ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস ২০২৪

আমরা অনেক কষ্ট করে ভিডিও তৈরি করি এবং তা ইউটিউবে পাবলিশ করি। কিন্তু আমাদের ভিডিওগুলো সঠিক মত সবার কাছে পৌঁছাতে পারেনা। যার কারণে আমাদের অনেক কষ্ট বৃথা হয়ে যায়। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে ইউটিউবে প্রবেশ করি তা আর অর্জন করা সম্ভব হয় না।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

 আপনি যদি একজন ইউটিউবার হন তাহলে আপনিও হয়তো এই সমস্যার মধ্যে কখনো না কখনো সম্মুখীন হয়েছেন। তখন আমাদের মাথায় একটি চিন্তা সব সময় আছে সেটা হল কিভাবে আমরা ইউটিউব ভিডিওকে ভাইরাল করব। 

মূলত এই সমস্যাটা সবার মধ্যে রয়েছে। যার কারণে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ইউটিউব ভিডিওকে ভাইরাল করা যায় অর্থাৎ সবার সামনে খুব সহজে ভিডিওকে নিয়ে আসা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

 এই আর্টিকেকে আমি এমন কিছু কৌশল এবং আইডিয়া আপনাদেরকে দিব। যা ফলো করে আপনারা খুব সহজেই আপনাদেরই ইউটিউব ভিডিও কে ভাইরাল করতে সক্ষম হবেন। 

কিভাবে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে হয় সেটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে বুঝতে হবে। আর্টিকেল কে খুব সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব যেন আপনারা সবাই ভালোভাবে বুঝতে পারেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনাদের আর ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে সমস্যা থাকে না। 

তাহলে চলুন অতিরিক্ত introduction না বাড়িয়ে মূল আর্টিকেল শুরু করি।

youtube ভিডিও ভাইরাল হয় কিভাবে?

যেহেতু আমরা ইউটিউব ভিডিও কে ভাইরাল করতে চাচ্ছি এর জন্য আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে যে ইউটিউব কিভাবে একটি ভিডিও কে সবার সামনে ভাইরাল করে। কারণ যখন আমরা একটি ভিডিও ভাইরাল করতে যাব তখন আমাদেরকে আগে প্রাথমিক বিষয়গুলোকে ক্লিয়ার করে নিতে হবে। 

আমরা যখন কোন নতুন জিমেইল ইউটিউব এর মধ্যে লগইন করি কিংবা ছদ্দবেশী মুড এ ইউটিউব ব্যবহার করি। তখন দেখি যে যে ভিডিওগুলো সব থেকে ট্রেন্ডিং এবং ভাইরাল সেগুলো আমাদের সামনে নিয়ে আসতেছে। যার ফলে আমরা সেগুলো আমরা বেশি পরিমাণে দেখতেছি। কিন্তু এটা হচ্ছে কিভাবে? 

আসলে আমরা যখন কোন একটি ভিডিও ইউটিউবে দেখি এবং সেটাতে লাইক এবং কমেন্ট করি। তখন ইউটিউবে আলগরিদম বুঝতে পারে যে সেই ভিডিওটার মধ্যে কিছু ইনফরমেশন আছে যার কারণে আমরা ভিডিও টাকে দেখতেছি। 

তখন ইউটিউব আলগরিদম সেই ভিডিওটাকে সবার সামনে ধীরে ধীরে উপস্থাপন করতে থাকে। আর যত বেশি মানুষ সেই ভিডিও দেখে এবং লাইক, শেয়ার করে সেই ভিডিও তত বেশি পরিমাণে অন্যদের সামনে চলে যায়। মূলত এই প্রক্রিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে। 

এই প্রক্রিয়া থেকে আমরা জানতে পারি যে একটি ভিডিওকে ভাইরাল করতে গেলে অবশ্যই প্রক্রিয়া অনুসারে কাজ করতে হবে। এখন কোন কোন প্রক্রিয়া কিংবা ট্রিকস অবলম্বন করলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।  

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার উপায় ২০২৪

Youtube ভিডিও ভাইরাল করতে হলে আপনাকে নিচের দেয়া সমস্ত বিষয়গুলোকে ভালোভাবে নিজের ভিডিওর মধ্যে ইউটিলাইজ করতে হবে। নিচের প্রত্যেকটা পদক্ষেপেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

সুতরাং মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন এবং বুঝার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি নিচের দেয়া নিয়ম গুলো ভালোভাবে ইউটিলাইজ করেন। তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক আংশিক বৃদ্ধি পাবে। 

১. সঠিক কিওয়ার্ড এবং টপিক নির্বাচন করতে হবে। 

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

ইউটিউবের ভিডিও ভাইরাল করার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় একটি বিষয় হলো সঠিক কিওয়ার্ড এবং টপিক। বর্তমানে ইউটিউবের জন্য অনেক ধরনের ফ্রি টুলস পাওয়া যায় এ ধরনের কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং টপিক সার্চ করার জন্য।

এখন প্রত্যেকটি টপিকের উপর লক্ষ লক্ষ ভিডিও রয়েছে ইউটিউব এর মধ্যে। এখন আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে জানতে হবে যে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে আপনার ভিডিও তাড়াতাড়ি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আপনি যদি সঠিকভাবে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ভিডিও ভাইরাল হওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে। যেই কিওয়ার্ডগুলো বর্তমানে খুব বেশি পরিমাণে সার্চ হচ্ছে সেই কীওয়ার্ড গুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

এতে করে কোন ব্যক্তি যদি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তখন সেই সার্চ রেজাল্টে আপনার ভিডিওটা শো করা হবে যার ফলে আপনার ভিউ বৃদ্ধি পাবে।।আর যখন কোন ব্যক্তি আপনার ভিডিওটা বেশি সময় ধরে দেখবে তখন youtube এর আলগরিদম বুঝতে পারবে যে আপনার ভিডিওটা তথ্যপূর্ণ। 

যার ফলে আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। 

আর টপিক নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা টপিকের নিজস্ব কিছু গুণাবলী এবং সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যেই টপিক সম্পর্কে ভালো জানেন এবং আপনি অন্যদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য দিতে পারবেন। সেই টপিক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

বর্তমানে প্রত্যেকটা টপিকের উপর প্রতিদিনই নতুন নতুন ভিডিও তৈরি হচ্ছে এবং তা ইউটিউবের মধ্যে পাবলিশ করা হচ্ছে। আপনি এমন একটি টপিক নিয়ে কাজ করবেন যেই টপিকের মাধ্যমে খুব সহজেই ভাইরাল হওয়া সম্ভব। 

বর্তমানে সব টপিকের ওপর ভাইরাল হওয়া পসিবল নয়। তবুও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কিন্তু যেই টপিকগুলো বর্তমানে ট্রেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করা উত্তম হবে যদি আপনার ভিডিও ভাইরাল করার ইচ্ছা থাকে।

আর একটা বিষয় সবসময় মনে রাখার চেষ্টা করবেন যে, এমন টপিক নিয়ে কাজ করার যা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান রয়েছে এবং অন্যদেরকে আপনি আকর্ষণীয় ভিডিও প্রদান করতে পারবেন। আর এমন কোন টপিক গ্রহণ করবেন না যে সম্পর্কে আপনি ভাল তথ্য কিংবা ইনফরমেশনসহ দিতে পারবেন না। 

২. হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করা

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

সোজা ভাষায় বলতে গেলে, আপনি যদি ইউটিউবে ভাইরাল হতে চান তাহলে কন্টেন্টের বিকল্প কোন উপায় নেই। আপনার ভিডিও যত সুন্দর হবে এবং যত ইনফরমেটিভ হবে তত মানুষ আপনার ভিডিওর দিকে আকৃষ্ট হবে। এর সাথে ভিডিও কে গুছিয়ে গুছিয়ে তৈরি করতে হবে এবং প্রত্যেকটি টপিকে এমন ভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে যেন সবাই বুঝতে পারে। 

ভিডিও কে যথেষ্ট পরিমাণে সুন্দর এবং হাই কোয়ালিটি হতে হবে যেন ভিডিওর মধ্যে কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। যদি এমন না হয় আপনার কন্টেন্ট দেখে মানুষ বোরিং ফিল করতেছে। তাহলে যে আপনি যতই অন্যদিকে ভাইরাল করার চেষ্টা করেন এতে কোন লাভ হবে না। 

কনটেন্ট বা ভিডিওর কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করেই মূলত ভাইরাল হবে কিনা তা নির্ভর করে। আরো সহজে বলতে গেলে, একটি ভিডিও ভাইরাল করার ৮০% ভূমিকা রাখে ভিডিওর কোয়ালিটি। 

সেহেতু আপনি যত ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন আপনার ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। ভিডিওর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে এডিটিং থাকতে হবে। আর অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন আপনার সাউন্ড গুলো স্বাভাবিক থাকে।

 আপনি চাইলে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও এড করতে পারেন। অথবা আপনার কনটেন্ট এর ভিত্তি করে অথবা অ্যাভয়েড করতে পারেন। ভিডিওটাকে খুবই আকর্ষণীয় এবং দৃষ্টিনন্দন ভাবে তৈরি করতে হবে। যেন একবার আপনার কেউ ভিডিও দেখলে পরবর্তীতে আবার আপনার ভিডিও দেখতে চলে আসে। 

আপনার ভিডিও মধ্যে যখন অনেক পরিমাণে ইনফরমেশন থাকবে তখন ভিউয়াররা অটোমেটিকালি লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করবে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে সবার সামনে। 

সুতরাং হাই কোয়ালিটি ভিডিও ছাড়া আপনি কখনো একটি ইউটিউব ভিডিও কে ভাইরাল করতে পারবেন না। 

৩. ভিডিওর ইন্ট্রোডাকশন পার্টকে আকর্ষণীয় করা

TubeBuddy একটি গবেষণা থেকে আমরা জানতে পারি যে, একটি ভিডিওর প্রথম ইন্ট্রোডাকশন পার্ট দেখেই মানুষ অরিয়ান্সরা ভিডিও দেখবে কিনা সেটা সিদ্ধান্ত নেয়। তারা প্রায় 1000 জনকে এটা পরীক্ষা করার পর দেখা যায় যে যে ভিডিওগুলোর introduction আকর্ষণীয় সেই ভিডিওগুলো অডিয়েন্সরা দেখতে পছন্দ করে আর তার বেশিরভাগ ভিডিওগুলি ভাইরালে পরিণত হয়। 

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে অডিয়েন্স রা প্রথম ৩০ সেকেন্ড দেখে বুঝে যায় যে আপনার ভিডিওটা তারা দেখবে কিনা। আর youtube অ্যালগরিদম এখান থেকেই বুঝতে পারে যে আপনার ভিডিওটা ভাইরাল হওয়ার যোগ্য কিনা। 

আপনার ভিডিওটা দেখে ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৬০ জন দেখে তাহলে ইউটিউব খুব সহজেই বুঝে যাবে যে আপনার ভিডিওটা স্বাভাবিকভাবে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। সত্যি বলতে ইউটিউব এর অ্যালগরিদাম খুবই ইন্টেলিজেন্স।

তারা খুব সহজেই বুঝতে পারে যে ভিউয়ার রা কোন ভিডিও টাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। সুতরাং আপনার ভিডিওর প্রথম অংশকে খুব আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল করার চেষ্টা করবেন। যেন আপনার অডিয়েন্সরা আপনার introduction দেখেই আপনার ভিডিওর মোহে পড়ে যায়। 

৪. ভিজিটরদের কে বিরক্ত না করা

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

সহজ ভাবে বলতে গেলে আমরা যখন ভিডিও তৈরি করি তখন আমরা বারবার ভিডিও এদেরকে বিরক্ত করি। যেন তারা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে। 

একটা জিনিস ভাবুন তো আপনি যখন কোন ভিডিও দেখে কোন ইনফরমেশন পান না কিন্তু কোন তথ্য পান না তখন কি সেই ইউটিউব চ্যানেলকে আপনি সাবস্ক্রাইব করেন। আশা করি আপনার উত্তর হবে না কারণ আপনার যে ভিডিও থেকে কোন তথ্য কিংবা সলিউশন পান নি সেই ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে তো আপনার কোন লাভ হবে না।

ঠিক একই ভাবে আপনি যখন অন্যদেরকে বারবার সাবস্ক্রাইব করার কথা বলেন তখন তারা বিরক্ত হয়ে যায় যার ফলে অনেক সময় তারা ভিডিওকে অফ করে অন্য ভিডিওতে চলে যাবে।  যার ফলে আপনার ভিডিও আর ভাইরাল হতে পারে না। 

যখন আপনি ইনফোরমেটিভ এবং কোন একটি বিষয়ের উপর সলিউশন নিয়ে আসবেন,  তখন অডিয়েন্স রা অটোমেটিক্যালি আপনাকে সাবস্ক্রাইব করবে। আপনাকে বলতে হবে না। 

আর আমি প্রথমেই বলেছি যে ভিডিওর ইন্ট্রোডাকশন পার্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য ইন্ট্রোডাকশন পার্ট এর মধ্যে বারবার সাবস্ক্রাইব করার কথা বলে ভিউয়ারদের বিরক্ত করবেন না। এতে আপনার ভিডিওর ওপর ব্যাড ইফেক্ট পরতে পারে।

কিন্তু আপনি ভিডিওর শেষ অংশে গিয়ে তাদেরকে বলবেন যদি তারা ভিডিও দেখে কোন ইনফরমেশন কিংবা সলিউশন পায় তাহলে যেন তারা ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে। কেননা সেই সমস্ত ব্যক্তি আপনার সম্পূর্ণ ভিডিও দেখেছে যারা ভিডিওটাকে পছন্দ করেছে। 

তাদেরকে তখন বললে তারা হয়তো সাবস্ক্রাইব করতে পারে কিন্তু প্রথম দিকে এরকম কথা বলে বারবার বিরক্ত করবেন না। 

৫. অডিও কোয়ালিটি ঠিক রাখা

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস

একটি ভিডিওকে ভাইরাল করার সময় অবশ্যই অডিওর দিকে মনোযোগী হতে হবে। অবশ্যই ভিডিওর মধ্যে কোন শোরগোল কিংবা অতিরিক্ত আওয়াজ না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

যেসব ভিডিওর অডিও কোয়ালিটি সুন্দর এবং ভালোভাবে ভাষাগুলো বোঝা যায় সেই ভিডিওগুলো মানুষ বেশি করে দেখেন। 

ধরেন আপনি এমন একটি ভিডিও তৈরি করলেন সেই ভিডিও র মধ্যে ভাষার মিল নেই এবং বাহির থেকে যথেষ্ট পরিমাণে আওয়াজ আসতেছে। তাহলে সেই ভিডিও সবাইকে আকৃষ্ট করতে পারবে না। 

তারা ভিডিওর অল্প অংশ দেখে ই ভিডিও থেকে বাহির হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে এটি অনেক বাধা সৃষ্টি করবে। 

আর ভিডিও তো এই সময় অবশ্যই সাবলীল ভাষায় ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন। যেন সবাই আপনার ভাষা বুঝতে পারে। আপনি চাইলে একটি ভিডিও রেকর্ড করার সময় মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে পারেন। যেন আপনার কথাগুলো স্পষ্ট এবং বাহির থেকে যেন কোন ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ না আসে। 

এর পাশাপাশি আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি Lexis Audio Editor এবং Dolby On অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনার অডিও-অর কোয়ালিটি ভালো করতে পারবেন। আর আপনি যদি ল্যাপটপ বা পিসি ব্যবহার করেন তাহলে audacity অ্যাপসটি ব্যবহার করতে পারেন। 

এছাড়াও আরো অনেক অ্যাপস রয়েছে চাইলে আপনি সেগুলোকেও ব্যবহার করতে পারেন। আরেকটি বিষয় আপনার ভিডিও রেকর্ড করার সময় প্রত্যেকটা বিষয়কে একজন স্বাভাবিক মানুষ যেন বুঝতে পারে সেভাবে বলার চেষ্টা করবেন। 

এতে করে সবাই আপনার ভিডিও বুঝতে পারবে এবং এর ফলে আপনার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার একটি প্রবল সম্ভাবনা থাকবে। 

৬. মিডিয়াম দৈর্ঘ্যের ভিডিও বানানো

যেই ভিডিওগুলো ভাইরাল হয় সেই সব ভিডিওগুলোকে যদি আপনি রিভিউ করেন তাহলে একটি কমন জিনিস দেখতে পারবেন। কমন জিনিসটি হল প্রত্যেকটি ভাইরাল ভিডিওর লেন্থ বা দৈর্ঘ্য ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে কোন কোন সময় ১৫ মিনিটের মধ্যেও হয়। 

অর্থাৎ যে ভিডিও গুলো সংক্ষিপ্ত হয় সেই ভিডিওগুলো সহজে ভাইরাল হতে চায় না। এখানে একটি জিনিস বোঝার চেষ্টা করবেন যে, youtube চায় মানুষকে বেশিক্ষণ ধরে সময় ব্যয় করানোর জন্য।  এজন্য তারা বড় ভিডিওগুলো কে বেশি রিপ্রেজেন্ট করে।

অপরদিকে আপনি এত বড় ভিডিও তৈরি করবেন না যেটা প্রয়োজনের থেকে অনেক অতিরিক্ত। আপনি মিডিয়াম সাইজের ভিডিও তৈরি করবেন একটি মিডিয়াম ভিডিওর আদর্শ সাইজ ৫ মিনিট থেকে ১২ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

এই সময়ের মধ্যে যে ভিডিওগুলো হয়ে থাকে সেই ভিডিওগুলো বেশি পরিমাণে ভাইরাল হয়। খুব ছোট ভিডিও করবেন না। কেননা ইউটিউব মনে করে যে খুব ছোট ভিডিওতে শিখার মত খুব ভালো জিনিস পাওয়া যায় না।

 যার কারণে ইউটিউব মিডিয়াম সাইজ কিংবা বড় ভিডিওগুলো কে বেশি প্রমোট করে। আর কখনোই খুব বড় সাইজের ভিডিও তৈরি করতে যাবেন না। যেখানে যথেষ্ট পরিমাণ ইনফর্মেশন নেই। চাইলে বড় ভিডিও তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে খুবই ইনফরমেটিভ এবং এট্রাক্টিভ হতে হবে। 

 ৭. Youtube চ্যানেলের সমস্ত ভিডিওতে ইন্ড স্ক্রিন এবং আই কার্ড ব্যবহার করা

আপনি যখন আপনার youtube চ্যানেলের সবগুলো ভিডিওতে ইন্ড স্ক্রিন ব্যবহার করবেন এবং আই কার্ড ব্যবহার করবেন তখন অনেকগুলো সুবিধা পাবেন। 

প্রথমত আপনার অন্য ভিডিওর ভিউ বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়তঃ youtube এর সম্ভাব্য অ্যালগরিদম অনুযায়ী যেই ভিডিওগুলো একটি ইউটিউব চ্যানেলের ট্রেন্ডিং থাকে সেই ভিডিওগুলোকে বেশি পরিমাণে ইন্ড স্ক্রিনে প্রদর্শন করে। যদি আপনি অটোমেটিক রেখে দেন। আপনি চাইলে একটি নির্দিষ্ট ভিডিও কেউ ইন্ড স্ক্রিনের মধ্যে অথবা কার্ডের মধ্যে দিতে পারেন। যেন সেই ভিডিওর ভিউ এবং এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য। 

যখন আপনার ভিডিওর এঙ্গেজমেন্ট এবং ভিউ বৃদ্ধি পাবে। তখন আপনার ভিডিও অটোমেটিক্যালি ভাইরাল হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। 

তৃতীয়তঃ যে সুবিধা দিতে পাবেন সেটি হল দর্শকদেরকে ধরে রাখতে পারবেন। যখন ইন্ড স্ক্রিনে কেউ আপনার ভিডিওগুলোতে ক্লিক করবে তখন সেই ব্যক্তি আপনার অন্য ভিডিওগুলো দেখবে। 

যার ফলে আপনার ভিডিওগুলো বার বার দেখার ফলে পরবর্তীতে তার ভিডিও ফিডে সবার সামনে আপনার ভিডিওগুলো উপরে শো করবে। যার ফলে তারা পরবর্তীতে আবার আপনার নতুন ভিডিও গুলো দেখতে উদ্বুদ্ধ হবে।

সুতরাং আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করতে চান তাহলে অবশ্যই ভিডিওর মাঝে আই কার্ড ব্যবহার করবেন এবং ভিডিও শেষে ইন্ড স্ক্রিন ব্যবহার করবেন। 

এটা সরাসরি হেল্প না করলেও টেকনিকেলি যথেষ্ট পরিমাণে ভূমিকা রাখতে পারে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে।

৮. আকর্ষণীয় thumbnail ব্যবহার করতে হবে।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার ১২টি সিক্রেট ট্রিকস
একটি ভিডিওকে আকৃষ্ট করার জন্য সবথেকে কার্যকরী এবং ভাইরাল করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে thumbnail। একটি ভিডিওর থাম্বেল যত আকৃষ্ট এবং মনোযোগকারি হয় সেই ভিডিও তত বেশি মানুষ দেখে।

আপনি যদি খুব সুন্দর ভিডিও তৈরি করেন কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার থাম্বেল খারাপ হয় তাহলে অনেক জনের ভিডিওটা ইগনোর করবে। 

বেসিক্যালি আপনি নিজের ক্ষেত্রেই ধরুন, আপনিও কিন্তু থাম্বেল দেখেই ভিডিও দেখেন। সেম আমার ক্ষেত্রে একই রকম এবং অন্যদের ক্ষেত্রে একই রকম সেটা বলার রাখে না। 

আপনি যদি একটি দৃষ্টিনন্দন এবং ইনফরমেটিভ থাম্বেল তৈরি করেন। তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। আপনি চাইলে থাম্বেলের মধ্যে এমন আকর্ষণীয় কোন বিষয়কে ফুটিয়ে তুলতে পারেন যার ফলে আপনার ভিডিও সবাই দেখতে আগ্রহী হবে। 

উদাহরণস্বরূপ ধরে নেন, আপনি একটি মজবুত বাড়ি তৈরি করলেন কিন্তু সেই বাড়ির বাইরের চেহারা যদি খারাপ হয় তাহলে কোন ব্যক্তি সহজে আপনার বাড়ি ক্রয় করতে চাবে না।  যদিও বাড়ির অভ্যন্তরে খুবই সুন্দর এবং মজবুত আকৃতির হয়। ঠিক একই রকম একটি ভিডিওর চেহারা প্রকাশ পায় থাম্বেল এর মাধ্যমে।

যত সুন্দর ভাবে থাম্বেল তৈরি করতে পারবেন তত বেশি মানুষকে আপনার ভিডিওর দিকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। আপনি থাম্বেল এর মধ্যে কিছু লেখা এবং ছবি যুক্ত করবেন যেন আপনার ভিডিও কি সম্পর্কে সেটা সবাই সহজেই বুঝতে পারে। 

বর্তমানে থাম্বেল এডিট করার জন্য ক্যানভা থেকে শুরু করে অনেক প্রকার এডিটিং ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। যেগুলো ব্যবহার করে আপনি amazing ইউটিউব ভিডিও থাম্বেল তৈরি করতে পারবেন। 

৯. অ্যাটেনশন আকৃষ্ট করার মত টাইটেল ব্যবহার করা।

আমরা যখন একটি ইউটিউব ভিডিও দেখি তখন আমরা প্রথমে লক্ষ্য করি যে ভিডিও টাইটেল কি। যেহেতু আমরা প্রথমেই টাইটেলকেই লক্ষ্য করি সে তো আমাদেরকে এই টাইটেলকে এমনভাবে লিখতে হবে।

 যেন সবাই টাইটেল এর মধ্যেই বুঝে যায় যে ভিডিওটা ইন্টারেস্টিং। এমন টাইটেল লিখতে হবে জানো টাইটেল পরে মানুষ আপনার ভিডিও দেখতে উদ্বুদ্ধ হয়। আর টাইটেল এর মধ্যে অবশ্যই আপনার প্রধান কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 

ইউটিউব ভিডিও টাইটেলে যখন আপনি প্রধান কিওয়ার্ড যুক্ত করবেন তখন কেউ যদি সেই কিওয়ার্ড সার্চ করে তখন আপনাকে ইউটিউবের সার্চ রেজাল্টে প্রথম সারিতে দেখাবে। 

এর মাধ্যমে আপনি youtube সার্চ থেকেও দর্শক পাবেন এবং তারা যখন আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবে। এর ফলে ইউটিউব বুঝতে পারবে যে সবার থেকে আপনার ভিডিও আলাদা। 

তখন  আপনার ভিডিওকে ভাইরাল করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। অবশ্যই টাইটেলটাকে দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় করতে হবে। 

১০. ইউটিউব এনালেটিক্স এর ব্যবহার।

আপনারা যারা ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন সবাই হয়তো এনালেটিক্স বিষয়টার সাথে ভালোভাবে পরিচিত। কিন্তু এই এলালেটিক্স থেকে যে ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই কম। 

আমরা যখন ইউটিউব অ্যানিলিটিক্স ব্যবহার করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের পারফরম্যান্সে চেক করি। তখন আমাদের কাছে অনেকগুলো তথ্য চলে আসে। সেক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারেন যে কোন ভিডিও গুলো বেশি চলতেছে সেই ভিডিওগুলোর দিকে আমাদেরকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। 

এনালেটিক্স এর মাধ্যমে দেখে নিবেন যে আপনার ভিডিওগুলো কতক্ষন ধরে মানুষ দেখতেছে অর্থাৎ আপনি যদি একটি ১০ মিনিটের ভিডিও তৈরি করেন তাহলে ওই ভিডিওটা অ্যাভারেজ এ কত মিনিট করে দেখতেছে অডিয়েন্সরা। 

এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন যে আপনার ভিডিওতে মানুষ কিরূপ কমেন্ট এবং লাইক করতেছে। এছাড়াও ভিডিওটা কত শতাংশ মানুষ প্রথম ইমপ্রেশনের মাধ্যমে ভিডিও দেখতেছে। 

যদি আপনার ইম্প্রেশন অনেক বেশি আসে কিন্তু ক্লিক না আসে সেক্ষেত্রে আপনি থাম্বেল চেঞ্জ করবেন এবং সামান্য টাইটেল এডিট করে দিবেন। কারণ যখন অনেক জন মানুষের কাছে আপনার ভিডিও চলে যায় কিন্তু তারা দেখেনা তার প্রধান কারণ হলো থাম্বেল এর প্রবলেম এবং টাইটেলের প্রবলেম। 

তখন এখান থেকে আপনি সেগুলো এডিট করে দিয়ে আপনার ভিডিওগুলোকে আবার রিভিউ করতে পারেন। এর ফলে আপনার যে ভুলগুলো হবে সেগুলো শুধরে নিয়ে আপনার ভিডিওকে আপনি সবার সামনে খুব তাড়াতাড়ি ভাইরাল করতে পারবেন। 

এছাড়াও ইউটিউব এনালেটিক্স ব্যবহার করে অনেক মেট্রিক্স চেক করা যায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আর্টিকেল পাবলিশ করব। 

১১. ভিডিওকে এসইও ফ্রেন্ডলি করা

Youtube ভিডিওকে ভাইরাল করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে ইউটিউব ভিডিওর এসইও করা। এসইও বিষয়টা অনেক বড় কিন্তু আমি সংক্ষেপে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করতেছি। 

আপনার ভিডিওকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য টাইটেল সুন্দর ভাবে দিতে হবে এবং সেখানে প্রধান কিওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে। টাইটেলকে অপটিমাইজ করার পরবর্তীতে আপনাকে ডিসক্রিপশন কে অপটিমাইজ করতে হবে।

ডিসক্রিপশন এর মধ্যে আপনার প্রধান কিওয়ার্ড সম্মলিত একটি ছোট প্যারাগ্রাফ কিংবা আপনি ভিডিওর মাধ্যমে কি বুঝাতে চাচ্ছেন সেটা উপস্থাপন করতে পারেন। এর ফলে ইউটিউব এনা অ্যালগরিদম বুঝতে পারবে যে আপনার ভিডিওটা কি সম্পর্কে এবং ভিডিওর মধ্যে কি কি ইনফরমেশন রয়েছে। 

এর সাথে সাথে আপনার ফেসবুক এবং অন্যান্য মাধ্যম গুলোর লিংক যুক্ত করতে হবে এবং আপনার কয়েকটি ভিডিও যুক্ত করে দিতে হবে। ডেসক্রিপশন এর মধ্যে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং আপনার কয়েকটি রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো যুক্ত করে দিতে হবে। 

ডেসক্রিপশন কে অপটিমাইজ করার পর আপনাকে ভিডিওর মধ্যে ট্যাগ অন্তর্ভুক্ত করে দিতে হবে। আপনার ভিডিও রিলেটেড কয়েকটি ট্যাগ যুক্ত করে দিবেন। এরপর থাম্বেল এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সেট করে দিবেন সুন্দরভাবে। 

এছাড়াও আরো অনেকভাবে ইউটিউব করতে হয় এই বিষয়ে আমি পরবর্তীতে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল দেওয়ার চেষ্টা করব।  

১২. ভিডিও কে শেয়ার করা

Youtube ভিডিওকে ভাইরাল করার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম পদ্ধতি হলো সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করা। ধরে নেন, আপনি এমন একটি ভিডিও তৈরি করলেন যেখানে অনেক ইনফরমেশন রয়েছে। কিন্তু সেই ভিডিওতে যদি আপনি ইউটিউব থেকে ভিউ আদায় করতে না পারেন।

 তাহলে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যম গুলোর সহযোগিতা নিতে হবে এর ফলে আপনার ইউটিউবের ভিউ বাড়বে। যখন অন্য কোন মাধ্যম থেকে অনেকগুলো ভিউ আসবে তখন ইউটিউবের ক্রাউলার আবার ভিডিওটাকে রিচেক করে।

 পরবর্তীতে তা সবার সামনে নিজেকে সাহায্য করে অর্থাৎ ভাইরাল করতে সাহায্য করে। অবশ্যই মনে রাখবেন স্পামিং করবেন না। স্বাভাবিকভাবেই ভিডিও শেয়ার করবেন। তাহলেই এই কাজ হবে আপনি যদি স্পামিং করেন সেক্ষেত্রে এর বিপরীত হতে পারে। 

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিংবা পিন্টারেস্ট এর মত সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আপনার ভিডিওগুলোকে শেয়ার করতে পারেন। 

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সিক্রেট টিপস

 উপরের বিষয়গুলো তো আমরা কম বেশি সবাই জানি। কিন্তু এখানে প্রধানত দুইটি টিপস  অবলম্বন করে খুব সহজেই ভিডিও কে ভাইরাল করা যায়। চলুন তাহলে এই দুটি সিক্রেট টিপস সম্পর্কে একটু জেনে নিন। কিন্তু তারপরও বলতে চাই যে উপরের প্রত্যেকটি বিষয় ভিডিও ভাইরাল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুতরাং ওপরের প্রত্যেকটি পয়েন্ট গুলো কেউ ভালোভাবে বুঝে কাজ করবেন না হলে সব চেস্টা বৃথা হয়ে যাবে।

১. ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা

বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশে সব সময় কোন না কোন বিষয় ট্রেন্ডিং অবস্থায় থাকে। যদি আমার ভাষায় বলি, বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব পড়লেও কখনো ভাইরাল নিউজ এর অভাব পড়ে না

 বাংলাদেশের সারা বছর কোন না কোন একটি বিষয় ট্রেন্ডিং সাবজেক্ট থাকেই। আর এখানেই আপনাকে সুযোগ লাফিয়ে নিতে হবে। যেই বিষয়গুলো ট্রেন্ডিং থাকে তখন সেই ভিডিওগুলো নিয়ে কাজ করলে ১০০% আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো খুঁজে পাওয়ার জন্য আপনি সোশ্যাল মিডিয়া, নিউজ পেপার কিংবা গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করতে পারেন। ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে একবার আপনি পৌঁছাতে পারলে আপনার ভিডিও অবশ্যই ভাইরাল হবে তা বলার রাখে না।

 কিন্তু ভিডিও ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি ভিডিও কে কোয়ালিটি ফুল বানাতে হবে যেটা আমি পূর্বেই বলেছি। 

২. পেইড প্রমোশন করা

যেকোনো ভিডিও ভাইরাল হয় প্রথম এক সপ্তাহের মধ্যে। সুতরাং আপনি যদি প্রথম এক সপ্তাহ সঠিকভাবে প্রমোশন করতে পারেন কিংবা প্রথম দুই-এক দিন পেইড প্রমোশন করতে পারেন এবং ভিউয়ারদেরকে আকৃষ্ট করতে পারেন। তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হবে ১০০%।

 সুতরাং আপনারা যারা ভিডিও ভাইরাল করতে চান তারা অবশ্যই ইউটিউব এ পেইড প্রমোশন চালাতে পারেন।  বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তিরা তাদেরকে প্রমোশন করার জন্য এই পেইড প্রমোশন অপশন কে বেছে নেয়। 

এছাড়াও আপনি যখন পেইড প্রমোশন করেন তখন youtube এর চোখ আপনার ভিডিওর দিকেই থাকে এইজন্য তখন ইউটিউব আপনাকে সবার সামনে ছড়িয়ে দেয়। এই পদ্ধতিটা সবার জন্য প্রযোজ্য না হলেও এটা অনেক কার্যকরী একটি উপায়। 

আপনি যদি ইউটিউব এক্সপার্টদের কাছে পরামর্শ চান তারাও এই একই পরামর্শ দিবে। আর প্রথম এক সপ্তাহ কিংবা প্রথম দুই এক দিন যদি প্রমোশন করতে পারেন। তাহলে আপনার ভাইরাল হওয়ার একটি প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।  

কেন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা উচিত?

একটি ইউটিউব চ্যানেলে কষ্ট করে ভিডিও তৈরি করে সেটাকে পাবলিশ করার এবং ভাইরাল করার পিছনে আমাদের সবথেকে বড় কারণ থাকে ইনকাম। 

প্রথমত আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম খুব বেশি পরিমাণে ইনকাম হবে। যখন আপনার ভিডিওতে বেশি পরিমাণে ভিউয়ার আসবে তখন আপনার বিজ্ঞাপন বেশি দেখাবে। এর পাশাপাশি নানা ধরনের স্পন্সরশিপ পাবেন যার ফলে আপনার ইনকামও অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

আর যাদের চ্যালেন মনিটাইজ হয়নি তাদের বেশি ভিউ আসার কারণে সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম বৃদ্ধির ফলে খুব তাড়াতাড়ি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হয়ে যাবে এবং তারা ইনকামের পথে চলে আসবে। 

এছাড়াও youtube ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে নিজের চ্যানেলকে সবার সামনে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। যখন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় তখন সবার কাছে আপনার চ্যানেলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ভিডিওর মাধ্যমে প্রোডাক্টও সেল করতে পারবেন।

 ভিডিও ভাইরাল করার আরেকটি বড় কারণ হলো নিজের মতামত ও জ্ঞানকে সবার সামনে ছড়িয়ে দেয়া। আপনি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে নিজের মতামত এবং জ্ঞানগুলোকে সবার সামনে বিতরণ করতে পারবেন। এছাড়াও অনেকজনের নিজের অনেক ইচ্ছার কারণেও ভিডিও ভাইয়ার করে থাকে।

মোট কথা বলতে গেলে মানুষ তাদের নিজের প্রয়োজনে কিংবা কোন একটি বিষয়কে সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য ভিডিও ভাইরাল করতে চায়। এখানে অনেক জন অনেক কারণে ভিডিও ভাইরাল করে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে বলা খুবই মুশকিল যে কেন ভিডিও ভাইরাল করা উচিত। 

Youtube ভিডিও ভাইরাল করার পূর্বে কিছু পরামর্শ

১. ইউটিউবে নিয়ম অনুসারে কাজ করতে হবে। কখনোই ইউটিউবের নিয়মের বাইরে গিয়ে ভিডিও ছাড়ার চেষ্টা করবেন না। 

২. দর্শক অর্থাৎ ভিউয়ার দের সাথে সবসময় সুন্দর এবং সুশৃংখল আচরণ করার চেষ্টা করবেন। তাদের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

৩. ভিউয়ারদের প্রবলেম গুলো সলভ করার দিকে মনের বেশি মনোযোগী হবেন। তারা যে এই সম্পর্কে ভিডিও চায় সেগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে এর ফলে youtube চ্যানেলের এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পাবে।

৪. নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ভাইরাল করার ক্ষেত্রে।

৫. কমেন্টের যত দ্রুত সম্ভব রিপ্লাই দেওয়া। 

৬. ভিডিওর কোয়ালিটি এবং সাউন্ড ঠিক রাখা।

৭. ভিডিও যেন বোরিং না হয় সেদিকে সব সময় লক্ষ্য রাখা। কারণ ভিডিও বোরিং হলে কেউ আর আপনার ভিডিও দেখতে চাইবে না।

৮. কাউকে ছোট করে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিডিও তৈরি না করা উচিত।

৯. দর্শকরা কষ্ট পায় এমন কোন আচরণ কিংবা ভিডিও পাবলিশ না করা। 

১০. ধৈর্য এবং পরিশ্রম দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া। 

অবশ্যই ওপরের বিষয়গুলি একটু মাথা রেখে কাজ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার পরবর্তীতে অনেক সুবিধা হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে থাম্বনেইল তৈরি করবেন?

আকর্ষণীয় এবং ইনফরমেটিভ থাম্বনেইল ব্যবহার করুন।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে টাইটেল নির্বাচন করবেন?

আকর্ষণীয় এবং রিলেটেড টাইটেল ব্যবহার করুন।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে ভিডিও তৈরি করবেন?

আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করুন।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে প্রচার করবেন?

সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভিডিও প্রচার করুন।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে বিষয় নির্বাচন করবেন?

জনপ্রিয় এবং আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন সেই বিষয় নির্বাচন করুন।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে ভিডিওর দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করবেন?

৫ থেকে ১০ মিনিটের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ভাইরাল ভিডিওর জন্য কিভাবে ভিডিওর মান নির্ধারণ করবেন?

উচ্চমানের ভিডিও এবং অডিও ব্যবহার করুন।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার সবথেকে কার্যকরী উপায় কী?

আকর্ষণীয় কনটেন্ট + মানসম্পন্ন ভিডিও + সঠিক মার্কেটিং।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট সবচেয়ে ভালো?

দর্শকদের আগ্রহের কনটেন্ট।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য কোন সময় ভিডিও আপলোড করা ভালো?

অডিয়েন্স যেই সময় বেশি একটিভ থাকে।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য কোন ট্যাগ ব্যবহার করব?

প্রাসঙ্গিক ও জনপ্রিয় ট্যাগ।

ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার জন্য কোন ক্যাপশন ব্যবহার করব?

আকর্ষণীয় ও তথ্যপূর্ণ ক্যাপশন।

উপসংহার

একটি ভিডিও কে ভাইরাল করাও একটি খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু কোন কাজেই অসম্ভব নয়। আপনি যদি উপরে সমস্ত বিষয়ে ভালোভাবে আপনার ইউটিউব ভিডিওর মধ্যে ইউটিলাইজ করেন এবং সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কোন বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়।

 পরিশেষে একটা কথাই বলব যে ইউটিউব ছাড়া কেউ বলতে পারবে না যে কখন কোন ভিডিও কে youtube ভাইরাল করবে। আমরা জাস্ট অনুমান এবং স্টাডির মাধ্যমে ধারণা দিতে সক্ষম। 

কিন্তু আপনি উপরের সবগুলো টিপস ফলো করলে আপনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ৯০% পর্যন্ত চান্স রয়েছে। তো আজকে এই পর্যন্তই যদি আপনার এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন কিংবা জানার থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url