কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়- ৯টি কার্যকরী টিপস

 আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন? অথবা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নতুন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শুরু করবেন সেই বিষয়ে কোন ধারণা নেই? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করব। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এ নতুনরা ভালোভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব। 

কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়- ৯টি কার্যকরী টিপস

সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার যুক্ত হচ্ছে এবং তাদের দক্ষতা অনুযায়ী তারা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতেছে। তবে অনেকাংশ নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সঠিক গাইডলাইনের অভাবে এবং সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ফ্রিল্যান্সিং এই ব্যর্থতার শিখার হচ্ছে। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব এর পাশাপাশি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার টিপস প্রদান করব। যা ফলো করে খুব দ্রুত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভালো কিছু করতে পারেন।

চলুন মূল কথায় ফিরে আসি!

নতুন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন হয়?

বিগিনারদের মধ্যে সবথেকে একটি কমন প্রশ্ন হল ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি লাগে? অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে হলে কোন কোন বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান রাখা জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রাথমিক কিছু বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা এবং জ্ঞান রাখতে হবে। যেগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। বিশেষ করে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের এই বেসিক বিষয়গুলো দরকার কাজ করার ক্ষেত্রে।

১. কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা

বর্তমান দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অবশ্যই কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আপনি অনলাইনে কাজ করতে আসবেন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর সমূহতে কাজ করতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা রাখতে হবে। 

বিশেষ করে সব থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলো যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি এর মত ফ্রিল্যান্সিং কাজ সমূহগুলোতে। এছাড়াও ভালোভাবে টাইপিং করার দক্ষতা এবং বেশি কম্পিউটার ফাংশন গুলো জানা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং এর একটু অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে কম্পিউটার ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করবেন।

২. ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। সুতরাং আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে এক্সপার্ট হয়ে নিবেন। কেননা ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ গুলো করার জন্য ইন্টারনেটের শর্টকাট এবং বেসিক নলেজ গুলো থাকা অবশ্যই জরুরী। 

আর ইন্টারনেট ব্যবহারে আপনি যতটা এক্সপার্ট হবেন তা তো সহজেই আপনি অন্যান্য কাজগুলো শিখতে এবং বুঝতে পারবেন এবং নিজে নিজে রিসার্চ করতে পারবেন। 

এজন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ শুরু করার পূর্বে অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ইংরেজি বলার দক্ষতা

আপনি ইন্টারনেটে সমস্ত ক্লায়েন্ট এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে ইংরেজি ভাষাতে যোগাযোগ করবেন। সহজে বলতে গেলে ইন্টারনেটের ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড যাবতীয় কাজ ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে। 

প্রতিনিয়ত ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এবং লাইভে গিয়ে ক্লায়েন্টকে সব কিছু বোঝানো রিলেটেড কাজের জন্য অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে। ইংরেজি ভাষা বলার এবং লেখার যত ভালো দক্ষতা থাকবে আপনার আপনি তত অ্যাডভান্টেজ পাবেন। 

অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং য়ে ভালো কাজ পারে কিন্তু ক্লায়েন্টকে সঠিকভাবে বোঝানোর ব্যর্থতার কারণে সহজে সবকিছু পারেনা। এই জন্য অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় এমন ভাবে রপ্ত করতে হবে যেন ক্লায়েন্টকে সমস্ত কিছু বোঝাতে পারবেন এবং তাকে কাজ করাতে রাজি করতে পারবেন। 

যদি আপনি ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে খুবই কম ধারণা রাখেন তাহলে প্রথমে ইংরেজি শেখার দিকে একটু নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে ইংরেজি শেখার বিভিন্ন কোর্স রয়েছে যেগুলোতে জয়েন হয়ে ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন। 

তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট লাগবে না। তবে আপনি যদি ভাষা বোঝার এবং লেখার মত ইংরেজি দক্ষতা রাখেন তাহলে কাজ শুরু করে দিতে পারেন পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ইংরেজি ভাষা শিখবেন।

অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে এই বিষয়গুলো শিখতে হবে। এই তিনটি বিষয়ে আপনি ভালোভাবে প্রাথমিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারলে যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং কাজের সেক্টরে ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই ভিত্তি মজবুত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতে। 

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৯টি টিপস

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭টি টিপস

নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে রয়েছে যেগুলো ফলো করলে খুব সহজেই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়। অবশ্য একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে এই স্টেপ গুলো ফলো করলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো কিছু করা সম্ভবনা রয়েছে। নিচে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৯ টি টিপস রয়েছে যা আপনার অবশ্যই ফলো করা উচিত।

১. নিজের দক্ষতা ও আগ্রহ চিহ্নিত করা

ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে নিজের দক্ষতা এবং আগ্রহ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি কোন কাজগুলো করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন এবং কোন কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ রয়েছে সেই বিষয় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

আপনি ধরে নেন ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে আপনি ভিডিও এডিটিং নিয়ে সার্ভিস দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন অথবা কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এই বিষয়গুলোতে কাজ করার চেষ্টা করবেন। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক বড় একটি স্টেপ শেষ করতে পারবেন।  

  • আপনি কোন কাজে দক্ষ?
  • কোন কাজ করতে আপনার ভালো লাগে?

আর এরকম যদি কোন স্কিল নিজের মধ্যে না পান তাহলে আপনি বাজারের সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরগুলোতে করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ভালো করে রিসার্চ করতে পারেন যে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কোন দক্ষতার চাহিদা বেশি রয়েছে। 

মাথায় রাখবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা এবং আগ্রহ চিহ্নিত করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার মাধ্যমে একজন সফল freelancer হওয়া সহজ হয়ে যায়। 

২. একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র (niche) নির্বাচন করা

একজন ব্যক্তি কখনোই সমস্ত সেক্টরে পারফেক্ট হতে পারেনা এবং সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। এখন ফ্রিল্যান্সারও তার ব্যতিক্রম নয়। এক্সপার্টদের মতে কোন একটি বড় সেক্টরগুলোতে কাজ না করে ছোট ছোট সেক্টরগুলোতে কাজ করা উচিত। 

যেকোনো একটি স্পিসিফিক সাব-সেক্টর নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন। শুরুতে সবকিছু করার চেষ্টা না করে, একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এক্সপার্ট হওয়ার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদির সেক্টর গুলো অনেক বিশাল। 

তবে এই সেক্টর গুলোকে ভাঙলে আরো অনেক সাব-সেক্টর তৈরি হয়। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং কনটেন্ট মার্কেটিং, পেইড এডভারটাইজিং ইত্যাদি সহ আরো অনেক। 

এরকম যে কোন একটি সাবসেক্টর নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার স্কিল উন্নত করার সুযোগ বেশি থাকবে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

এছাড়া আপনি যদি বড় বিষয়গুলো নিয়ে করতে চান সরাসরি সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে এবং অনেক কিছু শিখতে হবে। তবে আপনি যদি এরকম ছোট ছোট সেক্টরগুলোকে টার্গেট করে কাজ করা শিখেন সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই সফল হতে পারবেন। 

৩. সঠিক এবং নির্ভুলভাবে কাজ শিখা

ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ার সফল হতে হলে আপনাকে সব থেকে বেশি জোর দিতে হবে কাজ শেখার প্রতি। আপনি যত পরিমাণে সঠিক এবং নির্ভুলভাবে কাজ শিখবেন তত তাড়াতাড়ি সফল হতে পারবেন। 

আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রথমে যে কোন একটি স্পিসিফিক ক্ষেত্রের টার্গেট করে কাজ শিখতে হবে। কাজ শেখার জন্য আপনি চাইলে কোন একটি প্রিমিয়াম কোর্সে যুক্ত হতে পারেন। 

আপনি চাইলে কোন প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন আবার চাইলে কোন একজন ব্যক্তি নিকট থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন। এক্ষেত্রে কোর্স করার পূর্বে অবশ্যই উক্ত ফিল্ডের এক্সপার্টদের পরামর্শ নিয়ে তারপর কোর্সে যুক্ত হবেন। কেননা বাংলাদেশে বর্তমানে ভালো মানের কোর্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। 

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভুলভাবে ফ্রিল্যান্সিংকে উপস্থাপন করতেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে তাবিজ বিক্রেতা সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা ফ্রিল্যান্সারদের কে কোন কিছু না শিখিয়ে শুধুমাত্র কোর্স বিক্রির মত কাজে লাগিয়ে রাখে অথচ তারা নিজেরাই কিছু করতে পারেনা। 

আর আপনি যদি রিসার্চ করতে পছন্দ করেন এবং আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ধৈর্য এবং আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। সম্পূর্ণ ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আপনি youtube এর সাহায্য নিতে পারেন। 

ইউটিউবে প্রায় সব বিষয় নিয়ে হাজার হাজার ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলো দেখে আপনি অনায়াসে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা অনেক কোর্স ফ্রিতেই ইউটিউবে আপলোড দিয়ে থাকে আপনি চাইলে সেগুলো এনক্রল করতে পারেন। ইউটিউবে ভালো মতো রিসার্চ করতে পারলে আপনি প্রিমিয়াম কোর্সের থেকেও ভালো কিছু শিখতে পারবেন।

আরো পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা এবং কত সময় লাগে

৪. নির্ভরযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া

Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদি সহ অন্যান্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার পছন্দের একটি বেছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেঁচে নিন। কেননা কখনোই একজন ব্যক্তির সমস্ত জায়গায় সফল হতে পারে না যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেস কে টার্গেট করে কাজ করার চেষ্টা করুন। 

বিশেষ করে নতুনদের জন্য সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বেশি নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্ল্যাটফর্মগুলো আপনাকে ক্লায়েন্ট এবং প্রজেক্ট খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে চাইলে একাধিক মার্কেটপ্লেসে একই সময়ের কাজ করা সম্ভব। 

কিন্তু একটি মার্কেটকে টার্গেট করে কাজ করলে সেই মার্কেট সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং দ্রুত সফলতা অর্জন করা যায়। আর বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হল আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। 

আপনি যদি একটি সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে ভালোভাবে কাজ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেখানে রেপুটেশনও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বেশি পরিমাণে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫. আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করা

Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস গুলোতে আকর্ষণীয় এবং কার্যকর প্রোফাইল তৈরি করার চেষ্টা করা। অবশ্যই প্রোফাইলের মধ্যে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন যুক্ত করুন। 

বিশেষ করে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলোকে হাইট লাইট করে সবার সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন। এছাড়া প্রোফাইল এর মধ্যে প্রফেশনাল ইমেজ ইউজ করার চেষ্টা করবেন এবং ডিসক্রিপশন গুলোকে সঠিক রাখার চেষ্টা করবেন। 

যখন কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিবে তারা প্রথমে আপনার প্রোফাইল কে ভিজিট করবে এজন্য আপনার প্রোফাইল কে অপটিমাইজ করার চেষ্টা করবেন। 

৬. পোর্টফোলিও তৈরি করা

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। পোর্টফোলিও এর মধ্যে আপনি আপনার করা যাবতীয় কাজের নমুনা এড করে রাখতে পারেন। 

এছাড়াও আপনি কি ধরনের কাজ করেছেন ইতিপূর্বে সেগুলোর ফলাফল কেমন ছিল সেগুলোকে উপস্থাপন করবেন। কেননা একটি পারফেক্ট পোর্টফোলিও ক্লায়েন্টকে আকৃষ্ট করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

এছাড়াও আপনি ইতিপূর্বে যদি কোন ব্যক্তির কাজ করে থাকেন তাহলে তার কাছ থেকে ফিডব্যাক যুক্ত করে দিন। এছাড়াও আপনার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোকে এখানে হাইলাইট করে দিন। আর আপনি যত সুন্দর ভাবে আপনার পোর্টফোলিও কে আকর্ষণীয় করতে পারবেন তত আপনার জন্য ভালো হবে।

৭. আকর্ষণীয় প্রপোজাল (proposal) লেখা:

Fiverr ও কয়েকটি অল্পসংখ্যক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বাদে প্রায় প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রপোজাল সেন্ড করে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে কাজ নিতে হয়। 

বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেস গুলোতে ক্লায়েন্ট কাজের ডিসক্রিপশন দিয়ে রাখে। এখন যদি আপনি উক্ত কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রোপোজাল সেন্ড করে তারপর ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলার মাধ্যমে কাজ নিতে হবে। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি আপওয়ার্কে কাজ করতে চান, তাহলে ড্যাশবোর্ড এ আপনি অনেকগুলো কাজ দেখতে পারবেন, সেখান থেকে যেই কাজটি আপনি করতে পারবেন সেই কাজটিকে সিলেক্ট করে তারপর একটি প্রপোজাল সেন্ড করতে হবে। 

প্রোপজাল সেন্ড করার পর ক্লাইন্ট যদি আপনার প্রপোজাল কে পছন্দ করে তাহলে ক্লায়েন্ট আপনার সাথে কথা বলবে। আর যদি আপনার সাথে সব ঠিক থাকে এবং ক্লাইন্টকে বুঝাতে পারেন সে ক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

কিন্তু ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করার জন্য অবশ্যই আকর্ষণীয় প্রপোজাল লিখতে হয়। আপনি যত ভালোভাবে প্রপোজাল লিখতে পারবেন তত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো হবে আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে এবং আপনি এই কাজটি করার জন্য উপযুক্ত সেটা ক্লায়েন্টকে বোঝাতে হবে। 

প্রপোজালের মধ্যে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের জন্য আনুমানিক সময় ও খরচের একটি সাধারণ ডিসক্রিপশন উল্লেখ করবেন। আপনি যত ভালো হবে প্রপোজাল লিখতে পারবেন তত ক্লায়েন্টকে আকৃষ্ট করা সহজ হয়ে যাবে। 

মনে রাখবেন আপনি যত সুন্দর ভাবে প্রপোজাল লিখতে পারবেন কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। 

৮. কোয়ালিটির সাথে কাজ সম্পন্ন করা

প্রপোজাল সেন্ড করার পর ক্লাইন্ট যদি রিপ্লাই প্রদান করে তাহলে ক্লায়েন্টের সাথে এক্সপার্ট এর মত করে কনভারসেশন করতে হবে। আপনার কমিউনিকেশন স্কিল যত উন্নত হবে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। 

ক্লায়েন্টের যাবতীয় চাহিদা, যদি কোন ভুল ধারণা থাকে সেগুলো ক্লিয়ার করা, কিভাবে কাজ করবেন এবং কত সময় লাগবে তা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। যত ভালোভাবে কমিউনিকেশন করতে পারবেন আপনার পরবর্তী কাজ পাওয়া সম্ভব হলে বৃদ্ধি পাবে। 

একবার ক্লাইন্ট এর কাছে কাজ বুঝে পাওয়ার পর সেই কাজকে ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে কাজের কোয়ালিটি মেইনটেইন করে। যেহেতু আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার সেজন্য কাজের কোয়ালিটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করবেন যদিও সেটা ছোট প্রজেক্ট হয়ে থাকে। সব সময় ক্লায়েন্টকে স্যাটিস্ফাইড রাখার চেষ্টা করবেন। 

কাজ শেষ করার পর ক্লায়েন্টের কাছ থেকে অবশ্যই ফিডব্যাক দেয়ার চেষ্টা করবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর টার্ম এবং পলিসির বাইরে গিয়ে এমন কোন শব্দ উচ্চারণ করবেন না যেন সেটা আপনার অ্যাকাউন্টে ক্ষতি করে। আর সব সময় চেষ্টা করবেন ক্লায়েন্টের কাজ যথা সময়ে সম্পূর্ণ করার জন্য। 

৯. ধৈর্য ধারণ করা

ফ্রিল্যান্সিংয়ে রাতারাতি সফল হওয়া কখনো সম্ভব নয়, এজন্য প্রয়োজন অসীম পরিমাণে ধৈর্য। আমরা এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম এগুলো পড়তে সহজ মনে হলেও বাস্তবতা এর সম্পূর্ণ উল্টো। 

স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা সেক্টরে আপনাকে অনেক কষ্টের সহিত কাজ করতে হবে। আর ক্লায়েন্ট পাওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার নয় কেননা এটি অনেক কঠিন একটি বিষয়। ক্লাইন্টকে কনভেন্স করা ক্লায়েন্ট এর কাজ সম্পন্ন করা এগুলো অনেক সময় নেয়। 

আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আপনি বেশিরভাগ সময় আপনার পছন্দমত কাজ পাবেন না। আর প্রত্যেকটি কাজের জন্য অনেক সময় ধরে কাজ করতে হয়। ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে অনেক সময়। সবদিক থেকে দেখলে বোঝা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এ ধৈর্য ধারণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এজন্য আপনি যদি নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে ধৈর্য ধরে কাজ করবেন।

উপরে যে টিপস গুলো প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনি যদি যথাযথভাবে পালন করতে পারেন তাহলে সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার দিকে আপনি এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। 

তবে সবসময় মাথায় রাখবেন প্রাক্টিকাল এবং থিওরিটিক্যাল বিষয়গুলো সম্পূর্ণ আলাদা। এই কথাগুলো যতটা সহজ মনে হচ্ছে প্রাকটিকাল দুনিয়ায় সেটাই অনেক কঠিন হয়ে যায়। এইজন্য প্রত্যেকটি স্টেপ ভালোভাবে নিজের মধ্যে নিজের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। ইনশাআল্লাহ তাহলে আপনি দ্রুত ভালো কিছু করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কি কি শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে

ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পন্ন নির্ভর করে স্কিলের ওপর। আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে স্কিল থেকে সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং শেখার সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার খুব একটা সম্পর্ক নেই। 

এখানে আপনি বিনা শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি বলার এবং লেখার মত পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। কেননা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আপনি যাবতীয় কথাবার্তা এবং লেখালেখি ইংরেজি ভাষায় সম্পূর্ণ করবেন। 

এজন্য অবশ্যই ইংরেজি বলার এবং লেখার মত যোগ্যতার জন্য যতোটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে ততটুকুই অর্জন করা অত্যাবশ্যকীয়। আর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যত ভালো হবে তত আপনি ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় কাজ করতে পারবেন। 

তবে এক্সপার্টরা বলে থাকে যে ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় করতে হলে কমপক্ষে HSC পাশের যোগ্যতা থাকা ভালো। আর বাকিটা আপনার নিজের উপর ডিপেন্ড করবে, ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে করতে এক সময় আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন জায়গা গুলোতে বেশি ফোকাস  দিতে হবে। 

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কেমন?

বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে অনেক ভালো একটি অপশন। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা তুলনামূলক কঠিন। এইজন্য পর্যাপ্ত স্কিল থাকতে হয় এবং এর পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে হয়। 

তবে বর্তমানে তরুণদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। যদি সঠিকভাবে কাজ শেখার পর ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যায় তাহলে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে অনেক ভালো একটি অপশন। 

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে পাবো?

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হতে হবে। আর আপনি যদি মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ক্লাইন্ট খুঁজতে চান তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্লায়েন্ট হান্টিং করতে হবে। আর আপনি চাইলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য youtube এ ভিডিও দেখতে পারেন।  

ফ্রিল্যান্সিং এর জনক কে?

ফ্রিল্যান্সিং এর কোন নির্দিষ্ট জনক নেই। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং ধারণাটি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান, এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং ঘটনা এর বিকাশে অবদান রেখেছে। তবে "Walter Scott" এর বইয়ের মধ্যে সর্বপ্রথম "Freelancing" শব্দের ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

ফ্রিল্যান্সিং এ সহজ কাজ কি?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সমস্ত কাজে সহজ যদি আপনি করতে পারেন, আর যদি কাজ করতে না পারেন তাহলে সমস্ত কাজ কঠিন। তবে কয়েকটি কাজ রয়েছে যেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শিখতে পারবেন যেমন ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, লিড জেনারেশন, কনটেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল?

ফ্রিল্যান্সিং হারাম নাকি হালাল সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কাজ করতেছেন তার ওপর। ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে হালাল-হারাম উভয় রয়েছে এখন আপনাকে বেছে নিতে হবে যে আপনি হারাম কাজ করবেন নাকি হালাল কাজ করবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে জুয়া খেলার সাথে সম্পর্কিত কাজ, মদ, যৌনতা, বা অন্যান্য হারাম জিনিসের প্রচার, অশ্লীল ভিডিও তৈরি এবং ওয়েবসাইট তৈরি, গ্রাফিক্স এবং বিউটি রিলেটেড কাজ করাও হারাম হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়ে থাকে। 

এজন্য অবশ্যই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন এবং কাজগুলো যে করছেন সেই কাজগুলো হালাল নাকি হারাম সেটা পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর বেশিরভাগ কাজেই হালাল।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?

ফ্রিল্যান্সিং মোবাইল দিয়ে করা খুব একটা পসিবল নয়। তবে আপনার যদি আগ্রহ থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ছোট ছোট কাজগুলো করতে পারবেন। যেমন ব্লগিং, ইউটিউবিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি সহ আরো কয়েক গুলো কাজ রয়েছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর বড় বড় সেক্টর গুলোতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব নয়। 

উপসংহার

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সব সময় টিপস ফলো করে কাজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারেন এবং সমস্ত বিষয় যথাযথভাবে পালন করেন সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ পাওয়া থেকে শুরু করে ভালো কিছু করা সম্ভব। 

আপনি যত পরিমানে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন, ততো তাড়াতাড়ি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর সফল হওয়া যায় এই রিলেটেড কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং টিপস প্রদান করার চেষ্টা করেছি। 

আশা করি এগুলো আপনি যথাযথভাবে ফলো করলে পরবর্তী তো অনেক কাজে আসবে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আমরা আরও অনেকগুলো আর্টিকেল লিখেছি যেমন ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কততম, ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর সমূহ, ফ্রিল্যান্সিং এ কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করবেন ইত্যাদি রিলেটেড। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন সে ক্ষেত্রে আপনি আমাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরিটা ভিজিট করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url