ব্লগিং কি? ব্লগিং শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪

 ব্লগিং,ব্লগ,ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন, ব্লগার,ব্লগার কাকে বলে,ব্লগের প্রকারভেদ ,কিভাবে ব্লগিং শুরু করব,কেন ব্লগিং করব,ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম,ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস vs ব্লগার,ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে হবে,ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস,ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়,google এডসেন্স,অফিলিয়েট মার্কেটিং ,কোথায় ব্লগিং শিখব (ফ্রিতে),মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং,ব্লগিংয়ের জন্য SEO,নিশ
আপনি কি ব্লগিং করতে ইন্টারেস্টড কিন্তু ব্লগিং সম্পর্কে কিছুই জানেন না? কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় এই সম্পর্কেও ধারণা নেই, তাহলে আপনি একা নন। সাম্প্রতিক সময়ে এই সমস্যা অনেক বাংলাদেশীদের মধ্যে রয়েছে যারা বর্তমানে ব্লগিং করতে চাচ্ছে কিন্তু পরিপূর্ণ গাইডলাইন না পাওয়ার কারণে ব্লগিং শুরু করতে পারছে না। 

আপনি যদি জানতে চান যে ব্লগিং কি, কিভাবে ব্লগিং করতে হয়, কোথায় ব্লগিং শিখব, কিভাবে ব্লগিং করে ইনকাম করব এবং কিভাবে সফল ব্লগারে পরিণত হব। তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে দিনে দিনে অনেক পরিমাণে ব্লগারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । 

অনলাইনে ইনকামের সবথেকে জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং মাধ্যমগুলোর একটি হল ব্লগিং।  ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি চাইলে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনি এক্সপার্ট ব্লগার এ রূপান্তর হতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার এই বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকে তাহলে কখনোই আপনি ব্লগিং সেক্টরে পেরে উঠতে পারবেন না। 

আর ব্লগিং সম্পর্কে আপনাদেরকে পরিপূর্ণ গাইডলাইন দেয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেল এই ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে করতে হয়, ব্লগিং শিখতে কোন জিনিসগুলো লাগে, কোথা থেকে ব্লগে শিখবেন, ব্লগিং করে কিভাবে আয় করবেন এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে।

সুতরাং একটু সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেল করার চেষ্টা করবেন। তাহলেই আশা করি আপনারা ব্লগিং এর অনেক বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে উঠতে পারবেন। এই আর্টিকেলকে আমরা খুব সহজভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরব যেন আপনারা যারা বিগিনার রয়েছেন, তারা যেন সবকিছু বুঝতে পারেন। তাহলে চলো অতিরিক্ত কথা না বলে আর্টিকেল শুরু করি। 

তবে এখানে একটু কথা বলে রাখতে চাই, আপনারা যারা ব্লগিং বিষয়ে আগ্রহী কিংবা এসইও কিংবা কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে যাবেন। আমাদের ফেসবুক গ্রুপে এই সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং ভিডিও শেয়ার করা হয়। যার মাধ্যমে আপনি ভালো কিছু শিখতে এবং জানতে পারবেন। তো অবশ্যই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে যাবেন।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং কি? ব্লগিং শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
ব্লগিং এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি আপনার আইডিয়া, এক্সপেরিয়েন্স এবং মতামত সবার সামনে কিংবা একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। স্বাভাবিক ভাষায় বলতে গেলে এটা আপনার একটি অনলাইন ডাইরি কিংবা জার্নালের মত যেখানে আপনি আপনার কথাগুলো সবার সামনে শেয়ার করতে পারবেন। 

এছাড়াও সবাই তা পড়তে পারবে এবং সেখানে ইন্টাররেক্ট করতে পারবে। ব্লগিং আপনাকে সবার সামনে আপনার কথাগুলোকে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে এবং সবার সাথে কানেক্ট করতে সহযোগিতা করে। বিশেষ করে যারা আপনার লেখার প্রতি ইন্টারেস্টেড রয়েছে। এছাড়াও ব্লগিংয়ে লেখালেখির পাশাপাশি আপনি হিউজ পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। 

ব্লগিং এর সংজ্ঞা কে আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যখন আমরা বাস্তবিক জীবনে লেখালেখি করি তখন তাকে লেখক বলি। কিন্তু একই লেখা যদি আমরা অনলাইনে লিখে সবার সামনে উপস্থাপন করি তখন তাকে ব্লগিং বলা হয় ।

উদাহরণস্বরূপ ধরে নেন আপনি একটি বিষয়ের উপর পারদর্শী এবং আপনি সেই বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। এখন আপনি যদি কোন একটি অডিয়েন্সকে টার্গেট করে এই আর্টিকেলগুলোকে সবার সামনে ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং যখন পাঠকরা এইগুলো এসে পড়ে ও আপনার সাথে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করে এই রকম সম্পূর্ণ একটি প্রসেসকে ব্লগিং বলা হচ্ছে। 

ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার পারদর্শিতা, এক্সপেরিয়েন্স এবং আইডিয়াগুলো পুরো পৃথিবীর সামনে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। আপনি যদি লেখালেখি করতে অভ্যস্ত থাকেন এবং এই বিষয়ে আপনার ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে আপনি ব্লগিং করতে পারেন । 

ব্লগার কারা এবং ব্লগার কাকে বলে?

ব্লগার শব্দটা আমাদের খুবই পরিচিত শব্দের অন্যতম একটি। অনলাইনে যখন আমরা কোন কাজ করিতে আসি তখন অবশ্যই এই ব্লগার শব্দটা শুনতে পারি । 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগার কারা, ব্লগার মানে কি? কিভাবে ব্লগার হওয়া যায় এবং ব্লগারদের কাজ কি? আসলে আমরা যারা ব্লগিং করি এবং লেখালেখি করি মূলত আমাদেরকে ব্লগার বলা হয়ে থাকেব্লগার অর্থ হচ্ছে অনলাইন লেখক। একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অনেকগুলো গুণাবলী থাকতে হয় অনেক বিষয়ে পারদর্শী হতে হয় এবং একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ব্লগাররা মূলত অনলাইনে লেখালেখির মাধ্যমে ইনকাম করে থাকে । 

সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল এর মতে প্রায় বাংলাদেশে ৩ থেকে ৫ লক্ষ এর অধিক ব্লগার রয়েছে। আপনি হয়তোবা শুনে অবাক হবেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা কাজ করে তাদের প্রত্যেকেরই প্রায় কমবেশি একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে তারা লেখালেখি করে সেটা হোক ইনকামের ক্ষেত্রে কিংবা তাদের স্কিল সম্পর্কে জানানোর জন্য। 

আশা করি ব্লগার কারা এ বিষয়ে আপনাদের একটি ধারণা চলে এসেছে। এখন তাহলে চলুন এখন জেনে আসি ব্লগিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। 

ব্লগের প্রকারভেদ ব্লগিং,ব্লগ,ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন, ব্লগার,ব্লগার কাকে বলে,ব্লগের প্রকারভেদ ,কিভাবে ব্লগিং শুরু করব,কেন ব্লগিং করব,ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম,ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস vs ব্লগার,ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে হবে,ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস,ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়,google এডসেন্স,অফিলিয়েট মার্কেটিং ,কোথায় ব্লগিং শিখব (ফ্রিতে),মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং,ব্লগিংয়ের জন্য SEO,নিশ

আর্টিকেলের প্রথমেই বলেছিলাম যে ব্লগিংকে মূলত একটি অনলাইন ডাইরির মত বিবেচনা করা হয়। সবাই  এই ব্লগিং সেক্টরকে নিজেদের প্রয়োজনমতো ব্যবহার করে। এইজন্য পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র ব্লগিং আর একটি ডায়েরি মতই সীমাবদ্ধ থাকেনি সেটা পরিণত হয়েছে বিভিন্ন ইনকাম এবং জ্ঞানের সোর্স হিসেবে। 

ব্লগিংকে অনেকজন অনেক ভাবেই প্রকারভেদ করে থাকে। উদ্দেশ্য ভেদে ব্লগিংকে বিভিন্ন প্রকারভেদে ভাগ করা যায় যার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় কয়েকটি প্রকারভেদ হলোঃ

১. পার্সোনাল ব্লগিং 

ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে যখন ব্লগিং অর্থাৎ লেখালেখি করা হয় তখন তাকে পার্সোনাল ব্লগ বলা হয়। পার্সোনাল ব্লগে মূলত নিজস্ব মতামত, আইডিয়া এবং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করা হয়। আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি সবার সামনে প্রকাশের জন্য সবথেকে ভালো মাধ্যম হতে পারে পার্সোনাল ব্লগিং। ব্লগিংয়ের এই ধারাবাহিকতাগুলো শুরু হয়েছিল প্রথমবার পার্সোনাল ব্লগ থেকে। আপনারা যারা নিজস্ব মতামত, আইডিয়া, এক্সপেরিয়েন্স সবার সামনে শেয়ার করতে চান তাদের জন্য মূলত পার্সোনাল ব্লগিং ফিট করবে।

২. সামাজিক ব্লগ 

যে ব্লগের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক দিকগুলো আলোচনা করা হয় সেটাই সামাজিক ব্লগ। সামাজিক ব্লগ মূলত কোন একটি নির্দিষ্ট গুষ্টি কিংবা সমাজকে কেন্দ্র করে হতে পারে। ধরে নেন সমাজে বর্তমানে কোন বিষয়গুলো জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং চলতেছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি এবং সামাজিক বিষয়গুলো সবার সামনে তুলে আনার জন্য মূলত সামাজিক ব্লগ করা হয়। আপনি যদি সমাজের বর্তমান পরিস্থিতি গুলো নিয়ে সবাইকে জানাতে চান এবং কোন জিনিসগুলো করলে সমাজ উন্নত হবে এই ধরনের জিনিসগুলো সবার সামনে প্রকাশ করতে চান। তাহলে আপনি সামাজিক ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন এবং সেখানে আপনার কথাগুলো ব্যক্ত করতে পারেন। 

৩. বিজনেস ব্লগ

যেকোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির নিত্য নতুন প্রোডাক্ট, সার্ভিস এবং বিভিন্ন প্রকার বিজ্ঞপ্তি এর জন্য বিজনেস ব্লগ তৈরি করা হয়ে থাকে। বিজনেস ব্লগ বলতে বোঝানো হচ্ছে কোন একটি প্রতিষ্ঠান তাদের সার্বিক বিষয়গুলো সেই ব্লগের মাধ্যমে সবার সামনে প্রচার করে। আমরা হয়তোবা জানি যে প্রত্যেকটি কোম্পানি তাদের কাস্টমারদেরকে তাদের আপডেট নিউজ জানানোর জন্য এই ব্লগ গুলো তৈরি করে থাকে। 

বড় বড় কোম্পানিগুলো এই ধরনের বিজনেস ব্লগ মূলত তৈরি করে থাকে। তাছাড়া অনেক মাঝারি থেকে ছোট সাইজের বিজনেস গুলো তাদের প্রোডাক্ট কে সবার সামনে নিয়ে আসতে এবং সেগুলোকে প্রচার করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। 

৪. অ্যাফিলিয়েট ব্লগ

যেসব ব্লগ সাইটকে মূলত তৈরি করা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে সেই সব ব্লগ ওয়েবসাইটকেই মূলত অ্যাফিলিয়েট ব্লগ বলা হয়। অ্যাফিলিয়েট ব্লগ কে মূলত তৈরি করা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যেই। এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে তারা ইনকাম জেনারেট করে। 

বেসিকালি এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো মূলত একটু উন্নত মানের এবং কোয়ালিটি সমৃদ্ধ হয়। এছাড়াও এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো থেকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাফিক পাওয়া তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। যেহেতু বাইরের দেশে অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট বিক্রি করে সম্ভব সেক্ষেত্রে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা এই ধরনের অ্যাফিলিয়েট ব্লগ তৈরি করে তাদের কার্যকলাপ পরিচালনা করতেছে।

৫. রিভিউ ব্লগ

রিভিউ ব্লগ মূলত এমন এক ধরনের ব্লগ যেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট, সার্ভিস কিংবা বিভিন্ন ধরনের উপাদানের কিংবা কোর্সের রিভিউ প্রদান করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ একজন সাধারণ ব্যক্তি সেই প্রোডাক্ট, কোর্স কিংবা যে সার্ভিসটা রয়েছে সেটা ব্যবহার করে কেমন ফিল করতেছে কিংবা এই ব্যাপারে তার মতামত কি এই ধরনের তথ্যগুলো রিভিউ ব্লগে যুক্ত করা হয়। 

ধরে নেন আপনি কোন একটি সার্ভিস ক্রয় করতে চাচ্ছেন এক্ষেত্রে জানতে চান যে আপনি যাদের কাছ থেকে সার্ভিস ক্রয় করতে চাচ্ছেন তাদের রেপুটেশন কেমন এবং যারা তাদের কোর্স করেছে তাদের ফিডব্যাক কেমন। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো পূর্বের তুলনায় বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে। 

৬. প্রশ্ন উত্তর ব্লগ

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল দেশেই এরকম প্রশ্ন উত্তর ব্লগ পাওয়া যায়। যেখানে কেউ প্রশ্ন করে এবং অন্য ব্যক্তি এসে সেটার উত্তর দিয়ে যায় এটাই মূলত প্রশ্নোত্তর ব্লগ। কোন ব্যক্তি যখন কোন কিছু জানতে চায় তখন সেই ব্যক্তি ব্লগে গিয়ে প্রশ্ন করে এবং অন্য ব্যক্তিরা আসে সেখানে আনসার দেয় এবং সেখানে যে কেউ চাইলে তার মতামত প্রকাশ করতে পারে। 

বর্তমানে সব বিষয়ে এ ধরনের অনেকগুলো প্রশ্ন উত্তর ব্লগ রয়েছে। যেখানে আপনাদের কোন বিষয়ের উপর অজানা থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন। যারা এই বিষয়গুলোতে এক্সপার্ট কিংবা ভালো জানে তারা এসে আপনাকে উত্তর দিয়ে সাহায্য করবে।

৭. নিউজ ব্লগ

সব থেকে পপুলার এবং জনপ্রিয় বাংলাদেশের যে ব্লগ সাইটগুলো পাওয়া যায় সেগুলো মূলত নিউজ ব্লগ। যেমন; প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, যুগান্তর ইত্যাদি। যে অন্যান্য নিউজের সাইটগুলো রয়েছে সেগুলো মূলত নিউজ ব্লগের মধ্যেই পড়ে। বর্তমানে এই ধরনের ব্লগ সাইটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া যায় কারণ এই ব্লগগুলোতে আপনার পছন্দমত সবকিছু লিখতে পারবেন।

তাছাড়া আরো অনেক প্রকারের উদ্দেশ্য এবং কাজের ধরনভেদে ব্লগ এর ধরন রয়েছে। কিন্তু আপনাকে বিবেচনা করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে ভালো পারেন এবং কোন বিষয়গুলোর উপর আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে। কিন্তু আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে যে কিভাবে ব্লগিং শুরু করব যদি এই প্রশ্ন মনে আসে তাহলে অবশ্যই নিচে সেকশনটা পড়ুন। কেননা এখানে আমরা আলোচনা করেছি আপনি কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে পারেন  

কিভাবে ব্লগিং শুরু করব স্টেপ বাই স্টেপ ২০২৪
ব্লগিং,ব্লগ,ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন, ব্লগার,ব্লগার কাকে বলে,ব্লগের প্রকারভেদ ,কিভাবে ব্লগিং শুরু করব,কেন ব্লগিং করব,ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম,ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস vs ব্লগার,ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে হবে,ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস,ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়,google এডসেন্স,অফিলিয়েট মার্কেটিং ,কোথায় ব্লগিং শিখব (ফ্রিতে),মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং,ব্লগিংয়ের জন্য SEO,নিশ

বাংলাদেশের বর্তমানে ব্লগিং এর মাধ্যমে নিজের মতামত, আইডিয়া এবং অন্যান্য বিষয়গুলো সবার সামনে প্রকাশ করা যায়। তাছাড়া ব্লগিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও এখানে একটি সুযোগ থাকে আপনার ইন্টারেস্টড ভিজিটরদের সাথে নিজের সম্পর্কে গড়ে তোলার। 

আপনি যদি ব্লগিং কিভাবে শুরু করতে হয় তা জানতে চান তাহলে নিচে আমি স্টেপ বাই স্টেপ আকারে তুলে ধরতেছি কিভাবে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

১. টপিক নির্বাচন করুন 

আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং করতে চাচ্ছেন তা প্রথমেই টপিক নির্বাচন করতে হবে। ব্লগিং এর সফলতা পাওয়া সব থেকে বড় একটি উপায় হচ্ছে সঠিক টপিক নির্বাচন করা। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট এবং ভালো নলেজ রয়েছে এবং আপনার অডিয়েন্স কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবেন সেই টপিক সিলেক্ট করার চেষ্টা করবেন। 

বর্তমানে বাংলাদেশের ভালো চলতেছে এমন কয়েকটি টপিক হল টেকনোলজি, হেলথ, ফুড, ফ্যাশন, ট্রাভেল ইত্যাদি টপিক গুলো। অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী এবং যে বিষয়ের ওপর আপনি কাস্টমার আকৃষ্ট করতে পারবেন সেই টপিকর উপর কাজ করার চেষ্টা করবে।  তাহলে আপনার সফলতার সহজেই পেয়ে যাবেন।

২. প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা 

একবার আপনি আপনার টপিক পেয়ে গেলে আপনাকে পরবর্তী যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনি কোন প্লাটফর্ম থেকে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা সিলেক্ট করতে হবে। বাংলাদেশ এবং অন্যান্য বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার। 

এই আর্টিকেলের পরের অংশে আমরা আলোচনা করব এই দুটি প্লাটফর্মকে নিয়ে। কিন্তু সর্বাধিক যে বিষয়টা মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আপনাকে একটি এমন প্লাটফর্ম সিলেক্ট করতে হবে যেটা আপনার সাথে মানানসই এবং আপনার চাহিদার সাথে মিল থাকে।

৩. ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে হবে 

একটি ডোমেই নেম হল আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস। যেমন, আমাদের ওয়েবসাইটের একটি এডড্রেস রয়েছে (bhtts.com) সেরকম আপনাকেও একটি এরকম এড্রেস ক্রয় করতে হবে। আপনি যখন ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে যাবেন তখন অবশ্যই মাথায় রাখবেন যেন নামটি অবশ্যই আট্রাক্টিভ হয় এবং সহজেই মনে রাখা যায়। 

তাছাড়া আপনি চাইলে বাংলাদেশি কিংবা ইন্টারন্যাশনাল এর ডোমেইন প্রোভাইডারের কাছ থেকে অল্প দামেই ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন। (কিভাবে ব্লগের জন্য উপযুক্ত ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে হয় বিস্তারিত করুন) 

৪. ব্লগ সেট আপ করতে হবে 

একবার আপনি আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার পর আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এর পাশাপাশি সেটাকে কাস্টমাইজ করতে হবে এবং সবার সামনে যেন ভালোভাবে উপস্থাপন করে এরকম ব্লগ ডিজাইন করতে হবে। 

যেন ওয়েবসাইটকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করবেন।  যেন সবাই আপনার ওয়েবসাইটে বারবার আসার চেষ্টা করে। তাছাড়া আপনার টপিকের ওপর ডিপেন্ড করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করার চেষ্টা করবেন।  

৫. ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট তৈরি করা 

আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে এবং তা সবার সামনে পাবলিশ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনার আর্টিকেল যেন ইনফরমেটিভ এবং আকর্ষণীয় হয় এবং আপনার অডিয়েন্স এর কাছে তা প্রাসঙ্গিক মনে হয়। 

এমনভাবে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন যেন সবাই আর্টিকেল কে সহজেই বুঝতে পারে। ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লেখার সময় একুরেট তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং আপডেট তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবেন যেন ইউজাররা সঠিক তথ্য পায়। 

৬. এসইও করা 

একবার আপনার আর্টিকেল লেখা হয়ে গেলে সেটাকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করতে হবে। আপনার আর্টিকেলকে সঠিকভাবে অন পেজ এসইও করতে হবে যেন তা সার্চ ইঞ্জিনে সবার সামনে প্রথমেই শো করার। যখন আপনার আর্টিকেল সবার সামনে ভালোভাবে শো করাবে তখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক পাবেন। অন পেজ এসইও করার সময় অনেকগুলো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় যেগুলো আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।

৭. ব্যাকলিংক তৈরি করা 

আপনার আর্টিকেল পাবলিশ হয়ে গেলে পরবর্তী কাজ হবে ট্রাস্টেড এবং বিশ্বাসযোগ্য সাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য রেফারেল লিংক অর্থাৎ ব্যাক লিংক নিতে হবে। আপনি ট্রাস্টেড ওয়েবসাইটগুলো থেকে ব্যাকলিংক নিয়ে আপনার ডোমেইনের অথোরিটি বৃদ্ধি করতে পারেন  যা এসইও করতে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। ব্যাক লিংক তৈরি করার সময় এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ব্যাক লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসঙ্গিক হয় এবং কনটেন্টের সাথেও। 

৮. ওয়েবসাইটকে প্রমোট করা 

আপনি যখন আর্টিকেল লিখে ফেলবেন এবং সঠিকভাবে এসইও করবেন এবং ব্যাক তৈরি করবেন তারপরে কাজ হলো আপনার ওয়েবসাইটকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে প্রমোট করতে হবে। আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (টুইটার এর বর্তমান নাম) ইত্যাদি মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে। আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করবেন এবং সঠিকভাবে প্রমোট করার চেষ্টা করবেন। যেন সবাই আপনার ওয়েবসাইটে আসে এবং আপনার লেখাগুলো সহজেই পড়ে এবং তাদেরকে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে উৎসাহিত করতে হবে। 

৯. মনিটাইজ করা 

একবার আপনার ওয়েবসাইটে সঠিকভাবে 50 টির মত আর্টিকেল লেখা হলে এবং ভালো পরিমাণে ট্রাফিক আসতে শুরু করলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে মনিটাইজ করতে পারবেন। অর্থাৎ ইনকামের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।  আপনি চাইলে ডিসপ্লে এডভারটাইজিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি এরকম আরো অনেকভাবে মনিটাইজ করতে পারবেন। 

ব্লগিং শুরু করা খুব সহজ কাজ নয় আবার খুব কঠিন কাজও নয়। যদি আপনি নিয়মিত ভালোভাবে আর্টিকেল লিখতে পারেন এবং তা সবার সামনে প্রমোট করে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন। তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই ইনকাম করতে পারবেন এবং সফল হতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখতে না পারেন এবং তা সবার সামনে নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে ব্লগিং শুরু করাটা আপনার জন্য খুবই কঠিন হতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কেন ব্লগিং করব এবং এর সুবিধা গুলো কি কি? ধরে নেন আপনি ব্লগিং করতে চাচ্ছেন কিন্তু কেন করবেন এবং এর সুবিধা গুলো কি কি? যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে ব্লগিংয়ের যাত্রা খুব একটা সহজ হবে না। যদি আপনি জানতে চান কেন আপনি ব্লগিং শুরু করবেন এবং এর সুবিধাগুলো কি কি তাহলে নিচের সেকশনটি পড়ুন। 

কেন ব্লগিং করব?

আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান কিন্তু এই প্রশ্ন আপনার মাথায় আসলে কেন ব্লগিং করবেন তাহলে তা অবশ্যই আপনার জানা উচিত। ব্লগিং শুরু করার অনেকগুলো রিজন রয়েছে যার কারনে আপনাকে ব্লগিং ট্রাই করা উচিত। তাহলে চলুন ব্লগিং কেন করব এই বিষয়টা একটু বিস্তারিত আকারে জেনে নেয়ার চেষ্টা করি। 

প্রথমত, ব্লগিং আপনাকে একটি স্বাধীন মতবাদ, আইডিয়া এবং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার অনুমতি দেয়। সহজে বলতে গেলে এটা আপনার ভার্চুয়াল ডাইরির মত যেখানে আপনার সমস্ত কথাগুলো লিখতে পারেন এবং সবার সামনে তা শেয়ার করতে পারেন

একজন ব্লগার হতেই পারলে আপনি সহজেই আপনার অডিয়েন্স দের কাছে আপনার পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরতে পারবেন।  এছাড়াও আপনার অডিয়েন্স কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আর ব্লগিং করতে গেলে অনেক কিছু শেখা যায় যা পূর্বে জানা থাকে না। একজন ব্লগার হওয়ার পর আপনি সহজেই বিভিন্ন বিষয় সম্পূর্ণরূপে জানতে পারবেন এবং আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের চাকরির ক্ষেত্রে লেখালেখির পারদর্শিতা কে গ্রহণযোগ্যতা প্রদান করে। আপনি যদি একজন ব্লগার হন তখন আপনার রাইটিং স্কিল পূর্বে তুলনায় অনেক গুণ বেড়ে যাবে যা আপনার অনেক কাজে দিবে। বিশেষ করে যখন আপনি পাশাপাশি চাকরি করতে যাবেন তখন আপনার এই রাইটিং স্কিল অনেক সুবিধা প্রদান করবে এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। 

তাছাড়া একজন প্রফেশনাল রাইটার হতে পারলে বিভিন্ন জায়গায় আপনি কাজের সুযোগ পেতে পারেন। আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনার সার্ভিস সেল দিতে পারবেন এবং বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠানে রিমোট ওয়ার্ক করতে পারবেন। 

একজন ভালো মানের ব্লগার হতে পারলে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজের জন্য এবং তাদের আর্টিকেল লিখিয়ে নেয়। যখন আপনি একজন ব্লগার হবেন তখন বিভিন্ন ধরনের স্পন্সারশিপ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে চাকরির ও সুযোগ হয়ে যায়। 

যদি আপনি তাদের মনমতো কাজ করে দিতে পারেন। যখন আপনি সম্পূর্ণরূপে ব্লগিং শিখে যাবেন তখন আপনি ইউটিউব এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন।

ব্লগিং ইনকামের দিক থেকে সেরা অনলাইন কাজের অন্যতম একটি। মানুষ ব্লগিং করে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারতেছে। ব্লগিং করলে ইনকামের হাজারো উপায় চলে আসে, যদি আপনি ব্লগিং সঠিকভাবে শিখতে এবং করতে পারেন। যখন আপনি ব্লগিং করবেন তখন চাইলে ডিসপ্লে অ্যাড মার্কেটিং কিংবা স্পন্সরশিপ, গেস্ট পোস্টিং এই ধরনের বিভিন্ন উপায় থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

যেমন আপনি আপনার স্কিল দিয়ে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এজেন্সি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য লেখালেখি করে দিতে পারবেন এবং চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও আপনার এই রাইটিং স্কিল কে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

সবশেষে বলতে চাই, আপনি যদি একজন লেখক হতে চান এবং লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলেই আপনি ব্লগার হতে পারবেন। আপনার রাইটিং স্কিল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়গুলো বিষয়গুলো কাজে লাগিয়ে ইনকামের নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করিতে পারবেন। 

সুতরাং বুঝতে পারতেছেন কেন ব্লগিং করা উচিত এবং ব্লগিং এর সুবিধা গুলো কি কি। তাছাড়া এগুলো আমি শুধুমাত্র সংক্ষেপ আকারে দিলাম এছাড়া আরো অনেক সুবিধা রয়েছে ব্লগিংয়ের যেগুলো আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব। 

কিন্তু ব্লগিং থেকে সর্বাধিক সুবিধা এবং সফলতা পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার কে গড়ে তুলবেন। আমরা পরবর্তী সেকশনে আলোচনা করব ব্লগিংয়ের জন্য সবথেকে ভালো প্ল্যাটফর্ম কোনটি, যেখান থেকে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। 

নতুনদের জন্য ব্লগিং করার সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনটি?ব্লগিং,ব্লগ,ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন, ব্লগার,ব্লগার কাকে বলে,ব্লগের প্রকারভেদ ,কিভাবে ব্লগিং শুরু করব,কেন ব্লগিং করব,ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম,ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস vs ব্লগার,ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে হবে,ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস,ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়,google এডসেন্স,অফিলিয়েট মার্কেটিং ,কোথায় ব্লগিং শিখব (ফ্রিতে),মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং,ব্লগিংয়ের জন্য SEO,নিশ

আমরা উপরে আলোচনা করেছি ব্লগিং কি, ব্লগিংয়ের প্রকারভেদ এবং কিভাবে সফল ব্লগার হওয়া যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু একটি সফল ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে। 

যখন কথা আসে ব্লগিং এর জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনটি তখন আপনার কাছে অনেকগুলো অপশন চলে আসবে। কিন্তু ব্লগিং করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় দুইটি প্লাটফর্ম হল ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস।  আমরা নিচে ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে সংক্ষেপে আকারে জেনে নেয়ার চেষ্টা করব।

১. ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেন সোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অর্থাৎ CMS যেটা আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে এবং সেটাকে পরিচালনা করতে অনুমতি দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং,পাবলিশিং, এসইও, প্রমোট এবং অন্যান্য সকল কাজ করতে পারবেন। 

ওয়ার্ডপ্রেস মূলত থার্ড পার্টি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে আপনি এখান থেকে যেকোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়ার্ডপ্রেসের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা নিচে জেনে নেই।

  • ওয়ার্ডপ্রেস খুব সহজেই পরিচালনা করা যায়।
  • নিজস্ব হোস্টিং থাকার ফলে আপনার পছন্দ মতো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
  • খুব সহজেই ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন ।
  • ওয়ার্ডপ্রেসে হাজার হাজার প্লাগিন এবং থিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনার কাজকে খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন।
  • সহজেই কনটেন্ট এডিটিং এবং পাবলিশিং করতে পারবেন।
  • অন্যান্য সকল প্লাটফর্মের থেকে এখানে seo করা খুবই সহজ কারণ এখানে অনেকগুলো থার্ড পার্টি প্লাগিন পেয়ে যাবেন।
  • সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আপনার ওয়েবসাইটকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করতে পারবেন।
  • ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু থার্ড পার্টি প্ল্যাটফর্ম এজন্য আপনাকে সব কিছুর জন্য টাকা খরচ করতে হতে পারে।
  • অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলো তুলনায় ওয়ার্ডপ্রেসের সিকিউরিটি সিস্টেম একটু দুর্বল। কিন্তু প্লাগিন ব্যবহার করলে তা সমাধান করা সম্ভব।

এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের আরো অনেক সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। তবে অসুবিধার তুলনায় সুবিধা অনেক বেশি। যেগুলো আপনি সহজেই উপভোগ করতে পারবেন যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন।

২. ব্লগার

ব্লগার ব্লগিং করার সবথেকে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলোর অন্যতম একটি। এটি গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট। ব্লগার ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট কে সহজেই তৈরি করতে পারবেন এবং তা পরিচালনা করতে পারবেন। এখানে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং, এডিটিং এবং পাবলিশিং সব কিছুই করতে পারবেন। 

কিন্তু ব্লগারের অনেকগুলো সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে যেগুলো অবশ্যই আপনার জানা উচিত। ব্লগারের কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা নিচে দেয়া হলো।

  • ব্লগার সম্পূর্ণ ফ্রি এখানে কোন প্রকার হোস্টিংয়ের জন্য টাকা খরচ করতে হবে না।
  • আপনি চাইলে অল্প টাকার মধ্যেই ডোমেইন কিনে যুক্ত করতে পারবেন অথবা আপনি চাইলে গুগলের সাবডোমেন ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ড্যাশবোর্ড খুবই সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি যা বিগিনার কিংবা এক্সপার্ট সবাই সহজেই ব্যবহার করতে পারবে।
  • গুগলের প্রোডাক্ট হওয়ার ফলে এর সিকিউরিটি সিস্টেম খুবই কঠোর যায় হ্যাক করা মূলত অসম্ভবের মত।
  • আপনি বিভিন্ন ধরনের থিম google এর ব্লগারই পেয়ে যাবেন এবং আপনি চাইলে থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম থিম ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ব্লগার ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই কোডিং সম্পর্কে একটু হলেও জ্ঞান রাখতে হবে।
  • ব্লগার এ যথেষ্ট পরিমাণে এসইও অপশন এবং প্লাগিন নেই যার ফলে এসইও করা একটু কষ্টকর।

এছাড়া আরো অনেক ধরনের সুবিধা অসুবিধা রয়েছে গুগল ব্লগারের। তবে যারা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে চান তারা ব্লগার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ওয়ার্ডপ্রেসের তুলনায় এখানে কম সুযোগ-সুবিধা এবং অপরচুনিটি রয়েছে। 

কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করলে লক্ষ্য করা যায় যে উভয় প্লাটফর্মের অনেকগুলো সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু আপনার যদি মনে মনে প্রশ্ন আসে যে ব্লগিংয়ের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনটি? 

তাহলে সব দিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে গুগল ব্লগারের তুলনায় আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ সেখানে অনেক বেশি পরিমাণে সুবিধা রয়েছে। 

তবে আপনি যদি নতুন হন এবং ব্লগিং সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে এবং প্রথমেই টাকা ব্যয় করতে না চান তাহলে আপনি ব্লগার দিয়ে শুরু করতে পারেন।  

ব্লগিং করার জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্লাটফর্ম বেছে নেয়ার চেষ্টা করবেন।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি লেখালেখি করতে পারবেন। কিন্তু সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে ইনকামের উপায় না থাকায় আপনি সহজেই ভালো কিছু করতে পারবেন না। তবুও আপনি যদি ফ্রিতে এই ধরনের প্লাটফর্মে কাজ করতে চান তাহলে আপনি মিডিয়াম, ট্রামব্লার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

এখন হয়তোবা অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতেছে যে ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা ব্যয় করতে হয় এবং কোন কোন কাজের জন্য টাকা ব্যয় করতে হয়। আপনি যদি এই বিষয়টি জানতে চান তাহলে পরের সেকশনটি পড়তে হবে।

ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে লাগে?

আমরা আর্টিকেলের প্রথম ভাগ থেকেই জেনে আসতেছে যে ব্লগিং করে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। কিন্তু অনেকেই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা লাগতে পারে। তাহলে চলুন এই বিষয়টাকে আমরা একটু ভালোভাবে জেনে নিন।

প্রথম কথা আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনি কোন প্রকার টাকা খরচ না করেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি কোন প্রকার টাকা দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে না চান তাহলে অবশ্যই ব্লগার প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ব্লগার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন এবং ব্লগারকে প্রফেশনাল ভাবে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু অল্প পরিমাণে টাকা ব্যয় করতে হবে।

আপনি যদি ব্লগার কে প্রফেশনাল লুক দিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি ডোমেইন নেম ক্রয় করতে হবে। বাজারে বর্তমানে একটি ডট কম ডোমেইনের দাম ১ হাজার টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রমোশন জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেও ডট কম ডোমেইন সেল করতেছে। কিন্তু আপনার বাজেট যদি তবুও অত পরিমানে না হয় তাহলে আপনি .xyz বা .info ডোমেইন দিয়েও ব্লগিং শুরু করতে পারবেন ব্লগার ব্যবহার করে।

কিন্তু আপনি যদি আরও প্রফেশনাল এবং ব্লগিংকে একটি পেশা হিসাবে বেছে নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা উচিত। ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক পরিমাণে সুবিধা থাকার ফলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই সফল ব্লগারের পরিণত হতে পারবেন। 

কিন্তু আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে একটু বেশি টাকা খরচ করতে হবে। প্রথমত আপনাকে অবশ্যই একটি ডোমেইন এড্রেস এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। আপনি যদি এই সেক্টরে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ১ জিবি থেকে শুরু করে ৫ জিবির মধ্যে হোস্টিং গুলো ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ১ জিবি থেকে ৫ জিবি হোস্টিং প্যাকেজের দাম ১০০০ থেকে ২৫০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন সময় ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে আপনি চাইলে সেই ডিসকাউন্ট গুলো ব্যবহার করে আরো আপনার দেয় কমিয়ে আনতে পারেন ।

সর্বোপরি আপনি যদি প্রফেশনাল ব্লগিং করতে চান তাহলে অনেক সময় আপনাকে টাকা ব্যয় করতে হতে পারে। যেমন থিম কিনার সময়, ব্যাক লিংক তৈরি করার সময়, কোন কোন ক্ষেত্রে এসইও করার জন্য টাকা ব্যয় করা লাগতে পারে। কিন্তু আপনি চাইলে ফ্রিতেও আপনার ব্লগিং যাত্রা শুরু করতে পারবেন।

ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ব্লগিং আপনার আইডিয়া এবং আপনার মতবাদকে সবার সামনে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সেখান থেকে একটি সফল ক্যারিয়ার গঠন করতে সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু একজন সফল ব্লগার হতে গেলে ব্লগিংয়ে আপনাকে অনেকে পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। পরিশ্রম এবং ধৈর্য ছাড়া আরো অনেক বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয়। 

একজন সফল ব্লগার হতে গেলে নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া হলো কিভাবে আপনি সফল ব্লগার হতে পারেন সেই বিষয়ে।

১. একটি ভালো টপিক নির্বাচন করা 

আপনার ব্লগিং সফল হবে কিনা তা নির্ধারণ করে আপনার টপিকের উপর। আপনি যদি ব্লগিংয়ে ইনকামের জন্য শুধুমাত্র ভালো পরিমাণে ইনকাম করার উদ্দেশ্যে এমন টপিক বাছাই করেন যেই সম্পর্কে আপনার কোন প্রকার জ্ঞান কিংবা পারদর্শিতা নেই তাহলে এই ব্লগিং সেক্টরের সফল হওয়া কঠিন হয়ে যাবে। 

কিন্তু আপনি যদি এমন একটি টপিক সিলেক্ট করতে পারেন যেই সম্পর্কে আপনার পারদর্শিতা এবং জ্ঞান রয়েছে এবং সেখান থেকে অন্যদেরকে সহায়তা করতে পারবেন। আপনি যদি এই ধরনের টপিক নির্বাচন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল ব্লগারের পরিণত হতে পারবেন।

২. হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করা 

ব্লগিংয়ের সফলতা নির্ধারণ করে মূলত আপনার কনটেন্ট কতটা মূল্যবান তার ওপর। আপনি যদি ভালোভাবে রিসার্চ করে সঠিক তথ্য সহকারে মূল্যবান এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখতে পারেন। তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ইনকাম করতে পারবেন এবং একজন সফল ব্লগার এ পরিণত হতে পারবেন। 

মনে রাখবেন ব্লগিং মানেই লেখালেখি করা, আপনি যদি সঠিকভাবে লেখালেখি করতে না পারেন তাহলে এই ব্লগিং সেক্টরে বর্তমানে সফল হওয়া খুবই মুশকিল হয়ে যাবে। সুতরাং মূল্যবান কনটেন্ট তৈরি করা একজন সফল ব্লগার হওয়ার মূল চাবিকাঠি। 

৩. এসইও করা এবং ওয়েবসাইট প্রমোট করা 

আপনি যদি শুধুমাত্র মূল্যবান এবং ইনফরমেটিভ আর্টিক্যাল লিখেন কিন্তু তা গুগলের সাবমিট না করে এবং অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে শেয়ার না করেন। তাহলে সেই আর্টিকেল দিয়ে আপনি কখনোই ভালো কিছু করতে পারবেন না ।

আপনি যখন সঠিক আর্টিকেল লিখবেন এর পাশাপাশি এসইও এবং অন্যান্য মাধ্যম গুলো থেকে ট্রাফিক আনতে পারবেন তখনই আপনি সফল ব্লগার এ পরিণত হতে পারবেন। আর্টিকেল এবং এসইও সব সময় একে ওপরের উপর নির্ভরশীল। 

যদি আপনি দুইটার মধ্যে যখন একটি কে কম গুরুত্ব দেন তাহলে আপনি সফল হতে পারবেন না। সুতরাং অবশ্যই ভালোভাবে এসইও করবেন এবং google এর সাবমিট করবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করবেন এবং ট্রাফিক নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন।

৪. ভিজিটরদেরকে আকৃষ্ট করা 

আপনি একবার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারলে অবশ্যই আপনাকে ট্রাফিকদেরকে ধরে রাখতে হবে এবং তাদেরকে আকৃষ্ট করতে হবে। এই জন্য আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বজায় রাখবেন এবং ওয়েবসাইটে ডিজাইন সুন্দর করবেন এবং আপনার ভিজিটরদেরকে কমেন্ট এবং প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত করবেন। 

আপনি আপনার অডিয়েন্স কে যত পরিমাণে আকৃষ্ট করতে পারবেন আপনি ততই সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকবেন। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ভিজিটরদের কে আকৃষ্ট করার কৌশল গুলো জেনে নিতে হবে।

৫. নিয়মিত কাজ করা 

আপনি যখন একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন প্রথম দিকে আপনি ভালো কিছু না করতে পারেন কিন্তু আপনার হাল ছেড়ে দেয়া চলবে না। আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ চালিয়ে যান এবং সকল নিয়ম মেনে কাজ করেন তাহলে হয়তোবা কিছু নির্দিষ্ট সময় পর আপনার ওয়েবসাইট 

ট্রাফিক পাওয়া শুরু করবে এবং আপনার ইনকাম শুরু হবে। কিন্তু যারা নিয়মিত কাজ করতে চাই না এবং সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখে না তাদের জন্য ব্লগিং কখনোই সফলতা নিয়ে আসবে না।  

আপনাকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এবং সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট প্রদান করতে হবে।  আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যম অবলম্বন করতে হবে।

আপনি যদি ওপরে টিপস গুলো ফলো করেন তাহলে কিছু নির্দিষ্ট সময় আপনি একজন সফল ব্লগারই পরিণত হতে পারবেন। 

মনে রাখবেন ব্লগিং শুধুমাত্র ইনকামের জন্য কখনোই এক, দুই বা ছয় মাসের মধ্যেই ভালো পরিমাণে ইনকাম করবেন তা কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে কিন্তু যদি আপনি সবার দিক থেকে লক্ষ্য করেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ব্লগিং সেক্টরে এক থেকে দেড় বছর কমপক্ষে অপেক্ষা করতে হবে এবং নিয়মিত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। 

তাহলেই আপনি সফল ব্লগার এ রূপান্তর হতে পারবেন। আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় তাহলে অবশ্যই নিচে সেকশনটা পড়ুন। কারণ আমি নিজের সেকশনে কিভাবে ব্লগিং থেকে ইনকাম করা যায় সেই বিষয়টা ভালোভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়?

এতক্ষণ ধরে আমরা জানলাম ব্লগিং কি, ব্লগিংয়ের প্রকারভেদ, ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায়, ব্লগিং কেন করব এবং ব্লগিংয়ের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম কোনগুলো। কিন্তু এইসব বিষয় আমাদের কাছে যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কিভাবে আমরা ব্লগিং করে ইনকাম করব। 

একজন ব্যক্তি মূলত ব্লগিং করে থাকে ইনকামের জন্যই। আপনি যখন কষ্ট করে ভ্যালুএবল আর্টিকেল লিখবেন এবং সেখানে কষ্ট করে ট্রাফিক নিয়ে আসবেন তখন অবশ্যই আপনার উচিত সেই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করা। 

ব্লগিং করে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলো সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি সহজেই মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং থেকে ইনকাম করা যায় এরকম কয়েকটি উপায় নিচে দেওয়া হল;

১. ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং 

ডিসপ্লে অ্যাডভার্টাইজিং মানে হল আপনার ওয়েবসাইটে এড এর মাধ্যমে ইনকাম করা। আমরা সবাই জানি যে ডিসপ্লে এডভারটাইজিং করার জন্য সেরা উপায় হলো google এড*সেন্স। আপনি যদি এই মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটকে মনিটাইজ করতে চান তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করিতে পারবেন। 

গুগল এড*সেন্স অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য আপনাকে তাদের পলিসি মেনে কন্টেন্ট লিখতে হবে এবং ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যখন আপনার একবার ওয়েবসাইট অনুমোদন পেয়ে যাবে তখন আপনার ওয়েবসাইটে তাদের এড লাগিয়ে ইনকাম করিতে পারবেন।

২  অফিলিয়েট মার্কেটিং 

আপনি আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যখন অ্যাফিলিয়েটেড কোন প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে শেয়ার করবেন এবং যখন কেউ সেই প্রোডাক্টটি ক্রয় করবে তখন আপনাকে কিছু সেই বিক্রি একে কিছু পরিমাণ টাকা আপনাকে দেয়া হবে। আপনি একই ভাবে যতগুলো প্রোডাক্ট অন্যদের কাছে সেল করতে পারবেন আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

৩. স্পন্সার শিপ 

আপনি যখন সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখবেন এবং তাতে যদি সঠিক ভিজিটর আসবেন তখন অনেক কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস আপনার ভিজিটরদেরকে জানানোর জন্য অনেক সময় স্পন্সরশিপ করে থাকে। আপনি যখন তাদের প্রোডাক্টগুলো আপনার কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিবেন তখন তারা আপনাকে এর বদলে কিছু পরিমাণে টাকা দিবে। এভাবেও আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

৪. সার্ভিস অফার 

আপনার যদি নিজস্ব কোন স্কিল থাকে তাহলে আপনি সেই স্কিল ব্যবহার করে সার্ভিস অফার করতে পারবেন আপনার ভিজিটরদের কাছ থেকে। ধরে নেন আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং সম্পর্কে ভালো জানেন তখন আপনি আপনার ভিজিটরদের কাছে আপনার সার্ভিসগুলো প্রমোট করতে পারবেন। 

যার ফলে অনেক জন আপনার কাছ থেকে আর্টিকেল কিনতে পারে। যার ফলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তখন আপনি চাইলে যে কোন প্রকার সার্ভিস আপনার ভিজিটরদেরকে দিতে পারবেন।

৫. কোর্স বিক্রি 

আপনি যদি কোন একটি বিষয়ের ওপর দারুণভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি চাইলে দের কাছে আপনার নিজস্ব কোর্স সেল করতে পারবেন। আপনি প্রয়োজনে ইউটিউব কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারেন আপনার কোর্স বিক্রির জন্য ।

৬. গেস্ট পোস্টিং বা অতিথি লেখক

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে ডোমেইন অথিওরিটি অনেক বৃদ্ধি করবেন এবং অনেক পরিমাণে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসবেন। তখন অনেক এসইও এক্সপার্ট এবং এজেন্সি রা আপনার কাছ থেকে ব্যাকলিঙ্ক নিতে আসবে। তখন আপনি তাদের কাছ থেকে প্রত্যেকটি গেস্ট পোস্টিং এর জন্য কিছু পরিমাণ এমাউন্ট চার্জ করতে পারেন। 

ধরে নেন আপনি একটি গেস্ট পোস্টিং এর জন্য ১০ ডলার করে নিচ্ছেন। তাহলে আপনি যদি মাসে ৫টি এরকম গেস্ট পোস্টিং পেতে পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম দাঁড়াবে ৫০ ডলারে। 

মূলত যারা ইন্টারন্যাশনাল ব্লগিং করে তাদের একটি বড় ইনকাম সোর্স হলো এই গেস্ট পোস্টিং। এজন্য অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়াও ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে এবং যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে করে এই সেক্টর থেকে ইনকাম করার সম্ভাবনা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। 

মনে রাখবেন ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আপনি ইউনিক এবং কোয়ালিটি কনটেন্ট অডিয়েন্স তৈরি এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধির পিছনে ফোকাস করুন। তাহলে দেখবেন অটোমেটিক্যালি আপনার ইনকামের অনেকগুলো অপশন চলে আসবে।

ফ্রিতে কিভাবে ব্লগিং শিখব

আপনি যদি ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে তার আগেই আপনাকে কিভাবে ব্লগিং করবেন তা শিখে নিতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্লগিং শিখতে না পারেন তাহলে কখনোই ব্লগিংয়ের সফল হওয়া আপনার জন্য সহজ হবে না। এজন্য আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি ব্লগিং শিখতে পারেন এবং তা আপনার কাজে লাগাতে পারেন।

ব্লগিং শেখার জন্য অনেকগুলোর উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইউটিউব। আপনি ইউটিউবে ব্লগিং এর উপর অনেকগুলো ভিডিও পেয়ে যাবেন। যেখানে হয়তো আপনি ব্লগিং শিখে যেতে পারেন। তাছাড়া আমাদের একটি youtube চ্যানেল রয়েছে যেখানে আমরা ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সেগুলো শিখাই আপনি চাইলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলকে ফলো করতে পারেন। 

ব্লগিং শেখার জনপ্রিয় আরেকটু উপায় হল ব্লগ। আমাদের ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য এই রিলেটেড ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি নানা ধরনের রিসোর্স পেয়ে যাবেন। যেগুলো আপনি কাজে লাগিয়ে একজন সফল ব্লগার এ পরিণত হতে পারবেন। 

আমাদের এই ব্লগ তৈরি করা হয়েছে ব্লগিংকে সহজ করার জন্য এবং সহজেই ব্লগিং শেখার জন্য। সুতরাং আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটকে ফলো করতে পারেন ব্লগিং শেখার জন্য। 

কিন্তু আপনি যদি আরও ভালোভাবে ব্লগিং করতে চান এবং ব্লগিং শিখতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে একটি ব্লগিং সম্পর্কিত ভালো কোর্স করা। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্লগিং সম্পর্কিত অনেক কোর্স চালু করেছে। আপনি তাদের কাছ থেকে ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন যা আপনাকে সফল ব্লগার হওয়ার জন্য সহযোগিতা করবে। 

তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হতে পারেন কেননা আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে একটি করে ফ্রি লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদেরকে ব্লগিং শেখানোর চেষ্টা করতেছি। সেখানে আমরা ব্লগিংয়ের বিভিন্ন সেক্টরে নিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহের নতুন নতুন বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন হচ্ছে। সুতরাং আপনারা যারা ফ্রিতে ব্লগিং কোর্স করতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে যাবেন। 

মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং সম্ভব কিনা?

আমাদের করা একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ ব্লগার তাদের ব্লগিং মোবাইলের দ্বারা করে থাকে। এই পরিসংখ্যানে প্রায় 4000 জন অংশগ্রহণ করেছিল। সুতরাং এখান থেকে আমরা একটি সার্বিক ধারণা পেতে পারি সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ব্লগারদের মধ্যে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করার হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে লেটেস্ট টেকনোলজি মোবাইল ফোন থাকার কারণে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে খুব একটা প্রবলেম এর মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। 

সত্যি বলতে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করা সম্ভব কিন্তু এখানে কিছু অসুবিধা হয়। তবে আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি গুগল ব্লগার দিয়ে শুরু করতে পারেন। কেননা গুগল ব্লগার এ খুব একটা বড় ফাংশনালিটি নেই যার কারণে ছোট মোবাইল দিয়েও কাজ করা সম্ভব। 

তবে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা আরো বড় লেভেলের কাজগুলো করতে চান সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে এই কাজগুলো করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য। তবে মোবাইল দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস সাইট পরিচালনা করা সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে গেলে সব থেকে সুবিধা পাওয়া যায় কনটেন্ট রাইটিং এবং এসইও করার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে ব্লগার এর মধ্যে এই সমস্ত কাজ করার ক্ষেত্রে। মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই কন্টেন্ট রাইটিং করা সম্ভব, এর পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই ব্লগারের একাউন্ট পরিচালনা করা সম্ভব এছাড়া অন্যান্য কার্যকলাপ করা সম্ভব। 

এছাড়া মোবাইল দিয়ে ছোটখাটো ইমেজ এডিটিং এবং ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব যা ব্লগ পোস্টের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ওয়েবসাইটে প্রমোশন করার ক্ষেত্রে মোবাইল অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখতে পারে। 

তবে আপনি যদি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান এবং আরো বেশি পরিমাণে আপনার ট্রাফিককে বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করা উপযুক্ত হবে। তবে মোবাইল দিয়েও ব্লগিং করা সম্ভব। এই বিষয়ে যদি আপনারা বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন পরবর্তীতে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল দেয়া হবে। 

ব্লগিংয়ের জন্য কীভাবে SEO করব?

ব্লগিংয়ের জন্য এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। একটি আর্টিকেলকে সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করার জন্য এসইও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

আমি পূর্বেই বলেছি যে কনটেন্ট এবং এসইও ব্লগিং এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি যদি এসইও করতে চান আপনার আর্টিকেলের জন্য সে ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউব এর সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ কাজ করেন সে ক্ষেত্রে আপনি থার্ড পার্টি অনেক এসইও প্লাগিন পেয়ে যাবেন যেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই অন পেজ এসইও করতে পারবেন। 

তবে আপনি যদি ব্লগার ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে একই ফর্মুলা ব্যবহার করে আপনার এসইও করতে পারবেন। এসইও করার সময় এই বিষয়গুলোকে সবসময় মাথায় রাখবেন:

  • কিওয়ার্ড রিসার্চ
  • হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট কমপক্ষে ১০০০ শব্দের
  • টাইটেল অপটিমাইজ 
  • মেটা ডিসক্রিপশন অপটিমাইজ
  • url অপটিমাইজ
  • সাব হেডিং এবং হেডিং ব্যবহার করা
  • হেডিং এবং সাব হেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করা
  • ইন্টার্নাল লিংকিং করা
  • এক্সটার্নাল লিংকিং করা
  • ইমেজ এবং ভিডিও ব্যবহার করা
  • ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ যুক্ত করা
  • কীওয়ার্ড ডেনসিটি বজায় রাখা
  • ইমেজের মধ্যে অল্টারনেটিভ ট্যাগ যুক্ত করা
  • স্কিমা মার্কআপ যুক্ত করা

ব্লগিং,ব্লগ,ব্লগিং কি, ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন সম্পূর্ণ গাইডলাইন, ব্লগার,ব্লগার কাকে বলে,ব্লগের প্রকারভেদ ,কিভাবে ব্লগিং শুরু করব,কেন ব্লগিং করব,ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম,ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস vs ব্লগার,ব্লগিং শুরু করতে কত টাকা খরচ করতে হবে,ব্লগিং এ সফল হওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস,ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়,google এডসেন্স,অফিলিয়েট মার্কেটিং ,কোথায় ব্লগিং শিখব (ফ্রিতে),মোবাইল ফোন দিয়ে ব্লগিং,ব্লগিংয়ের জন্য SEO,নিশ
মূলত এইসব বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রেখে আপনার অন পেজ এসইও করার চেষ্টা করবেন। এর পাশাপাশি টেকনিকাল এসইও এবং লিংক বিল্ডিং এর দিকে মনোযোগী হবেন। এতে করে আপনার এসইও সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়ে যাবে ওয়েবসাইটের জন্য। 

ব্লগিং এ নিশ প্রয়োজনীয়তা

ব্লগিংয়ের সফল হতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি সুনির্দিষ্ট নিশ বাছাই করে নিতে হবে। কেননা ব্লগিংয়ে সফলতা হলে এটি অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখে। আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন তখন আপনি একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে কাজ করতে পারবেন। 

যখন আপনি একটি সুনির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করবেন তখন আপনার টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজতে খুব একটা প্রবলেম এর মধ্যে পড়তে হবে না। একটি নির্দিষ্ট নিস নিয়ে কাজ করলে আপনার টার্গেট খুঁজে বের করা সহজ এবং তাদেরকে সঠিক কনটেন্ট প্রোভাইড করা সহজ হয়ে যাবে। 

নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করার ফলে আপনি খুব সহজেই রিলেটেড কন্টেন্টগুলো লিখতে এবং পাবলিশ করতে পারবেন। এছাড়া যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করবেন তখন সেই বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা পূর্বের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পাবে। 

যা আপনাকে পরবর্তীতে আরো ভালো এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট এবং এসইও করতে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট টপিক অনুযায়ী কাজ করবেন তখন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে আপনি লিখতে পারবেন এবং নতুন নতুন টার্গেট অডিয়েন্স কে খুজে বের করতে পারবেন। 

তাছাড়া যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট নিস নিয়ে কাজ করবেন তখন আপনার ব্র্যান্ড ভিজিবিলিটি পূর্বের তুলনায় আরো বৃদ্ধি পাবে যা আপনাকে একটি ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। নিশ বাছাই করার পূর্বে অবশ্যই আপনার সেই নিশ সম্পর্কে আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ করে নিবেন এতে আপনার  পরবর্তীতে কাজ করতে অনুপ্রেরনা পাবেন।

আমাদের শেষ কথা

ব্লগিং অনলাইন এ ইনকাম করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হয়ে থাকলেও ব্লগিং মূলত আইডিয়া, এক্সপেরিয়েন্স এবং মতবাদ প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বর্তমানে একজন সফল ব্লগার হওয়া তুলনামূলক অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে পূর্বের তুলনায়। 

কিন্তু আপনি সঠিক টুল এবং পদ্ধতি অবলম্বন করে সহজেই একজন ভালো মানের ব্লগার হতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। শুধুমাত্র মনে রাখবেন সঠিক টপিক, মূল্যবান কনটেন্ট, কম্পিটিটার এনালাইসিস, এসইও এবং প্রমোট এবং অডিয়েন্সকে অ্যাট্রাক্টিভ একজন সফল ব্লগার হওয়ার মূল মন্ত্র। 

আজকের এই আর্টিকেলে ব্লগিং কি, কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয়, ব্লগিংয়ের প্রকারভেদ, কিভাবে সফল ব্লগার পরিণত হবেন, কেন ব্লগিং করবেন এবং কত টাকা খরচ হতে পারে এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনাদের যদি কোন প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি আমাদেরকে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। 

আমরা যতসব দ্রুত সম্ভব আপনাদেরকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আর আপনারা যারা এখনো আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হননি তারা অবশ্যই আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে যাবেন এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেলকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। তো আজকের এই পর্যন্ত সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url