বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

 বাংলাদেশী যুবক এবং নতুন উচ্চ শিক্ষিত স্টুডেন্ট এর মধ্যে একটি বড় অংশ ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। স্বাধীন পেশা নির্বাচন এবং উচ্চ ইনকামের আশায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত হচ্ছে নতুনরা। তবে তারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে এবং কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে সেই বিষয়টা সম্পর্কে তারা খুব একটা ধারণা রাখেনা। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটিযার কারনে তাদের সফলতার হার অনেকাংশই কমে আসে। কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এখন ব্যাপক আকারে কম্পিটিশন তৈরি হয়েছে এবং ইনকাম আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। এজন্য আপনাদের মধ্যে যারা নতুনভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন বা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী, কিন্তু কোন বিষয়ে কাজ করলে ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে সেটা জানেন না, তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়বেন। 

কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং  ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি হতে পারে এই বিষয়ে একটি আলটিমেট গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব। বর্তমানে অনলাইনে কোন কাজগুলোর চাহিদা বেশি এবং সেই কাজগুলোর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কি হতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করবো। 

এছাড়াও আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট কোনটি, ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত ইত্যাদি সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে। 

তবে আমি আপনাদেরকে এমন ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব যেন আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারেন, আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি। তাহলে চলুন অতিরিক্ত ইন্ট্রোডাকশন না বাড়িয়ে আজকের মুল আর্টিকেল অর্থাৎ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। 

ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর গুলো কি কি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেটা জানার পূর্বে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কি সম্পর্কে একটু বিস্তারিতভাবে জন্য নেই।

ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি যখন কাজ করতে আসবেন তখন আপনি যেই বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেটা মূলত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে অর্থাৎ যে বিষয়ে আপনি ভালো জানেন জ্ঞান রয়েছে এবং অন্যকে সাহায্য করতে পারবেন সেটাই মূলত আপনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। 

আপনি অনলাইনে যে কোন বিষয় নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন জাস্ট সেই সম্পর্কে আপনার স্কিল এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা অনেক বড়, এখানে কাজের অভাব পড়ে না। বর্তমানে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি রয়েছে, তবে নির্দিষ্টভাবে কতগুলো ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি রয়েছে সেটা বলা অসম্ভব। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পুরো বিশ্বব্যাপী 1.57 বিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে বলে জানিয়েছে দা ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এবং বিশ্ব ব্যাংক। যাদের মধ্যে অফলাইন কিংবা অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং সাথে সম্পর্কিত। ফ্রিল্যান্সিং বলতে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করাকে বুঝানো হয় না। যারা অনলাইনে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করে তারাই মূলত ফ্রিল্যান্সার।

সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সিং এ হাজার হাজার সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজ করা সম্ভব। এর জন্য শুধুমাত্র আপনার পার্সোনাল স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স প্রয়োজন হবে। আপনি অনলাইনে যে কোন সেক্টরে কাজ করতে পারবেন কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর সব ধরনের সেক্টর রয়েছে। 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি মূলত আমরা এখন এই বিষয়টা কি আমরা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব। বর্তমানে ও ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি হতে পারে, চলুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

১. Web Development 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বিশ্বের এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় এবং ভবিষ্যতে যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা জনপ্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে সবার উপরে থাকবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। বর্তমানে সমস্ত বিজনেস অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও যেই বিজনেস গুলো অনলাইনে পাওয়া যেত না এখন সেই বিজনেস গুলো সব জায়গায় বিস্তার লাভ করতেছে অনলাইনকে ব্যবহার করে। 

শুধুমাত্র ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মতো দেশগুলোতে নয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেও প্রত্যেকটা বিজনেস এবং যাবতীয় কাজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। কেননা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশের মানুষ এই বুঝতে পেরেছে যে ভবিষ্যতে যে যুগ আসতে চলেছে সেটা হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক যুগ। আর যারা এই মার্কেটে এগিয়ে থাকতে চায় এবং তাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের অবশ্যই একটি কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট থাকতে হবে। 

আর এক্ষেত্রেই ওয়েব ডেভেলপাররা এর সেক্টর সবার উপরে থাকবে। যদি ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উত্থান হয় এই করে তবুও মানুষের মত ক্রিয়েটিভ তৈরি করতে পারবেনা। এই সেক্টর টা এমন একটি সেক্টর যেটা বর্তমানে হোক কিন্তু ভবিষ্যতে সব সময় সেফ। 

এই সেক্টরে যত বেশি প্র্যাকটিস এবং নলেজ থাকবে তত বেশি পরিমাণে ইনকাম এবং ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা যায় যে বিশ্বের সবথেকে ইনকাম করা সেক্টর এর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট। সেই একই জরিপে আরো দেখা যায় যে, সব থেকে বেশি কষ্ট করতে হয় এই সেক্টরে। অর্থাৎ আপনি যদি এই সেক্টরে ভালোভাবে স্কিল ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন ও সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে এই সেক্টরে আপনার বিশাল ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে কমপক্ষে একজন ওয়েব ডেভলপারদের কে ৫০০ থেকে ১০০০ ডলারের উপর দিতে হয়।(তবে এটি প্রোজেক্টের এবং ওয়েবসাইটের রিকোয়ারমেন্ট এর উপর নির্ভর করে)। অর্থাৎ যদি আপনি একটি প্রজেক্ট পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনার মাসিক ইনকাম কমপক্ষে এক লক্ষ টাকার উপরে যাবে। যদি আপনি সেই বিষয়ে ভালোভাবে অভিজ্ঞ এবং স্কিল সম্পন্ন হয়ে থাকেন। 

তবে এই সেক্টরে ধীরে ধীরে কম্পিটিশন আগের থেকে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য এখন থেকেই  যারা আরো নতুন নতুন  ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করবে এবং আপডেটেড দুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে তারাই ভবিষ্যতে এই সেক্টরে বিজয়ী হবে। শুধুমাত্র  মার্কেটপ্লেসে এই যে আপনি কাজ পাবেন তা কিন্তু নয় বর্তমানে বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটেও এই স্কিলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

সুতরাং আপনি যদি এই সেক্টরে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং অভিজ্ঞতা করতে পারেন তাহলে আপনি বাংলাদেশে বসেও এই সেক্টর থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসে। তবে সব সময় মনে রাখবেন এই সেক্টরে কাজ করতে হলে প্রচুর পরিমাণে প্র্যাকটিস করতে হবে এবং সময়ের সাথে আপডেটেড থাকতে হবে। নতুন নতুন ক্রিয়েটিভ এবং কনভার্শনাল বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। 

সুতরাং আপনাদের মধ্যে যারা সব থেকে বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে চান এবং আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে যদি আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই এই সেক্টরে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন।

২. Data Analytics

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বলা হয়ে থাকে যে বর্তমান দুনিয়ায় যার কাছে যত ডাটা সে তত পাওয়ারফুল, বা  সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভাবনার দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বর্তমানে ও ভবিষ্যৎ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য সবথেকে সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল ডাটা এনালিটিক্স। হয়তোবা আপনাদের মধ্যে এই সম্পর্কে অনেকজন জানেন আবার অনেক জনই জানেন না। 

এখন বর্তমানে যতগুলো বিশ্বের অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই সবগুলো ওয়েবসাইট কিংবা প্রতিষ্ঠানেরই ডাটা অ্যানালিটিক্স এর প্রয়োজন। বিশ্বের যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ইনকাম করা সম্ভব শুধু মাত্র এই সেক্টর থেকেই। ডাটা এনালিটিক্সরা মূলত ডাটাকে বিশ্লেষণ করে। 

ডেটা বিশ্লেষকদের চাহিদা দিন দিন ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সব ধরনের ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানে তাদের যে কোন সিদ্ধান্ত, ক্যাম্পেইন কিংবা যেকোনো ধরনের মার্কেটিং অপারেশন মূলত ডেটা এর উপর নির্ভর করে থাকে। আসলে ডেটা এনালিটিক্স টা কি একটু সংক্ষেপে বোঝানোর চেষ্টা করি।

মূলত আমরা যখন ফেসবুকে কোন বিষয়ের উপর ভিডিও দেখি তখন ফেসবুক আমাদেরকে সেই রিলেটেড ভিডিও দিয়ে থাকে। অথবা আমরা যখন ফেসবুকে কোন একটি প্রোডাক্ট পছন্দ করি কিংবা সার্চ করি তখন ফেসবুক আমাদেরকে সেই রিলেটেড এডভার্টাইজ দেখায়। 

আরো সহজ হয় বলতে গেলে যখন আমরা কোন বিষয়ে অনলাইনে সার্চ করি তখন সে রিলেটেড অ্যাডভার্টাইজিং গুলো আমাদেরকে দিয়ে থাকে। যেমন আপনি এখন ধরে নেন এই আর্টিকেলটা পড়তেছেন তখন গুগল আপনার ইনটেনশন বুঝতে পেরেছে এবং এই রিলেটেড কিছু প্রোডাক্ট আপনাকে এড হিসাবে দেখাতে পারে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফেসবুক, google কিংবা ইউটিউব কিংবা এই ধরনের যে অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলো রয়েছে তারা আপনাকে কিভাবে আপনাকে আপনার রিলেটেড অ্যাডস দেখাচ্ছে? 

মূলত তারা আপনার ডাটা গুলোকে কালেক্ট করতেছে এবং আপনার পছন্দের জিনিসগুলোকে সামনে উপস্থাপন করতেছে যেন সেটা আপনি ক্রয় করেন অথবা সেটাতে ক্লিক করেন। এছাড়াও আপনি যেই বিষয় নিয়ে পছন্দ করেন তারা সেই বিষয়ে রিলেটেড ভিডিও বা কন্টেন্ট দিয়ে আপনাকে আটকে রাখার চেষ্টা করতেছে। 

মূলত এই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে শুধুমাত্র আপনার ডাটা ব্যবহার করে। আপনি কি কাজ করতেছেন, আপনি কি বিষয় নিয়ে আগ্রহী, কোন বিষয়টাকে পছন্দ করতেছেন, কোন জায়গায় ক্লিক করতেছেন, কোন সময় আপনি বেশি অনলাইন চালাচ্ছেন, যাবতীয় ইনফরমেশন তারা কালেক্ট করে সেই হিসাবে আপনাকে এড কিংবা ভিডিও প্রদান করতেছে। 

 আর মূলত এই ধরনের যাবতীয় ডেটা গুলোকে এনালাইসিস করে ডাটা এনালিটিক্সরা।  মূলত একজন ডাটা এনালেটিক্স এর কাজ হল: 

 ১. ডেটা সংগ্রহ এবং এনালাইস করা

২. ডেটা বিশ্লেষণের জন্য মডেল এবং অ্যালগরিদম তৈরি করা

৩. ডেটাভিত্তিক রিপোর্ট এবং প্রেজেন্টেশন তৈরি করা

৪. প্রোডাক্টের ডেটা মডিউল এবং মেশিন লার্নিং টুলস নিয়ে কাজ করা

এছাড়া আরও নানা ধরনের কাজ করে থাকে কোম্পানি ভেদে। এখন সমস্ত কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট এর জন্য ডাটা এনালিটিক্স এর প্রয়োজন পড়তেছে। এই সেক্টরে সবথেকে বেশি পরিমাণে ইনকাম এবং শক্তিশালী ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। 

পৃথিবী যত বেশি ডিজিটালাইজ হবে তত বেশি ডাটা বিশ্লেষকদের চাহিদা বাড়বে। তবে একজন প্রফেশনাল মানের ডাটা এনালিটিক্স হতে হলে আপনাকে ব্যাপক পরিমাণে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে এর পাশাপাশি প্রোগ্রামিং নলেজ রাখতে হবে। 

এছাড়াও ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে সবসময় চিন্তাভাবনা করতে হবে। এই সেক্টরের যথাযথ স্কিল ডেভলমেন্ট করাও অনেক কঠিন কারণ কেননা এই বিষয়ে খুব বেশি পরিমাণে কোর্স কিংবা পড়ালেখার সুযোগ নেই বাংলাদেশে বর্তমানে। তবে বাংলাদেশের বাইরে গিয়ে যদি আপনি এই বিষয়ে পড়াশুনা কিংবা কোর্স করতে পারেন তাহলেই ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।

সর্বোপরি বলব যে যারা ডেটা নিয়ে কাজ করতে চান এবং এই বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তারা অবশ্যই ডাটা এনালিটিক্স সেক্টরটাকে ভালোভাবে এক্সপ্লোর করুন। এর পাশাপাশি সেই হিসেবে কাজ করে যান ও এর সাথে স্কিল ও এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি করুন। ইনশাল্লাহ তাহলেই এই সেক্টরে খুব সহজে সফল হতে পারবেন।

৩. Artificial intelligence

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

অনলাইন দুনিয়ায় রয়েছেন আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর নাম বর্তমানে শুনেননি এরকম ব্যক্তি পাওয়া যায় না বললেই চলে। বর্তমানে অনলাইনে নানা ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রয়েছে। বলা যেতে পারে যে সমস্ত কাজের জন্যই এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। সেটা হোক গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা অন্যান্য যে কোন সেক্টরে। এখন সবাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বেশি কাজ করতেছে এবং এই সেক্টর টা তুলনামূলক ট্রেন্ডিংও। ভবিষ্যতে এর একটি ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করাও খুবই ভালো হবে। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলোর অন্যতম একটি হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং অনলাইন ইন্ডাস্ট্রি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিনে দিনে যত প্রয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে এর পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারে চাহিদা ও বাড়ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অনেকগুলো ভাগ রয়েছে, যা নিচে দেয়া হলো:

১. ডেটা সায়েন্স: 

ডেটা সায়েন্স হল ডেটা কালেকশন, বিশ্লেষণ এবং এক্সপ্লোর করার একটি প্রক্রিয়া। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তার সাথে ডেটা সায়েন্সের সংমিশ্রণ হল ডেটা সায়েন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স(Data Science for Artificial Intelligence)। 

মূলত এটি ডাটা এনালিটিক্স এর সাথে অনেক সম্পর্কিত, যা সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি।  ডেটা সায়েন্স ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য ফ্রিল্যান্সাররা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেল ক্রিয়েট এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য ডেটা কালেক্ট, এনালাইজ এবং রিপ্রেজেন্ট করে।

২. মেশিন লার্নিং: 

মেশিন লার্নিং হল কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোর ডেটা থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে শেখানোর প্রক্রিয়া। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সাথে মেশিন লার্নিংয়ের সংমিশ্রণ হল মেশিন লার্নিং ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Machine Learning for Artificial Intelligence)। মেশিন লার্নিং ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য ফ্রিল্যান্সাররা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মডেল তৈরি এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম এবং strategy গুলো ব্যবহার করে।

৩. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেলিং: 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেলিং হল কৃত্রিমভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মডেলিং তৈরি, সেটাকে ডেভলপমেন্ট করা এবং সেটাকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেলিং এর জড়িত ফ্রিল্যান্সাররা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিক মডেল তৈরি করা থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্য করার পড়ে থাকে সেটাকে ব্যবহার উপযোগী করা পর্যন্ত। 

৪. আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট: 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার পর সেটাকে ডেভেলপমেন্ট করে ব্যবহার উপযোগী করার একটি প্রক্রিয়া। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর সাথে জরিত ফ্রিল্যান্সাররা মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেলকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ai অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে থাকে। 

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের বিভিন্ন সেক্টর বা কাজ রয়েছে যেগুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এক্সপার্টরা করে থাকে। তবে সবারই মূলত একটি কমন কাজ হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে  ডেভেলপ করা এবং সেটাকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা। এই সেক্টরে কাজ করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে প্রোগ্রামিং নলেজ এবং ইউনিক আইডিয়া রাখতে হবে। 

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সব থেকে বেশি ট্রেন্ডিং সেক্টর গুলো রয়েছে তার মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেক্টর সবার উপরের দিকে রয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যৎ দুনিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এখন থেকে যদি ভালোভাবে এই সেক্টরের উপর কাজ করা যায় এর পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্স ও স্কিল ডেভলপ করা যায়, সেক্ষেত্রে এই সেক্টরটি অনেক পাওয়ারফুল হতে পারে।  

৪. Digital Marketing

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

ডিজিটাল মার্কেটিং
আমরা সবাই এই সেক্টরের সাথে কোন না কোন ভাবেই জড়িত। ডিজিটাল জগতে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সেল করা হয় সেটাই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং। শুধুমাত্র যে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সেল করার ক্ষেত্রেই যে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, প্রমোশন এবং নানা ধরনের পজিটিভ এট্রাকশন তৈরি করার ক্ষেত্রেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতে হয়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর টা মূলত অনেক বড়। মূলত একটি ব্র্যান্ডকে সবার সামনে পরিচিত করানোর জন্য যত ধরনের উপায় রয়েছে সবগুলোই ইউজ করতে হয়। বর্তমানে প্রত্যেক ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে কোম্পানি, এজেন্সি কিংবা যে কোন প্রতিষ্ঠানকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য দিকে হাঁটছে। 

এই ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের মধ্যে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহী এবং প্রোডাক্ট প্রমোশনের ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন। 

একটা কথা মাথায় রাখবেন যে, যে কোন প্রোডাক্ট সেটা যত বড়ই হোক আর যত ছোটই হোক সেটাকে প্রমোশন করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিতেই হয়। আর আপনি এই সেক্টর টা কেই টার্গেট করে কাজ করতে পারবেন। এই সেক্টরের সম্ভাবনা অন্যান্য সেক্টর থেকে অনেক বেশি। 

ডিজিটাল মার্কেটারদের প্রধান কাজ হল টার্গেটেড অডিয়েন্সদের কাছে নির্দিষ্ট বিজনেসকে পৌঁছে দিতে সাহায্য করা। ডিজিটাল মার্কেটার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নানা ধরনের দক্ষতা সম্পূর্ণ হতে হবে এবং এই কাজগুলোর এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে। 

Digital marketing করতে হলে অবশ্যই নিচের দক্ষতা গুলো সম্পর্কে ধারণা এবং অভিজ্ঞতা রাখতে হবে:

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  • SEO
  • Facebook advertising 
  • google advertising
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • Marketing কৌশল
  • কম্পিটিটার এনালাইস

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ডিমান্ড অনেক বেশি যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। নিচের কয়েকটি কারণ দেয়া হলো: 

প্রথমত: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই সবথেকে সহজ এবং কার্যকর ভাবে টার্গেটেড অডিয়েন্সদের কাছে ব্যবসাকে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। 

দ্বিতীয়ত: ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসার নতুন নতুন আপডেটগুলো খুব সহজেই অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। যেন অডিয়েন্স রা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত আপডেট গুলো খুব সহজে পেয়ে যায় এবং তারা সেই বিষয়ে অবগত হয়। 

তৃতীয়ত:  ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই নতুন নতুন প্রোডাক্ট গুলো খুব সহজেই সবার কাছে পরিচিত করে তোলা সম্ভব। 

এছাড়াও আরো অনেক অনেক কারণ রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ডিমান্ড এর পিছনে। আপনি যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার করতে চান সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অসাধারণ অপশন হতে পারে। তবে এই সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে সব বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে এবং ভালোমতো স্কিল অর্জন করতে হবে। 

৫. Video Editing

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলোর অন্যতম একটি হলো ভিডিও এডিটিং
। বর্তমানে এই সেক্টরটি খুবই ডিমান্ড এবং ফিউচারের জন্য একটি আদর্শ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। বর্তমান পৃথিবীতে ভিডিও কনটেন্ট সবথেকে পপুলার। যে ভিডিও গুলো যত এডিটিং এর মাধ্যমে একটা অ্যাক্টিভ করা হয় সেই ভিডিওগুলো অডিয়েন্সটা বেশি দেখে। 

প্রোডাক্ট প্রমোশন করা থেকে শুরু করে ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস, মার্কেটিং থেকে শুরু করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য প্রডাক্ট সেলিং মাধ্যমগুলোতে ভিডিও কনটেন্ট সবথেকে পপুলার। পূর্বের তুলনায় ভিডিও এডিটিং এর ইনকামও অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আপনাদের মধ্যে যাদের ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত নলেজ রয়েছে এবং এই সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী তারা অবশ্যই এই সেক্টর টা নিয়ে কাজ করবেন। কেননা এখন প্রত্যেকটি কাজের জন্য এই ভিডিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আর এই ভিডিওকে এট্রাক্টিভ করার জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এর কখনোই বিকল্প আসতে পারে না। 

ভিডিও এডিটিং সেক্টরে আসার পূর্বে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে সবকিছু শিখে নিবেন। এই সেক্টরে যত বেশি অভিজ্ঞতা এবং স্কিল থাকবে তত ইনকামের সম্ভাবনা রয়েছে। ভিডিও কে কিভাবে অ্যাট্রাক্টিভ করা যায় সেটাকে ভালোভাবে ক্লিয়ার করে নিবেন ও এর পাশাপাশি কিভাবে প্রোডাক্ট কে ইন্টারেস্টিং করা যায় সেই বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

সর্বশেষে একটি কথা মাথায় রাখবেন বর্তমানে মানুষ ভিডিও কনটেন্ট কে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতেছে। এক্ষেত্রে যদি আপনি সঠিক স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করবে।

৬. SEO

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
, সবথেকে ট্রেন্ডিং এবং লাভজনক একটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। এটি মূলত এমন একটি সেক্টরে যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রযুক্তিগুলো খুব বেশি একটা প্রভাব রাখতে পারে না। এই সেক্টর সব সময় ট্রেন্ডিং এবং লাভজনক থাকবে এতে কোন দ্বিমত নেই। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠান চায় তাদের ওয়েবসাইট কে গুগলের ফাস্ট পেজে দেখতে চায়। আর এই কাজের জন্য অবশ্যই এসইও এক্সপার্টদেরকে হায়ার করতে হয়। আসলে একটু খোলামেলা বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করি।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হলো একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্ক করানোর একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এসইও মূলত করা হয় একটি ওয়েবসাইট কিংবা প্রতিষ্ঠানকে সবার সামনে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পরিচিত ঘটানোর জন্য। এসইও মূলত ওয়েবসাইটের কিংবা প্রতিষ্ঠানের ভিসিবিলিটি বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। 

এর পাশাপাশি টার্গেট এর কাছে পৌঁছানো এবং তাদের কাছে সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সেল করাও এটির মূল উদ্দেশ্য। এসইও করতে হলে অনেক বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে নলেজ এবং স্কিল রাখতে হবে। বিভিন্ন কৌশল এবং টুলস এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ এসইওর চাহিদা সব থেকে বেশি এর বেশকিছু কারণ রয়েছে। 

প্রথমত: টার্গেটেড অডিয়েন্সদের খুজে পেতে সব থেকে বেশি সাহায্য করে এসইও। যখন আপনার পেজ কোন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের ওপর র‍্যাঙ্ক করবে তখন সেই কিওয়ার্ড দিয়ে টার্গেটেড অডিয়েন্স পাওয়া খুব সহজ হয়ে যাবে। মূলত যারা বিজনেস করে তাদের জন্য এই টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজে পেতে এসইও এক্সপার্টরা সব থেকে বেশি সাহায্য করে।

দ্বিতীয়ত: অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছে এসইও একটি অপরিহার্য অংশ। কেননা যদি তাদের প্রোডাক্টগুলো সবার সামনে প্রদর্শন না হয় সে ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সেল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর প্রোডাক্ট কে সবার সামনে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসইও করতে হয়। আর এই জন্য তাদেরকে এসইও এক্সপার্টদের অবশ্যই সহায়তা নিতে হয়।

তৃতীয়ত: বর্তমান যুগের সমস্ত প্রতিষ্ঠান যেহেতু অনলাইনে চলে এসেছে সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক ক্যাটাগরির বিজনেসে অনেক কম্পিটিশন বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা বিজনেসম্যান তারা এই সম্পর্কে অবগত হতে পারে না। এই জন্য তাদেরকে অবশ্যই এসইও এক্সপার্টদের সাহায্য নিতে হয়।

চতুর্থ: সাধারণ ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ব্লগ ,ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য যে কোন ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য অবশ্যই এসইও করতে হয়। যদি কোন ওয়েব সাইটে ট্রাফিক না থাকে সে ক্ষেত্রে ইনকামের সম্ভাবনা শূন্য। এজন্য ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই একজন এসইও এক্সপার্ট দেরকে হায়ার করতে হয়। 

পঞ্চম: যদি কোন ওয়েবসাইট কে গুগলের ফাস্ট পেজে র‍্যাংক করানোর চেষ্টা করা হয় সে ক্ষেত্রে এসইও এক্সপার্টরা সবথেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। কেননা সবাই এই বিষয়ে এক্সপার্ট হয় না। বিশেষ করে ইউরোপে ও আমেরিকার দেশগুলোতে এসইও এক্সপার্টদেরকে গুগলের র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য অনেক বেশি পরিমাণে গুরুত্ব দেয়া হয়।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেকগুলো কারন রয়েছে এসইও ফ্রিল্যান্সিং এ চাহিদার জন্য। এছাড়াও এই সেক্টরে কাজ করার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন উন্নত ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা, পার্মানেন্ট রিমোট জব পাওয়ার সম্ভাবনা, অতিরিক্ত টিপস পাওয়ার সম্ভাবনা, নিজস্ব কোর্স সেল করা, নিজেকে সবার সামনে পরিচিত করার মত আরও অনেক সুবিধা রয়েছে। 

তবে আপনি যদি এসইও শিখতে চান এজন্য আপনাকে কমপক্ষে 1 থেকে 2 বছর লাগাতার প্র্যাকটিস করতে হবে। টিউটোরিয়াল এবং কোর্স করতে পারেন এর জন্য। এগুলো শিখার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব এ ফ্রি কোর্স পেয়ে যাবেন। আর আপনি যদি আরো প্রফেশনালি শিখতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি প্রিমিয়াম কোর্স করতে পারেন। 

এস ই ও ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ক্ষেত্রে রয়েছে যেগুলোতে আপনাকে অভিজ্ঞ হতে হবে।

১. অন-পেজ SEO

২. অফ-পেজ SEO

৩. টেকনিক্যাল SEO

৪. লোকাল SEO

৫. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

যখন আপনি এই বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণরূপে ক্লিয়ার করবেন, তখন আপনি অনেকাংশেই এসইও সেক্টরে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এই সেক্টরের কাজ করতে হলে সব সময় আপনাকে GOOGLE এবং অন্যান্য সার্ভিস ইঞ্জিন গুলোর সাথে  নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। 

কেননা সার্চ ইঞ্জিন গুলো তাদের নিয়মিত আপডেট দেয় যার কারণে যদি আপনি তাদের আপডেট সম্পর্কে না জানেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে সব সময় প্রাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। 

৭. Social Media Marketing

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

ফ্রিল্যান্সিং এ সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন অন্যতম একটি জনপ্রিয় সেক্টর হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
। যদি প্রশ্ন আসে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেরা ১০ টির মধ্যেই পড়বে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কৌশল অবলম্বন করে কোম্পানির কিংবা প্রতিষ্ঠানের সফলতা অর্জনের সহায়তা করা। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় 470 কোটি মানুষ দৈনিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার (বর্তমানে X) , প্রিন্টারেস্ট এবং এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো। 

সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে প্রায় সকল ক্যাটাগরির এবং সকল বিষয়ের উপর টার্গেটেড অডিয়েন্স পাওয়া সম্ভব। যেহেতু এখন সাধারণ মানুষেরা সোশ্যাল মিডিয়াতে সবসময় একটিভ থাকে সেক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে টার্গেটেড অডিয়েন্স পাওয়া খুবই সহজ। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে গেলে খুব বেশি পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয় না। 

যার কারণে বর্তমানে সমস্ত কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট প্রমোশন থেকে সেল করার যাবতীয় কাজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের ব্যবহার করে। আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সম্পর্কে ভালো এবং বিস্তারিত জ্ঞান থাকে সেক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মত সেক্টরগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। 

শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা শিখলেই হবে না এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং কৌশল, অডিয়েন্স কালেক্ট করার উপায়, অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং এই রিলেটেড সমস্ত বিষয়গুলোকে ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে। এই সেক্টরে কাজ করতে হলে অবশ্যই পূর্বে ভালো পরিমাণে দক্ষতা ও সফলতার একটি নিদর্শন রাখতে হবে। যেন আপনার ক্লাইন্টকে আপনার জ্ঞান এবং এক্সপেরিয়েন্স সহজেই বোঝাতে পারেন। 

এর পাশাপাশি ক্লায়েন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য আপনার সফলতা গুলো তার সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। যেকোনো ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (বিশেষ করে নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস) রয়েছে সেগুলোতে কাজ শুরু করে দিয়ে, একটি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার গোছানোর দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি একটি প্রফেশনাল পোর্টফোলিও তৈরি করে নিবেন। এর ফলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার যাবতীয় ইতিহাস এবং আপনার সফলতা গুলো সহজেই বুঝতে পারবে এবং আপনাকে কাজ দিতে আরও আগ্রহী হবে। 

সর্বোপরি বলতে চাই যে বর্তমানে বিশ্বের সমস্ত কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসাকে অনলাইন ভিত্তিক করতেছে। এর পাশাপাশি তারা বিজনেস গুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সবার সামনে প্রচার করতে চাচ্ছে। আর আপনি এই কাজে তাদেরকে প্রফেশনাল ভাবে সাহায্য করে একটি ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করে নিতে পারেন। 

তবে এই সেক্টরে ঢুকার পূর্বেই অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালভবে স্কিল ডেভলপ করে নিবেন। আর অবশ্যই কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার দিকে বেশি মনোযোগী হবেন। যদি সঠিকভাবে স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে এই সেক্টরে ঢুকতে পারেন, তাহলে এই সেক্টরে অনেক ভালো একটি ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব।

৮. Mobile app development

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বিশ্বের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৬৭ শতাংশই মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ইউজ করে।
বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিজনেস অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার ফলে তারা তাদের ইউজারদের কাছে খুব তাড়াতাড়ি সার্ভিস এবং প্রোডাক্ট প্রমোট করার জন্য মোবাইল ইউজারদের বেশি টার্গেট করতেছে। 

আসলে প্রত্যেকটি বড় বড় কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সার্ভিস প্রধানকারীরা তাদের মোবাইল ইউজারদের কাছে তাদের সমস্ত সার্ভিস বা প্রোডাক্ট প্রমোট করার ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতেছে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বর্তমানে সমস্ত প্রকার সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ই-কমার্স সাইট থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য যাবতীয় কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে বর্তমানে। 

Google প্লে স্টোরে যেখানে ২০১৪ সালে অ্যাপ এর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ লক্ষ। আর বর্তমানে সেখানে ২০২২ সালে প্লে স্টোরে অ্যাপ এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় 35 লক্ষের অধিক। সে ক্ষেত্রে বুঝতে পারতেছেন যে আগের থেকে বিভিন্ন কোম্পানি এবং ইন্ডিভিজুয়াল ব্যক্তিরা তাদের বিভিন্ন রকম অ্যাপ তৈরি করে নিচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে পরবর্তী সময়গুলোতে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং অ্যাপের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। 

এক্ষেত্রে আপনি যদি এখন থেকেই ভালোভাবে Mobile app development সম্পর্কে স্কিল তৈরি করতে পারেন ও এর পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করতেছে। তুলনামূলক এই সেক্টরে কাজের চাহিদা অনেক বেশি অন্যান্য সেক্টর গুলো তুলনায়।

 আরো সহজ ভাবে বলা যায় যে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরের অন্যতম হল Mobile app development সেক্টর। এই সেক্টরে যদি সঠিকভাবে আপনি কাজ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি মাসে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। তবে এই টাকার পরিমাণ সবার ক্ষেত্রে সমান নয়। 

যাদের স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স বেশি, তারা বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারে। আর যাদের এক্সপেরিয়েন্স নেই ও এর পাশাপাশি ভালো স্কিল এখন পর্যন্ত ডেভলপ করতে পারিনি তারাও ইনকাম করতে পারবে এক্ষেত্রে হয়তো তাদের ইনকাম তুলনামূলক কম হবে।

এই সেক্টরে অর্থাৎ মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে যার কয়েকটি অন্যতম হলো:

  • নতুন অ্যাপ তৈরি করা।
  • বিদ্যমান অর্থাৎ পূর্বের অ্যাপ গুলোকে আপডেট করা।
  • অ্যাপ এর মধ্যে নতুন ফিচার এবং ফাংশন যুক্ত করা।
  • অ্যাপের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের বাগ এবং সমস্যাগুলোকে সমাধান করা।

এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ করানো হয় এই সেক্টরে অর্থাৎ মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে। আমি পূর্বেই বলেছি এই সেক্টরে যদি কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই ভাল স্কিল ডেভলপ করতে হবে। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপিং এর জন্য আপনাকে কমপক্ষে নিচের দেয়া দক্ষতাগুলো অর্জন করতে হবে।  

  1. প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ (Swift, Kotlin, Java, C++, এবং C#) রপ্ত করতে হবে। 
  2. মোবাইল অ্যাপ ডেভলপ করার জন্য অবশ্যই ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা শিখতে হবে।
  3. অ্যাপ ডিজাইনের বিভিন্ন কৌশল শিখতে হবে।
  4. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কিভাবে বৃদ্ধি করতে হয় সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।
  5. অ্যাপের সিকিউরিটি এবং পারফরম্যান্স বৃদ্ধি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

মূলত আপনি মোবাইল অ্যাপস ডিভালাপ করার পূর্বে এই দক্ষতা গুলো কমপক্ষে নিজের মধ্যে নিয়ে আসবেন। এছাড়াও আরো অনেক অনেক দক্ষতা রয়েছে যেগুলো আপনাকে সময়ের সাথে সাথেই শিখে নিতে হবে।

সব সময় মনে রাখবেন এই সেক্টরে যদি আপনি কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে স্কিল বানানোর দিকে সব থেকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এর পাশাপাশি প্রফেশনাল মানের অ্যাপ তৈরি করার প্র্যাকটিস সব সময় চালিয়ে যেতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার পূর্বে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করে নিবেন। আপনি যদি এই স্টেপগুলো ফলো করেন ইনশাআল্লাহ আপনি এই সেক্টরে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।  

৯. Blockchain

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলোর অন্যতম একটি সেক্টর হল ব্লকচেইন
। ব্লকচেইন হল একটি ডিজিটাল রেকর্ড রাখার একটি পদ্ধতি যা থেকে তথ্য চুরি করা বা তথ্য পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভবের মত। যেকোনো ব্যবসা বা ব্যক্তিদের তথ্য নিরাপদ ও নির্ভয়েযোগ্য উপায়ে জমা রাখার জন্য ব্লকচেইন একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। 

আগের তুলনায় বর্তমানে এই সেক্টরে কাজের চাহিদা অনেক গুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের একটি দীর্ঘমেয়াদী ইনকামের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। ব্লকচেইন সেক্টর মূলত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর এর মধ্যে জনপ্রিয় হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যার প্রথম কারণ হলো প্রযুক্তি নির্ভর এই পৃথিবীতে একটি সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য ভাবে তথ্য রাখা। এটির ফলে বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এই দিকে বেশি ঝুঁকছে। এরপরের কারণটি হল ব্লকচেইন স্কিল গুলো অর্জন করা ও প্রয়োগ করা তুলনামূলক অনেক সহজ। এছাড়াও অনেক কোম্পানি তাদের ইনফরমেশন হাইড রাখার জন্য ব্লকচেইন সেক্টরটাকে অনেক প্রাধান্য দিচ্ছে।

ব্লকচেইন ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। যার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো:

  • ব্লকচেইন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
  • ব্লকচেইন সিকিউরিটি
  • ব্লকচেইন বিশ্লেষণ
  • ব্লকচেইন ডেটা সাইন্স

এগুলো ছাড়া আরও অনেক ধরনের বিভাগ রয়েছে যেগুলোতে আপনি এই সেক্টরের মধ্যে কাজ করতে পারবেন। এই সেক্টরে আপনি খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন। আপনারা Upwork, Fiverr, এবং Freelancer.com এর মতো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে খুব সহজেই ব্লকচেইন রিলেটেড প্রজেক্ট পেয়ে যাবেন। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এই সেক্টরের ওপর অনেক দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে হবে। এই সেক্টরে কাজ করতে কমপক্ষে নিচের দেয়া দক্ষতা গুলো অর্জন করতে হবে।

  • ব্লকচেইন প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান
  • প্রোগ্রামিং ভাষার দক্ষতা
  • ডেটা বিশ্লেষণের দক্ষতা
  • ব্লকচেইন সিকিউরিটি

আপনি যদি এই সেক্টরে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে এখন থেকেই স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স অর্জনের দিকে মনোযোগী হতে হবে। ভবিষ্যতে এই সেক্টরের ডিমান্ড সব থেকে বেশি থাকবে। সুতরাং আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একটি ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান তারা অবশ্যই এই সেক্টরটাকে মাথায় রাখবেন।

১০. Graphic Design

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

যে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর চাহিদা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসের মধ্যে অনেক ডিমান্ড রয়েছে তার অন্যতম একটি হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইনগুলোতে একটি ক্রিয়েটিভ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। গত কয়েক বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ছিল সবথেকে প্রচুর। 

তবে ২০২১ সালের শেষ দিক থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উত্থানের পর থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর টা তুলনামূলক পথ হারানোর পথে। কিন্তু এই কথা কি সম্পূর্ণ ঠিক, উত্তর না। কেননা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারলেও ক্রিয়েটিভ কিছু তৈরি করতে পারবেনা। 

একজন মানুষের চিন্তাভাবনা এবং একটি আর্টিফিশিয়ালের চিন্তাভাবনা কখনোই একরকম হতে পারে না। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা সাবেক কাল থেকে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে পূর্বের তুলনায় এখন আরও বেশি ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে এবং আরো অ্যাট্রাক্টি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর এদিকে মনোযোগী হতে হবে। 

কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে পূর্বের তুলনায় অধিক হারে কম্পিটিশন বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হলে প্রথমেই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বিভিন্ন মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার হয়ে নিতে হবে। এর পাশাপাশি প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় নিয়ে ভালোভাবে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। নিজের দুর্বলতা এবং সক্ষমতা গুলোকে পর্যালোচনা করে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কয়েকটি প্রধান ক্যাটাগরি হল:

  • লোগো এবং আইকন ডিজাইন।
  • ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ব্যানার অথবা যেকোনো পোস্টার ডিজাইন।
  • ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং ইমেজ ডিজাইন।
  • টি-শার্ট প্রিন্টিং এর জন্য ডিজাইন।
  • ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস তৈরি।

এগুলো সহ আরো অনেক অনেক ক্যাটাগরির জব রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে। যা আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এনালাইস করলেই বুঝতে পারবেন। 

তবে অবশ্যই মনে রাখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে ব্যাপক পরিমাণে ক্রিয়েটিভ হতে হবে এবং নতুন নতুন বিষয় নিয়ে কাজ করা শিখতে হবে। হয়তো ভবিষ্যতে আরো ভালো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসতে পারে এজন্য এখন থেকেই নিজেকে সবার থেকে আলাদা এবং ক্রিয়েটিভ বানানোর কাজে লেগে পড়ুন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর এই সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব তবে স্কিল এর উপর ডিপেন্ড করে। 

অন্যান্য জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

উপরে সেকশনে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে দশটি চাহিদা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। উপরে উল্লেখিত সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের পাশাপাশি আরো অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে। যা দিয়ে আপনি একটি ভাল ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। তুলনামূলক এই সেক্টরগুলোতেও কাজের চাহিদা অনেক বেশি। উপরের দশটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বাদে ও আরো কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। সেগুলো হলো:

  • Cloud computing
  • Cybersecurity
  • Copywriting
  • Translation
  • Photography
  • Writing
  • Email marketing
  • Content marketing
  • Affiliate marketing
  • Proofreading
  • Data entry
  • Virtual assistant
  • 3D modeling and animation
  • Voiceover
  • Consulting
  • Editing
  • Video production
  • Link building
  • Customer service

আপনি চাইলে উপরের দেয়া আছে কোন স্কিল নিয়েও কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন। তবে আপনি যেই সেক্টরে কাজ করুন না কেন আপনার যদি সঠিক দক্ষতা এবং এক্সপেরিয়েন্স না থাকে তাহলে কোথাও আপনি সফল হতে পারবেন না। এজন্য প্রথমে দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি লক্ষ্য রাখুন। এর পাশাপাশি কমিউনিকেশন স্কিল এবং ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলো নিয়ে শেখার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার ক্যারিয়ার আরো উন্নতির দিকে আগাবে ভবিষ্যতে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং-এর কোন সেক্টর-এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি? 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় এবং সেক্টরগুলোতে আমিও উপরে ভালোভাবে উল্লেখ করেছি। তবে মনে রাখবেন বর্তমান যুগ যেহেতু ডিজিটালাইজ হচ্ছে সেক্ষেত্রে এমন সেক্টর নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন, যা ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ,ডাটা এনালেটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, এসইও সহ আরো অনেক ভালো মানের সেক্টর রয়েছে যেগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। 

উপরে যে ক্যাটাগরি গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সবগুলোরই বর্তমান চাহিদা অনেক ভালো এবং ভবিষ্যতে এই চাহিদা আরো বেশি বাড়তে পারে। সুতরাং যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই ওপরের সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। 

কোন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অভিজ্ঞতা না থাকলেও কাজ শুরু করা সম্ভব?

আপনি যে কোন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে গেলে অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা প্রয়োজন হবে। তবে এমন কিছু শিখতে রয়েছে যেই সেক্টরগুলোতে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব। তবে অবশ্যই স্কিল থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সময় লাগে কিন্তু দক্ষতা অর্জন করতে খুব বেশি সময়ও লাগে না যদি সঠিকভাবে করা যায়। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই প্রথমে দক্ষতা অর্জনের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। এর পাশাপাশি যখন আপনি নিয়মিত কাজ করতে থাকবেন তখন অটোমেটিক্যালি আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। একটি এমন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নাম দিচ্ছি যেগুলোতে অভিজ্ঞতা ছাড়াও কাজ করা সম্ভব।

১. কাস্টমার সাপোর্ট

২. ফেসবুক বিজনেস পেজ অপটিমাইজেশন

৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

৪. কপিরাইটিং

৫. ডেটা এন্ট্রি

মূলত উপরের সেক্টরগুলোতে দক্ষতা থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব। তবে একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন দক্ষতা এবং এক্সপেরিয়েন্স দুটোই একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। 

যখন আপনি দক্ষতা অর্জন করবেন এবং এর পাশাপাশি প্র্যাকটিস করবেন তখন অটোমেটিক্যালি আপনার অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। তবে কোন প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াও উপরের সেক্টরগুলোতে কাজ করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে প্রফেশনাল ভাবে কাজ শিখতে হবে, নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে এবং মার্কেটপ্লেসে সঠিক বায়ারের সাথে কাজ করতে হবে।

সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইনকামের জন্য কোনটি?

আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনি প্রথমে লো কম্পিটিটিভ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি যদি অভিজ্ঞ কিংবা এই সেক্টরে ভালো কিছু করতে চান তাহলে আপনি যেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইনকামের সম্ভাবনা বেশি সেই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেষ্টা করবেন। 

মূলত সব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ই অধিক আয় করা সম্ভব এক্ষেত্রে স্কিল ও অভিজ্ঞতা মেইন ফ্যাক্টর।  তবে বিশেষজ্ঞদের মতে সব থেকে যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে আয় করা যায়। সেগুলোর মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে, সেগুলো হলো: Upwork, Fiverr, Toptal, Jooble, Freelancer.com, Flexjobs, SimplyHired, Guru। আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

তবে সব সময় মনে রাখবেন যে, মার্কেটপ্লেস যেমনই হোক আপনার যদি স্কিল ও অভিজ্ঞতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি অনেক বেশি পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা না থাকে আপনি যত ভালই মার্কেটপ্লেসে ঢুকুন না কেন আপনার ইনকাম এর সম্ভাবনা থাকবে না। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের প্রত্যেকটি মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া সম্ভব যদি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে স্কিল ও এক্সপেরিয়েন্স থাকে।

ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি, সেটা নিয়ে অনেক জনের বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তবে বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী এবং সাকসেসফুল ফ্রিল্যান্সারদের তথ্য অনুসারে, সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবথেকে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক। 

এখানে সবথেকে বেশি পরিমাণে কাজ পাওয়া যায়।  এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি পরিমাণে কর্মী রয়েছে বলে জানা যায়। তবে এর পরের পজিশনেই রয়েছে ফাইভার। ফাইভারের মধ্যেও অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে থাকে। ফাইভারের পর অবস্থান রয়েছে freelancer.com এর। 

তবে সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ করে থাকে ফাইভারে। এরপরের পজিশনে রয়েছে আপওয়ার্ক। তবে এই ফ্রিল্যান্সার সাইটগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতেও ভালো পরিমাণে কাজ পাওয়া সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ তম। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে রেখেছে। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সম্মান। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আয় করেছে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার উপরে। 

যা হয়তো ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কর্মী সংখ্যার দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান সেরা দশের মধ্যে রয়েছে। (বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটা পড়ে নিতে পারেন)

যেহেতু বাংলাদেশ ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরের একটি শক্তিশালী এবং চাহিদা সম্পূর্ণ দেশ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ভবিষ্যতে আরও উন্নতি লাভ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রায় ১০ লক্ষের অধিক এক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান সে ক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আপনাদের মধ্যে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার কিংবা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন,তারা অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং গঠন করার পূর্বে এই টিপসগুলো নিজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবেন। 

১. দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন: 

ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ অনলাইন জগতে কাজ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রথমেই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে সমস্ত কিছু শিখে নিতে ভুলবেন না। প্রত্যেকটি বিষয়কে মনোযোগ সহকারে বোঝার চেষ্টা করবেন এবং তা পরবর্তীতে প্র্যাকটিস করবেন। 

কোন কাজ যদি আপনার দাঁড়া না হয় তাহলে সেই কাজ বারবার চেষ্টা করবেন। চেষ্টা করবেন আপনার দক্ষতাকে সবার থেকে আলাদা এবং আকর্ষণীয় করার। যখন আপনি প্রাকটিস সহকারে কাজ চালিয়ে যাবেন তখন ধীরে ধীরে আপনার অভিজ্ঞতা অটোমেটিক্যালি তৈরি হবে। 

সুতরাং অবশ্যই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ হয়েছি মার্কেটপ্লেসে ঢোকার চেষ্টা করবেন তাহলেই খুব দ্রুত সফলতা পাবেন।

২. কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করা: 

কমিউনিকেশন স্কিল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখে। আপনি যদি ক্লায়েন্ট এর সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম ও সম্মান দুটোই বৃদ্ধি পাবে। কেননা আপনি যদি সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে পারেন, তাহলে আপনি ক্লায়েন্টের কাছে সবকিছু গুছিয়ে বলতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনার কি কি প্রয়োজন এবং ক্লায়েন্টের কি কি লাভ হবে যখন সে বুঝতে পারবে তখন আপনার প্রতি ক্লায়েন্ট বেশি আগ্রহী হবে। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রবেশ করার পূর্বেই কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করার দিকে মনোযোগ রাখবেন।

৩. পোর্টফোলিও তৈরি করা: 

আপনার যাবতীয় অর্জন, স্কিল, এক্সপেরিয়েন্স এবং আপনার ব্যাপারে কি বলে অন্যরা এই সমস্ত বিষয়গুলোকে গুছিয়ে নিয়ে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করবেন। আপনার রিসেন্ট প্রজেক্টগুলো আপনার পোর্টফোলিওর মধ্যে যুক্ত করে দিবেন। এতে করে আপনি যখন কোন ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন করবেন এবং তাকে আপনার পোর্টফলিও দেখাবেন তখন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

কেননা আপনার সফলতা অর্জন এবং স্কিলের উপর তখন তার বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। পোর্টফোলিও তৈরি করলে ভবিষ্যতেও আপনার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন নতুন ক্লায়েন্ট পেতে অনেক সহযোগিতা করবে। 

৪. নির্দিষ্ট প্রাইসিং করা: 

আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে যাবেন তখন আপনার কাজের জন্য কত টাকা করে নেন সেটা ক্লিয়ার করিয়ে দিবেন। এমন দাম নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন যেটা আপনার স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

অতিরিক্ত দাম রাখবেন না যেন ক্লায়েন্টের কাছে মূল্য অনেক বেশি মনে হয়। আবার অনেক কম দামও রাখবেন না যেন আপনার স্কিলের প্রতি অবিচার করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিযোগীদের প্রাইসিং লিস্ট দেখে নিতে পারেন এতে করে আপনার প্রাইস কত রাখা উচিত হবে, সেটা বুঝতে আপনাকে সহযোগিতা করবে। 

৫. নেটওয়ার্ক ক্রিয়েট করা: 

আপনি যেই সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেই সেক্টরের বড় ভাইদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ নেন। তাদের কাছ থেকে সহযোগিতায় এবং যাবতীয় চেষ্টা করবেন। আপনার পুরাতন ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা চেষ্টা করবেন এবং তাদের সাথে মাঝেমধ্যে কমিউনিকেট করবেন।

চেষ্টা করবেন একটি ভালো পরিমাণের সম্পর্ক তৈরি করার। ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকেও সহযোগিতা পাবেন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্লাইন্টকে ফাইন্ড আউট করার চেষ্টা করুন। আউট রিচ করার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট যোগাড় করার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি পাবে। 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

বাংলাদেশে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সব থেকে আইটি সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪?

ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা এনালিটিক্স, ভিডিও এডিটিং, এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, SEO, SEM।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি?

SEO, SEM, SMM, ইমেল মার্কেটিং থেকে শুরু করে কনটেন্ট মার্কেটিং এবং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে যে মার্কেটিং গুলো পড়ে ল, সবগুলো কাজের এই চাহিদা রয়েছে।

Online এ কোন পেশা সবচেয়ে ভালো?

আপনার আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ?

ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান অষ্টম তম।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

বিভিন্ন তথ্য অনুসারে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। আবার অনেক জন বলেছে বাংলাদেশে আয়ের দিক থেকে অবস্থান অষ্টম তম ই।

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে?

প্রায় সাড়ে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা এনালিটিক্স, ভিডিও এডিটিং, এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয় কত?

২০২২ সালে $1.5 বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবথেকে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক।

সারা বিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন?

সারা বিশ্বে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা শতকরা দিক থেকে ১৬%।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তাদের আয়ের উপর সরকার কত শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে?

বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তাদের আয়ের উপর ৪% প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের আয়?

প্রায় $1.5 বিলিয়ন ডলার।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত?

পুরুষের ও নারীর অংশগ্রহণের শতকরা হার প্রায় ৬০:৪০।

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার টাকা পাওয়ার সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হল পেওনিয়ার।

আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ?

আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান দ্বিতীয়।

বাংলাদেশের টপ ফ্রিল্যান্সার কে কে?

এই বিষয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনুসন্ধান করতে পারেন।

বাংলাদেশ কি কি আউটসোর্সিং সুযোগ আকর্ষণ করতে পারে?

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং এর প্রায় প্রত্যেকটি স্তরেই ভালো অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের আউটসোর্সিং এর প্রায় প্রত্যেকটি অপশনে তাদের সুযোগ এবং আকর্ষণ গ্রহণ করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি?

ফ্রিল্যান্সারদের এ সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হল আপওয়ার্ক।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝেন?

স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সেল করে অনলাইনে আয় করা।

বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্স কর্মী কত শতাংশ?

বিশ্বব্যাপী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৬%।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেট কোনটি?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেট হল আমাজন।

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম?

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান অষ্টমতম।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?

ভালোভাবে স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স ডেভেলাপ করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল।

বাংলাদেশে কোন ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেশি?

বাংলাদেশের জব সেক্টরের সব থেকে যে ইঞ্জিনিয়ার দের সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে তারা হচ্ছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

উপসংহার

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি, এই প্রশ্ন সবার মাঝে কখনো না কখনো জেগে থাকে। বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তাদের কাছে এটি একটি কমন প্রশ্ন। এইজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। 

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজে চাহিদা বেশি এবং সেগুলো কেন চাহিদা সম্পন্ন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে উপরের যে কোন একটি সেক্টর নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে চাইলে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারেন। 

এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি শুধুমাত্র ১০ টি সেক্টর নিয়ে কথা বলেছি। এছাড়াও আরো অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে যেগুলো ভবিষ্যতের ডিমান্ডেবল হতে পারে। এছাড়াও আমি আর্টিকেলের মধ্যে আরও অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। 

আশা করি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। তো আজকের এই আর্টিকেল অর্থাৎ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই পর্যন্তই। এখনো যদি আপনার কোন প্রকার প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। তো সবাইকে আসসালামু আলাইকুম, আশা করি পরবর্তী আর্টিকেলগুলো এবং পূর্ববর্তী আর্টিকেলগুলো পড়বেন।#happy_freelancing...


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url