কিভাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করব ২০২৪

 বর্তমান ডিজিটাল যুগে নিজে নিচের অনলাইন উপস্থিতি জানানোর জন্য ওয়েবসাইট সব থেকে কার্যকর পদ্ধতি গুলোর অন্যতম। বর্তমানে বিভিন্ন কাজের জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন। বিশেষ করে নিজের স্কিল সবার সামনে প্রমোট করা থেকে শুরু করে অনলাইন ইনকাম এবং নিজের স্বাধীনতা মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রেও। 

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

কিন্তু অনেক জনের মতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই ব্যয়বহুল, কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। যা বাস্তব এর সম্পূর্ণ একরকম নয়। যেহেতু বর্তমানে অনলাইনে সমস্ত কার্যকলাপ এবং অনলাইন ভিত্তিক কমিউনিটি সৃষ্টি হচ্ছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই একটি অনলাইন প্লাটফর্মে যুক্ত থাকা উচিত। 

নতুন হিসেবে আপনি কিভাবে একটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেই সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সম্পূর্ণ গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন, সেই সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। 

এছাড়াও কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে আরো উন্নত মানের করতে পারবেন ও অডিয়েন্স দেরকে আকৃষ্ট করবেন সেই সম্পর্কেও গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব। 

আপনি যদি নতুন ও প্রফেশনাল ব্লগিংওয়েবসাইট খুলতে চান শুধুমাত্র ১০ মিনিট মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। 

প্রথমে বলে রাখতে চাই যে, আপনি যদি শুধুমাত্র লেখালেখি এবং ইনকামের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। সে ক্ষেত্রে আমাদের ফ্রিতে ওয়েবসাইট করতে গেলে অবশ্যই ব্লগিং রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। কেননা আপনি যদি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোন প্রকার টা খরচ করতে হবে না অথবা খুব অল্প পরিমাণে টাকা খরচ হতে পারে। 

ওয়েবসাইট তৈরির সঠিক প্ল্যাটফর্ম কোনটি?

আসলে আমরা যেহেতু একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে প্রথমে প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। কেননা আপনি যদি সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে না পারেন সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনাকে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যেই পড়তে হবে।

বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরির সবথেকে জনপ্রিয় দুইটি প্ল্যাটফর্ম হল:

  • ব্লগার
  • ওয়ার্ডপ্রেস

উপরের দুইটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করেই মূলত বেশিরভাগ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যদি আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা খরচ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ক্রয় করতে হবে।

১. ডোমেইন

২. হোস্টিং

৩. থিম (ফ্রি এবং প্রিমিয়াম উভয় প্রযোজ্য)

৪. বিভিন্ন ধরনের প্লাগিন

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস ক্রয় করার সময় আপনাকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হবে। 

অপরদিকে আপনি যদি ব্লগার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান ক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এখানে আপনাকে অতিরিক্ত কোন প্রকার টাকা ব্যয় করতে হবে না। তবে আপনি যদি প্রিমিয়াম ডোমেন ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা ব্যয় করতে হতে পারে। 

কিন্তু আপনি চাইলে কোন প্রকার ডোমেইন ক্রয় না করে আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে পারবেন। যেহেতু ব্লগার google এর নিজস্ব প্রোডাক্ট সেক্ষেত্রে আপনাকে সিকিউরিটি কিংবা অন্যান্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে খুব একটা চিন্তিত হতে হবে না। 

আর সব থেকে ভালো বিষয় হলো বিগিনার থেকে এক্সপার্ট সবাই ব্লগার ব্যবহার করে কাজ করতে পারবে কেননা ব্লগারের ড্যাশবোর্ড খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি।  যে কোন প্রকার ব্যক্তি খুব সহজেই ব্লগারের মধ্যে খুব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে খুব সহজে পরিচালনা করতে পারবে। 

আচ্ছা আমি নিচে কেন ব্লগার ব্যবহার করবেন এবং ব্লগারের সুবিধা গুলো কি কি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যেন আপনারা আরো ভালোভাবে ক্লিয়ার হতে পারেন কেন ব্লগার ব্যবহার করা উচিত ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। 

ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

আপনি যদি ব্লগারের মধ্যে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত কোন উপকরণ প্রয়োজন হবে না। জাস্ট আপনার নিজের কয়েকটি দেয়া বিষয়গুলো লাগবে, যা সম্পূর্ণ ফ্রি এবং আমাদের স্বাভাবিক জীবনের সব সময় ব্যবহার হয়।

১. একটি জিমেইল একাউন্ট

২. ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন

৩. ইন্টারনেট কানেকশন

জাস্ট এই তিনটি বিষয় থাকলেই আপনি একটি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আলাদাভাবে আপনাকে কোন বিষয় প্রাথমিকভাবে লাগবেনা। তবে পরবর্তীতে আপনি চাইলে প্রিমিয়াম থিম যুক্ত করে আপনার ওয়েবসাইটের প্রফেশনাল চেহারা দিতে পারেন। তবে মধ্যে কিছু ডিফল্ট থিম থাকে যেগুলো চাইলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। 

এছাড়া এখানে কোন অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হবে না। তবে আপনি একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এর পাশাপাশি উন্নত মানের কনটেন্ট প্রোভাইড করবেন এবং ট্রাফিক নিয়ে আসবেন। তখন আপনি চাইলে এই ফ্রি ওয়েবসাইট থেকেই ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। 

সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

কিভাবে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেই সম্পর্কে আমি নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করব। আপনারা প্রত্যেকটি স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন ফলো করার চেষ্টা করবেন। প্রত্যেকটি বিষয়কে আমি ভালোভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব যেন আপনাদের কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। 

স্টেপ ১: ব্রাউজারে জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগইন করা
১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

প্রথমেই আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করে দিতে হবে অথবা আপনার যদি পূর্বেই কোন জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করা থাকে তা আপনার ব্রাউজার এর মধ্যে লগইন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি গুগল ক্রোম ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে google ক্রোমের মধ্যে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে হবে। 

আপনি যেই জিমেইল দিয়ে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন সেই gmail ব্রাউজারের মধ্যে সঠিকভাবে যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন প্রকার জিমেইল না থাকে সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে হবে। 

স্টেপ ২: ব্লগারের মেইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা

ব্রাউজারের মধ্যে আপনার জিমেইল যুক্ত করার পরে আপনাকে ব্লগারের মেইন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। মূলত Blogger.com থেকেই আপনাকে আপনার ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং এই স্থান থেকে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি এখান থেকে ব্লগারের মেইন ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন কিংবা আপনি গুগলে "blogger" লিখে সার্চ করেও ব্লগারের মেইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

স্টেপ ৩: ব্লগারের সাইন ইন করা

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
ব্লগারের মেইন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে পরবর্তী কাজ হল সেখানে আপনাকে "SIGN IN" অপশনে ক্লিক করতে হবে অথবা "CREATE YOUR BLOG" অপশনে ক্লিক করে আপনার যে জিমেইলে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করে দিতে হবে। 

স্টেপ ৪: আপনার ব্লগের নাম প্রদান করতে হবে

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
এই স্থানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম প্রদান করতে হবে অর্থাৎ আপনি যেই নামে আপনার ওয়েবসাইট খুলতে চাচ্ছেন সেটা প্রদান করতে হবে। অবশ্যই আপনার ওয়েসাইটের নাম আপনার নিস রিলেটেড অর্থাৎ  আপনি যে বিষয়ে উপর কাজ করতে চাচ্ছেন সেই রিলেটেড দেয়ার চেষ্টা করবেন। 

এমন নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেই নাম অবশ্যই আকর্ষণীয় এবং স্মৃতিচারণযোগ্য হবে। এছাড়াও চেষ্টা করবেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম এমন কিছু দেয়া যা ইউনিক এবং মানুষের কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হবে। এখানে আপনার ইচ্ছামত এবং পছন্দের যেকোনো নাম দিতে পারেন আপনার বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। 

উদাহরণস্বর: Expert Blogger BD। আপনার ওয়েবসাইটের নাম দেয়ার পর "Next" বাটনে ক্লিক করতে হবে।

স্টেপ ৫: ওয়েবসাইটের address প্রদান করা

আমাদের প্রত্যেকের যেমন একটি বাড়ির ঠিকানা রয়েছে ঠিক একই রকম প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস রয়েছে। এখানে অবশ্যই একটি ইউনিক এবং সহজেই মনে রাখা যাবে এমন একটি ওয়েব এড্রেস অর্থাৎ URL প্রদান করতে হবে। 

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

অবশ্যই এমন কোন ওয়েব এড্রেস দেয়ার চেষ্টা করবেন না যেটা করবে কেউ ব্যবহার করেছে। শুধুমাত্র এমন URL ব্যবহার করতে পারবেন যা এই পর্যন্ত কেউ ব্যবহার করেনি। যখন আপনি এমন কোন অ্যাড্রেস প্রদান করবেন যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি, তখন এই লেখাটা নিচে দেখাবে "the blog address is available".

URL এর মধ্যে অবশ্যই আপনার টপিক টা যেন ক্লিয়ার থাকে সেটা নিশ্চিত করে নিবেন। অর্থাৎ যে বিষয়ে আপনি লেখালেখি করতে চাচ্ছেন সেটা যেন URL দেখেই বুঝা যায় সেটা ক্লিয়ার করে নিবেন। 

উদাহরণস্বরূপ: expertbloggerbd.blogspot.com। যদি আপনার URL পছন্দ হয় এবং আপনার কনটেন্টের সাথে মিল থাকে তাহলে "Next" বাটনে ক্লিক করে দিবেন। 

স্টেপ ৬: ডিসপ্লে নেম প্রদান করা

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
আপনি যে আর্টিকেল গুলো লিখতেছেন অর্থাৎ আপনি রাইটার বা লেখক এখন আপনি কি নামে আপনাকে আপনার অডিয়েন্স এর সামনে নিজেকে প্রচার করতে চাচ্ছেন সেটা প্রদান করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার রিয়েল নেম ব্যবহার করতে পারেন কিংবা ছদ্ম নাম ব্যবহার করতে পারেন। 

এটা আপনার উপর টোটালি ডিপেন্ড করবে যে আপনি এখানে কি নাম প্রদান করতে চাচ্ছেন অর্থাৎ কি নামে আপনাকে সবার সামনে নিজেকে প্রচার করতে চাচ্ছেন। সঠিকভাবে আপনার ডিসপ্লে প্রদান করার পর আপনাকে "Finish" বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। 

💣 বুম আপনার ওয়েবসাইট ক্রিয়েট হয়ে গিয়েছে। 

স্টেপ ৭: ওয়েবসাইট লাইভ হয়েছে কিনা পর্যবেক্ষণ করা

একবার আপনার ওয়েবসাইট ক্রিয়েট হয়ে গেলে পরবর্তী কাজ হচ্ছে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট লাইভ হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে নেয়া। আপনি "View Blog" এ ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইট লাইভ হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে নিবেন। যদি আপনি সঠিকভাবে সমস্ত কাজ করতে পারেন তাহলে সাথে সাথেই আপনার ওয়েবসাইট লাইভ হয়ে যাবে এবং তা অনলাইনে প্রকাশ পাবে। 

আপনি ওপরের এই সাতটি স্টেপ ফলো করেই আপনার ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন শুধুমাত্র 5 থেকে 10 মিনিটের মধ্যেই। এখন একইভাবে আপনি চাইলে আপনার নিজস্ব ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে এখানে আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা আমরা এখন আলোচনা করব।

ব্লগারের ড্যাশবোর্ড পরিচিতি

১০ মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম
একবার আপনার ওয়েবসাইট ক্রিয়েট হয়ে গেলে আপনার ব্লগারের ড্যাশবোর্ড পেয়ে যাবেন। এখন এখানে অনেকগুলো অপশন দেখতে পারবেন যা আপনার সমস্ত কাজকে সহজ করে দিবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন অপশন থেকে কি কাজ করতে হয় এবং কোন অপশন দিয়ে কোন কোন কাজ করা সম্ভব।

১. Posts: পোস্ট অপশন থেকে আপনার যাবতীয় আর্টিকেল দেখতে পারবেন। যেই আর্টিকেলগুলো আপনি পাবলিশ করেছেন কিংবা ড্রাফ্ট করে রেখেপছেন অথবা ট্রাশে রেখেছেন সবকিছুই এখান থেকে দেখতে পারবেন। এছাড়াও এই স্থান থেকেই আপনি নতুন ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন এবং আর্টিকেল কে পাবলিশ করতে পারবেন।

২. Stats: এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় স্টাটেক্সি বা পরিসংখ্যান দেখে নিতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের কোন আর্টিকেল গুলো ভালো চলতেছে, কোন স্থান থেকে ট্রাফিক আসতেছে, কোন কোন দেশ থেকে ট্রাফিক আসতেছে এসব বিষয় থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয়ে একটি সাধারণ এনালাইসিস করতে পারবেন। এছাড়াও বর্তমানে কতজন ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে, লাস্ট ২৪ ঘন্টায় কতজন ট্রাফিক এসেছে, লাস্ট এক সপ্তাহে কতটা ট্রাফিক এসেছে, লাস্ট ২৮ দিনে কত ট্রাফিক এসেছে এবং সবমিলিয়ে এই পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটে কত ট্রাফিক এসেছে তা এক নিমিষেই এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন।

৩. Comments: এখান থেকে আপনার আর্টিকেলে কে কমেন্ট করতেছে, কি কমেন্ট করতেছে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং সেগুলোকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। কোন ধরনের কমেন্ট গুলো আপনার ব্লগ পোস্টের মধ্যে রাখতে চাচ্ছেন আর কোন কমেন্টগুলো রাখতে চাচ্ছেন না সেগুলো এখান থেকেই কন্ট্রোল করতে পারবেন। 

৪. Earning: earning অপশন থেকে আপনি আপনার ব্লগ পোষ্টে গুগল এড*সেন্স যুক্ত করে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে google এড*সেন্স অ্যাপ্রভাল পেতে হবে। অ্যাপ্রুভাল পেলে এখান থেকে আপনি সরাসরি আপনার google এড*সেন্স একাউন্টের সাথে সংযুক্ত করে ইনকাম করতে পারবেন। 

৫. Pages: প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা অনেকগুলো পেজ তৈরি করতে হয়। যেমন about us page, contact us page, privacy policy page, term and condition page, advertising page সহ অন্যান্য সকল পেজগুলো এখান থেকে তৈরি করতে পারবেন। 

৬. Layout: লে আউট অপশন থেকে আপনার ওয়েবসাইট কে আপনি কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। আপনি চাইলে এখান থেকে কাস্টম উইজেট যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার পছন্দমত আপনার ওয়েবসাইট কে ডিজাইন করতে পারবেন। এখানে আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় বিষয়গুলো এডিট করতে পারবেন এবং ইনফরমেশন চেঞ্জ করতে পারবেন। 

৭. Theme: এই অপশন থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের থিম পরিবর্তন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি থিমের ব্যাকআপ নিতে পারবেন, থিম রিস্টোর করতে পারবেন। থিমের মধ্যে নতুন কোন কোড সংযুক্ত করতে পারবেন এবং কিছু ডিফল্ট থিম পেয়ে যাবেন যা আপনার ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। 

৮. Setting: সেটিং অপশনটা ব্লগারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অপশন। মূলত এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটের যাবতীয় সেটিং এবং কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখানে একটি ওয়েবসাইটের বেসিক্যালি যাবতীয় বিষয়গুলো পেয়ে যাবেন। সেটিং অপশন থেকে আপনার ওয়েবসাইটের নাম চেঞ্জ করা থেকে শুরু করে ডিসক্রিপশন এড, রিস্টোর, ব্যাকআপ admin যুক্ত করা, লেখক যুক্ত করা, এসইও এর যাবতীয় কার্যকলাপ করা, কাস্টম রে ডিরেকশন করা থেকে শুরু করে যাবতীয় অপশন পেয়ে যাবেন। 

সফল ওয়েবসাইট পরিণত করতে হলে করণীয়

আপনি যদি এই ফ্রি ওয়েবসাইট কে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে চাইলে এবং ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেকগুলো নিয়ম এবং গাইডলাইন মেনে চলতে হবে। আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক নিয়ম অনুসারে কাজ না করতে পারেন সে ক্ষেত্রে খুব একটা সময় টেকসই হতে পারবেন না এই সেক্টরে। 

আপনি যদি ব্লগিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু করণীয় রয়েছে আপনার। যা আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকে আরও আপডেট করতে হবে।

সফল ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে নিচের করণীয় দিকগুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে:

১. নিয়মিত কনটেন্ট প্রদান ও আপডেট

একবার আপনার ওয়েবসাইট ক্রিয়েট হয়ে গেলে আপনাকে নিয়মিত কনটেন্ট প্রদান করতে হবে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট একটি শিডিউল করে আপনার কনটেন্ট গুলোকে পাবলিশ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চেষ্টা করবেন সপ্তাহে কমপক্ষে একটি উপরে কন্টেন্ট পাবলিশ করার। 

এছাড়াও আপনি যখন কিছু সংখ্যক কনটেন্ট লিখে ফেলবেন তখন পরবর্তীতে সেগুলোকে রেগুলার আপডেট করতে থাকবেন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে অনলাইন থেকে এসইও করা শিখে নিতে পারেন এতে করে আপনি আরো ভালো ট্রাফিক পেতে পারবেন। 

এই ভিডিওটা দেখে নিতে পারেন নিচের লিংক দেয়া থাকবে, ভিডিওটা দেখলে আপনি অন পেজ এসইও সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। সব সময় কনটেন্ট প্রদানের দিকে মনোযোগী হবেন এবং কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করার চেষ্টা করবেন।

২. অডিয়েন্সদেরকে কমেন্ট করতে উৎসাহী করা

অবশ্যই কনটেন্ট গুলোকে এমনভাবে লেখার চেষ্টা করবেন যেন আপনার অডিয়েন্সরা কমেন্ট করতে উৎসাহী হয়। প্রথমত এতে আপনার অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার কাজ করার মন-মানসিকতা উন্নতি হবে। এর পাশাপাশি যখন অডিয়েন্সরা আপনার কনটেন্টে কমেন্ট করবে তখন তার গুগলের চোখে ভালো দেখাবে এবং তার গুগলের ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 

এছাড়া কোন একটি আর্টিকেলে যদি একাধিক কমেন্ট থাকে সেক্ষেত্রে নতুন অডিয়েন্স আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবে এবং তারাও আপনার আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনাকে কমেন্ট করবে। এজন্য সব সময় আপনার অডিয়েন্স দেরকে কমেন্ট করতে উৎসাহী করবেন এবং তাদের কমেন্টে রিপ্লাই দিতে সব সময় সজাগ থাকবেন।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রমোট করা

আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হন কিংবা ব্লগিং সম্পর্কে খুব একটা ভালো ধারণা রাখেন না সেক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনাকে একটু প্রবলেম ফেস করতে হবে আপনার ওয়েবসাইট কে প্রমোট করার ক্ষেত্রে। তবে আপনি চাইলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রমোট করা শুরু করে দিতে পারেন। 

আপনি চাইলে ফেসবুক পেজকে ব্যবহার করে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটকে সবার সামনে প্রমোট করতে পারেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে অনেক বেশি পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব যদি আপনি সঠিক ফর্মুলা ইউজ করতে পারেন। 

৪. সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযুক্ত করা

নিয়মিত আপনার কন্টেনগুলোকে অপটিমাইজ করার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখে কিভাবে কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হয় সেটা শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও ব্যাক লিংক এবং টেকনিক্যাল seo এর দিকেও একটু মনোযোগী হতে হবে। নতুন নতুন SEO টেকনিক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে হবে। স্কিমা মার্কআপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের টেকনিকাল এসইও বিষয়গুলো কেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট গুলো খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযুক্ত হবে এবং এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে ভিজিটর আসা শুরু করবে।

৫. নিজেকে আপডেট করা

নিয়মিত আপনাকে কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোতে সবসময় আপডেট করতে হবে। নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এবং তা ইউটিলাইজ করতে হবে অর্থাৎ ব্যবহার করতে হবে। কনটেন্ট লেখার দিকে বিশেষ করে মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও কম্পিটিটার এনালাইসিস থেকে শুরু করে কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো কেউ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিনিয়ত অন্যের কনটেন্ট ও নিজের ভুল থেকে নিজেকে শিক্ষা নিতে হবে। এছাড়াও, নিজেকে আরও আপডেট করে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। 

আপনি প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রয়েছে কাজ করতে হবে। সব সময় মনে রাখবেন একজন সাকসেসফুল ওয়েবসাইট অনার হতে গেলে আপনাকে প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। আরো উপরের বিষয়গুলোকে সবসময় লক্ষ্য রেখে কাজ করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার সফলতা তাড়াতাড়ি আসবে।

ব্লগার ব্যবহারের সুবিধা সমূহ

ব্লগার যা মূলত ব্লগ স্পট নামে অনেক জনের কাছে পরিচিত, সবথেকে জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর অন্যতম একটি। যেখানে ফ্রি তে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। ব্লগার ব্যবহারের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে যা নিচে দেয়া হল

1. সহজে ব্যবহার উপযোগী: ব্লগারের ড্যাশবোর্ড খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি। যা খুবই সহজে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মে আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগ ওয়েবসাইট ফ্রি তে তৈরি করতে পারবেন এবং নিজের ইচ্ছামত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন। 

2. ফ্রি হোস্টিং: ব্লগার আপনাকে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করার পারমিশন দেয় যার জন্য আপনাকে কোন প্রকার টাকা পে করতে হবে না তাদের সার্ভিসের জন্য। এই মুহূর্তে যারা বিগিনার অর্থাৎ নতুন ভাবে শিখতেছে তাদের জন্য ব্লগার সব থেকে ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম কেননা প্রাথমিকভাবে তাদেরকে কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হয় না হোস্টিং এর জন্য। 

3. কাস্টম ডোমেইন যুক্ত করার সুবিধা: আপনি ব্লগারের মধ্যে চাইলে কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার ওয়েবসাইটকে আরো প্রফেশনাল ও ইউজারদের কাছে আকর্ষণীয় করবে। 

4. গুগলের যেকোনো সার্ভিস ইন্টিগ্রেট করা: যেহেতু ব্লগারের মালিক google সে ক্ষেত্রে গুগলের সমস্ত ফিচার আপনি এখানে যুক্ত করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি চাইলে গুগল এড*সেন্স, গুগল অ্যানালিটিক্স কিংবা গুগলের অন্যান্য সার্ভিস গুলো এখানে যুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকে আপনি অনেক বিষয়ে কন্ট্রোল করতে পারবেন।  এই জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোন টাকা পে করতে হবে না কিংবা কষ্ট করতে হবেনা।

5. কাস্টম থিম যুক্ত করার এবং কাস্টমাইজ করার সুবিধা: ব্লগারের কিছু ডিফল্ট থিম থাকলেও আপনি চাইলে প্রিমিয়াম থার্ড পার্টি দ্বারা নির্মিত থিম ব্যবহার করতে পারবেন ব্লগারের মধ্যে। এখান থেকে আপনি আপনার থিম কে পছন্দ মত কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এখানে এইচটিএমএল, সিএসএস কিংবা জাভা স্ক্রিপ্ট এর মত কোড গুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে আরো ফিচার সমৃদ্ধ এবং সুবিধা জনক পজিশনে নিয়ে যেতে পারবেন।

6. Built-in উইজেট: ব্লগারের মধ্যে আপনি অনেকগুলো built-in widgets পেয়ে যাবেন  যা আপনার ওয়েবসাইটকে আরো ফিচার সমৃদ্ধ করবে এর মধ্যে কয়েকটি হল সার্চ বার, সোশ্যাল মিডিয়া বাটন, সাবস্ক্রিপশন লিংক, এড*সেন্স, কাস্টম কোড, পপুলার পোস্ট, রিসেন্ট পোস্ট, কন্টাক্ট ফর্ম, ট্রান্সলেট এবং অন্যান্য আরো অনেক built-in widgets। 

7. রিয়াবিলিটি: যেহেতু এটি গুগলের প্রোডাক্ট সেহেতু আপনি আপনার ওয়েবসাইটে  reliability এবং আপটাইমের ওপর সবসময় ভরসা রাখতে পারেন। অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম কিন্তু ওয়েবসাইটে তুলনায় আপনার ওয়েবসাইট বেশি এবং ভালো আপ টাইম প্রদান করতে পারবে। আরো ডাউন টাইম তো নেই বললেই চলে যা আপনার ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরো বৃদ্ধি করবে। 

8. সিকিউরিটি: আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিয়ে আপনাকে কখনো চিন্তা করতে হবে না। কেননা google সব সময় সিকিউরিটির দিকে বেশি মনোযোগী। আর যেহেতু ব্লগার গুগলের প্রোডাক্ট সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি ইস্যু আসবে না বললেই চলে। তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার জিমেইল একাউন্ট কে সুরক্ষিত রাখতে হবে। 

9. SEO-Friendly: ব্লগার কে সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য অপটিমাইজ করা হয়েছে। যেই বিষয়গুলো একটি আর্টিকেলকে রেঙ্ক করায় সেই সমস্ত ফিচার আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। যেমন: টাইটেল যুক্ত করা, মেয়েটা ডিস্ক্রিপশন যুক্ত করা, URL কাস্টমাইজ করা, কনটেন্ট এর মধ্যে হেডিং এবং সাবহেডিং, ইমেজ ও ভিডিও অপটিমাইজ করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল ধরনের এসইও অপশন পেয়ে যাবেন। 

10. কুইক স্টার্ট: আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যেই আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। এখানে কোন অতিরিক্ত সবাই ব্যয় করতে হয় না এবং আলাদাভাবে কোন প্রকার কোডিং নলেজ রাখতে হয় না। আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। 

11. থার্ড পার্টি সাপোর্ট: facebook থেকে শুরু করে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে ব্লগারদের বিভিন্ন ধরনের কমিউনিটি এবং সাপোর্ট গ্রুপ রয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজে ই ব্লগার রিলেটেড যে কোন প্রকার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আর ইউটিউবেও যথেষ্ট পরিমাণে ভিডিও রয়েছে ব্লগার সম্পর্কে। 

উপসংহার

বর্তমানে যদি আপনি অনলাইন দুনিয়াতে টিকে থাকতে চান এবং অনলাইনে একটি ভালো ক্লিয়ার করতে চান সেক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় এবং এর পাশাপাশি কষ্ট করতে হয়। তবে ব্লগার ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই খুব অল্প টাইম এর মধ্যেই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। 

আপনি যদি ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলেই সমস্ত বিষয়ে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। আর আমরা ব্লগিং সম্পর্কে যাবতীয় ইনফরমেশন এবং গাইডলাইন প্রদান করি। আপনি যদি ব্লগিং এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের সাথে থাকতে পারেন। 

আমরা পরবর্তীতে এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত এবং পরবর্তী কারণসমূহ নিয়ে আরো আলোচনা করব। তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই আশা করি আর্টিকেলটা আপনাদের সামান্য হলেও কাজে দিবে। আর আপনাদের যদি কোন প্রকার প্রশ্ন কিংবা জানার বিষয় থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url