমোট জব আকারে।

 সুতরাং আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে কাস্টমার সাপোর্ট প্রদান করা ভালো সেক্টর হতে পারে।

উপরে আলোচিত সেক্টর ছাড়াও আরো অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলোতে আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তবে সব সময় মাথায় রাখবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার কিছু লিমিটেশন থেকেই যায়। তবে উপরে যে কোন একটি সেক্টরে আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। 

মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব?

আমরা উপরের অংশে দশটি সেক্টর নিয়ে কথা বলেছি যেগুলোতে স্মার্ট ফোন দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে এখানে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে এসব স্কিল আমি কিভাবে মোবাইল দিয়ে শিখব। আসুন এই বিষয়টি একটু সংক্ষেপে জেনে নেয়ার চেষ্টা করি।

বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের কোর্স করাচ্ছে। যেগুলো থেকে আপনি মোবাইল ব্যবহার করে ও সেই স্কিল গুলো অর্জন করতে পারবেন। 

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে বর্তমানে ইউটিউব। Youtube এর মধ্যে আপনি যে কোন বিষয়ে যে কোন রিলেটেড ভিডিও পেয়ে যাবেন এবং সেই রিলেটেড স্কিল ডিভলোপ করতে পারবেন। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করতে হয় অথবা কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে হয়, কিভাবে ভিডিও তৈরি করতে হয়, কিভাবে ইউটিউব ভিডিও এডিট করতে হয় মোবাইল দিয়ে এই রিলেটেড যে কোন বিষয়ে জানতে চান সে ক্ষেত্রে ইউটিউবে সার্চ করলেই হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন, যেগুলো থেকে আপনি একটি প্রিমিয়াম কোর্সের থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবেন। 

তবে এই জন্য আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে এবং নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ রাখতে হবে। আপনি যত বেশি চেষ্টা করবেন এবং রিসার্চ করবেন আপনি তত বেশি শিখতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করতে পারেন, ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং কি এই রিলেটেড আর্টিকেল আমি ইতিমধ্যে একবার লিখেছি আপনি চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন। 

মোবাইল দিয়ে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনার কি কি দক্ষতা প্রয়োজন?

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে স্পেশালি যখন আপনি মোবাইল ইউজ করবেন। আমার মতে যে দক্ষতা গুলো অবশ্যই রাখতে হবে সেগুলো হলো;

১. ধৈর্য: মোবাইল ইউজ করুন আর ল্যাপটপ ইউজ করুন তাতে যায় আসে না কিন্তু আপনার যদি পর্যাপ্ত ধৈর্য না থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আপনার জন্য নয়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি একদিন অথবা এক মাসে এক লাখ টাকা আয় করবেন তা কিন্তু নয়। আপনার প্রথম এক হাজার ইনকাম করতে হয়তো এক থেকে দেড় বছর লাগতে পারে এটাই স্বাভাবিক। কেউ কেউ অল্প সময়ে সফল হয়ে যায় আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করার পরেও সফল হতে পারে না। এজন্য এই সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ধৈর্য রাখতে হবে। স্পেশিয়ালি মোবাইল ইউজারদের জন্য কেননা এখানে অনেক লিমিটেশন রয়েছে যা আপনাকে ওভারকাম করতে অনেক সময় লাগবে। এছাড়াও মোবাইলে অনেক কাজ অনেক ধীরগতিতে করতে হয় যার ফলে অনেক কাজ করতে দীর্ঘ সময় লাগে এজন্য পর্যাপ্ত ধৈর্য রেখে কাজ করা ফিন্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি।

২. রিসার্চ করা: বর্তমান সময়ে অনলাইন সেক্টরের সমস্ত কিছু প্রতিনিয়তই আপডেট হচ্ছে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফলতা হলে অবশ্যই রিসার্চ এর মধ্যে থাকতে হবে এবং সব সময় নতুন নতুন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। ধরে নেন আপনি ইউটিউব করতেছেন সে ক্ষেত্রে ইউটিউবের নতুন নতুন অ্যালগরিদম নিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ রাখতে হবে এবং সেই রিলেটেড কাজ করতে হবে। নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে এবং নিজের স্কিলকে ডিভলপ করতে হবে। আপনি যত বেশি রিসার্চ করবেন তত নিজেকে শার্প করতে পারবেন এবং অন্যদের তুলনায় নিজেকে এগিয়ে নিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে রিসার্চ করার বিকল্প কোন কিছুই হতে পারে না, যদি নিজেকে সফল হিসেবে দেখতে চান।

৩. নিয়মিত কাজ করা: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে নতুনদের ছিটকে যাওয়ার সবথেকে বড় কারণ হচ্ছে নিয়মিত কাজ না করা এবং প্র্যাকটিস না রাখা। আপনি মোবাইল ইউজ করুন ল্যাপটপ ইউজ করুন তাতে যায় আসে না কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত কাজ না করেন তাহলে আপনি কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আর আপনি যখন নিয়মিত কাজ করবেন এবং প্র্যাকটিস করবেন তখন আপনি নতুন নতুন সমস্যার সাথে সম্মুখীন হবেন এবং সেগুলোকে সলভ করার মাধ্যমে নিজের স্কিলকে আরো আপডেট করতে পারবেন। আর আপনি যদি সারা জীবন ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড ভিডিও দেখে যান কিংবা পরেই যান তাতে যায় আসে না কেননা এগুলো কোন কাজে আসবে না যতক্ষণ না আপনি প্র্যাকটিস করবেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে যদি আপনি সামান্য কিছু শিখে থাকেন সেটাকেও প্র্যাকটিস করতে হবে। আমরা সবাই জানি "প্র্যাকটিস মেক এ ম্যান পারফেক্ট", সো ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন।

৪. সমস্যা সমাধানের কৌশল: যখন আপনি কোন একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে যাবেন তখন আপনি নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হবেন, সেটা যে কোন সেক্টরের হতে পারে। তবে সেই সমস্যাটা কি কিভাবে সলভ করতে হবে সেই দক্ষতা আপনার থাকতে হবে। সমস্যাগুলো সলভ করার জন্য আপনি বর্তমানে চ্যাট জিপিটিসহ আইটিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নিতে পারেন, ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন, যারা এই ফিল্ডে এক্সপার্ট তাদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। আপনি যত বেশি সমস্যা সম্মুখীন হবেন তাতে বেশি বিষয় জানতে পারবেন। আর সব সময় ইউনিক সলভিং মেথড নিয়ে কাজ করার ট্রাই করবেন।

৫. অ্যাপ সম্পর্কে ধারনা: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে সব থেকে বেশি সাহায্য করবে অনেকগুলো অ্যাপস। বর্তমানে অনলাইন প্লে স্টোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ পাবেন যেগুলো আপনি ইউজ করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলোকে সহজ করে নিতে পারবেন। আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাপ নিয়ে রিসার্চ করবেন যেন আপনি নতুন নতুন অ্যাপ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং সেইগুলো কিভাবে কাজ করে সেগুলো জানতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর প্রায় প্রত্যেকটি সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপস রয়েছে যেগুলো আপনি নিজের সুবিধার্থে ইউজ করতে পারেন। এই বিষয়টা অনেক সাহায্য করবে যদি আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের রূপান্তর হতে চান মোবাইল ইউজ করে। 

উপসংহার

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা এই নিয়ে অনেক পূর্বে থেকেই মতপার্থক্য রয়েছে। অনেক জনের মতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা মোটেও সম্ভব নয় আবার অনেক জনের মতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। তবে এখানে একটি কমপ্লিট রিসার্চ করার মাধ্যমে দেখা যায় যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব তবে হ্যাঁ এখানে কিছু লিমিটেশন থেকে যায়। ভালোভাবে এবং প্রফেশনালি কাজ করতে হলে অবশ্যই ল্যাপটপ কিংবা পিসির বিকল্প নেই। 

তবে আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি মোবাইল দিয়েও কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয় সেই রিলেটেড একটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

এছাড়া আমরা এমন কয়েকটি স্কিল নিয়ে আলোচনা করেছি যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। সো আপনারা শুধুমাত্র পড়েই বসে থাকবেন না কাজ করার চেষ্টা করুন আর কাজ করতে করতে নিজেই বুঝতে পারবেন যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব কিনা। 

তবে এতোটুকু ক্লিয়ার করতে চাই যে আপনারা এই মুহূর্তে যে আর্টিকেলটা পড়তেছেন সেটা আমি নিজেই মোবাইল দিয়ে লিখেছি। যদি আমি পারি তাহলে আপনারা পারবেন আমি এতটুকু আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারি। তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল করেছেন তাদের জন্য রইল আমার শুভকামনা এবং পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার জন্য থাকলো অনুরোধ। 

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url