ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের পর থেকে বাংলাদেশ এর অনেক যুবক এবং স্টুডেন্টরা ফ্রিল্যান্সারের দিকে বেশি ঝুকছে। তবে বাংলাদেশ অনেক আগ থেকেও ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে অনেক ভালো পজিশনে ছিল। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে এই দিক থেকে বিশ্বের সেরা 10 টি দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। 

এখন বর্তমানে নতুন নতুন অনেকজন রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে আসার চেষ্টা করতেছে। তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে আসে তাদের মনে একটি কমন প্রশ্ন থেকে যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম? মূলত এই বিষয়ে সম্পর্কে অনেক জন জানতে চায়। এইজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। 

এর পাশাপাশি আমরা আরো আলোচনা করব, ফ্রিল্যান্সিং এর শীর্ষ ১০ টি দেশ, সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে। আপনাদের বোঝানোর সুবিধার্থে আমরা সমস্ত তথ্য খুব সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করব। 

তাহলে চলুন অতিরিক্ত ইন্ট্রোডাকশন না বাড়িয়ে আমাদের মূল আর্টিকেল অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থা কোন পর্যায়ে?

ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা ১০ টি দেশের মধ্যে এই অবস্থান করতেছে। অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে অনেক দূরে এগিয়ে গিয়েছে। যেহেতু বর্তমানে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সহজতর হয়ে গিয়েছে এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্কিল ডেভেলপ করার মত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে বেশিরভাগ যুবক এবং স্টুডেন্টরা ঝুকছে। বিশেষ করে স্বাধীন পেশার নির্বাচন এবং বেশি ইনকামের মতো সুবিধা থাকার কারণে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুনরা বেশি আগ্রহী। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোর ট্রেন্ড লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে ২০২১ সালের আগে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং আগ্রহী সংখ্যার তুলনায় বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের আগ্রহ দ্বিগুণ। মূলত বিশ্বের সবথেকে নামিদামি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের আধিপত্য চোখে পড়ার মতো। 

এছাড়াও বাংলাদেশী বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা আরো বিশাল এবং বড় হবে। 

২০২২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২১-২২ সালের অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে রেমিটেন্স আদায় করে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় ,বাংলাদেশে সেক্ষেত্রে সেরকম সুবিধা পাওয়া যায় না। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে পেমেন্ট পাওয়ার সময় সবথেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও পেপাল এর মত অপশন গুলো বাংলাদেশের মধ্যে available নেই। 

তবে বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে একটু বেশি মনোযোগী হয়েছে পূর্বের তুলনায়। সরকারিভাবে স্কিল ডেভলপমেন্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি কোর্স চালু করেছে। তবে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরো নানা ধরনের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং কে একটি পেশার রূপ দিয়েছে সরকার। যার ফলে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা নানা ধরনের সুবিধা পাচ্ছে। 

কিন্তু এখনো অনেক ধরনের সমস্যা থেকেই গিয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। তবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা উন্নয়নের পর্যায়ে ধীরে ধীরে পৌঁছাচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশে ইন্টারনেট সুবিধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়ার ফলে আগের তুলনায় ফ্রিল্যান্সাররা ভালোভাবে কাজ করতে পারতেছে। 

এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশে একটিভ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন থেকে যদি সরকার এই বিষয়ে আরো সজাগ থাকে তাহলে ভবিষ্যতে আরও ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তমফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৮ তম। তবে এই রিপোর্টটি প্রদান করা হয় ২০১৯ সালে পেওনিয়ার এবং গ্লোবাল গিগ ইকোনমিক ইনডেক্স এর যৌথ বিবৃতিতে। পুরো বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টমতম, যেখানে ভারতের বর্তমান অবস্থান সপ্তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান চতুর্থ। 

২০১৯ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ লক্ষের কাছাকাছি, যা ২০২৪ সালে এসে ১০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ২০১৯ সালে যে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল বাংলাদেশ তা বর্তমানে দ্বিগুণ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের সময় যখন বেশিরভাগ মানুষ বাসায় বন্দি ছিল সে সময় অনেকজন অতিরিক্ত ইনকামের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যুক্ত হয় যারা আজকে অনেকটাই সফল।

এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে ভবিষ্যতে যদি কোন প্রকার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর নিয়ে অবস্থান পরিবর্তন করা হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উঁচু পর্যায়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইনকাম কয়েকটি দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়াও বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের  স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স উন্মুক্ত করেছে। যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা আগের তুলনায় বেশি দক্ষ। 

সুতরাং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ৮ তম হলেও ভবিষ্যতে এই অবস্থান আরো উন্নত হবে বলে বিশেষজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা মনে করে থাকে। তাছাড়া এগুলো শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেসের তথ্য, যদি আমরা ইন্ডিভিজুয়াল ভাবে চিন্তাভাবনা করি সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরো বড় অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করা হয়। কেননা সমস্ত ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে কাজ করে না অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা আউটরীচের মাধ্যমে সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতেছে। (আরো জানুন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?)

সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কতজন?

আইডিএলসি এর তথ্য অনুসারে সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা ১৬%। অর্থাৎ গড়ে ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ১৬ জন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সারা বিশ্বের মধ্যে। তবে এই পরিসংখ্যানটি যে সম্পূর্ণ সঠিক তার গ্যারান্টি দেয়া মুশকিল। 

তবে বাংলাদেশ সরকারের বেসরকারি এবং বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সময় টিভিকে একটি তথ্য প্রদান করে। সেই তথ্য অনুসারে বিশ্বের প্রায় টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ৬৪% বাংলাদেশী ফ্রিলান্সার। তবে তিনি পরবর্তীতে একথা ফিরিয়ে নেন এবং জানান যে এই তথ্যের মধ্যে কিছু ত্রুটি রয়েছে। 

কিন্তু আমরা আপ ওয়ার্ক এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান যুক্ত ওয়েবসাইটগুলো থেকে জানতে পারি যে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবদান অনেক বেশি। পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কদর অনেক বেশি অন্যান্য দেশের ফ্রিল্যান্সারের তুলনায়। 

বিশেষ করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে এই চাহিদা আরো অনেক বেশি। তবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা এবং ইনকাম বেশি হলেও Hour per Rate অন্যান্য অনেক দেশে তুলনায় খুবই কম। এছাড়াও স্কিলের দিক থেকেও তুলনামূলক বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তবে বাংলাদেশ যদি এই দুটি সেক্টরে উন্নতি করতে পারে সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বাংলাদেশের অবদান আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের শীর্ষ 10টি দেশ

বিশ্বের সেরা ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কান্ট্রির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম একটি। কিন্তু এর পাশাপাআশি অন্যান্য দেশগুলো যা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা। তাহলে চলুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এ শীর্ষ ১০ টি দেশ সম্পর্কে।

1. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

বিশ্বের শীর্ষ এবং সব থেকে পপুলার ফ্রিল্যান্সিং কান্ট্রি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিল্যান্সিং এর গ্রোথ রেট হল 78%। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মূলত স্বাধীন পেশায় বেশি নিতে বেশি আগ্রহী এজন্য সে দেশে ফ্রিল্যান্সিং সব থেকে বেশি পপুলার। পুরো বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং স্কিলের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে রয়েছে। আরে জন্য বলা হয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হল ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ার বস। আপওয়ার্ক এর তথ্য অনুসারে ২০২১-২২ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে। যেই সংখ্যাটা অনেক বড়। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার মিলিয়ন অর্থাৎ ৪০ লক্ষের অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আর একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার এক বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ডলারের অধিক ইনকাম করে থাকে। 

2. যুক্তরাজ্য 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউনাইটেড কিংডম অর্থাৎ যুক্তরাজ্য। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ফ্রিল্যান্সিং এর গ্রোথ রেট হল 59%। যা বিশ্বের দ্বিতীয় পপুলার ফ্রিল্যান্সিং কান্ট্রি হতে সাহায্য করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সারের স্কিলের পরেই যুক্তরাজ্যের ফ্রিল্যান্সারদের স্কিল বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। যুক্তরাজ্য ২০২২-২৩ সালে ফ্রিল্যান্সার তাদের দেশের ইকোনমিতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে প্রায় ২৭৮ বিলিয়ন ইউরো অবদান রাখে। যুক্তরাজ্যের একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার বছরে প্রায় 40 হাজার অধিক ইনকাম করে থাকে। তাদের দেশের মোট ১৩% মানুষ ফিন্যান্সিং এর সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই মিলিয়ন অর্থাৎ ২০ লাখের কাছাকাছি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তবে পূর্বের তুলনায় ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা তুলনামূলক কম হচ্ছে বলে ধরা হয়ে থাকে।

3. ব্রাজিল 

ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল সবথেকে পপুলার ফ্রিল্যান্সিং দেশগুলোর একটি। বর্তমানে ব্রাজিলের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অনেক পপুলার। বর্তমানে ব্রাজিলের গ্রোথ রেট প্রায় 48%। আমরা মূলত ফুটবলের জন্য ব্রাজিল এর সাথে অনেকটা পরিচিত হলেও ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকেও ব্রাজিল অনেক উন্নত একটি দেশ। তবে ব্রাজিল এর ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনলাইনে খুব একটা ভালো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে ধরা হয়ে থাকে ব্রাজিলে প্রায় তিন মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ লাখের অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। ব্রাজিলের একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ডলার ইনকাম করে থাকে। তবে ব্রাজিলের ফ্রিল্যান্সিং ট্যাক্সের পরিমাণ অনেক বেশি এতটুকু ক্লিয়ার।

4. পাকিস্তান 

সারা বিশ্বের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে পাকিস্তানের অবস্থান চতুর্থতম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম। পাকিস্তান মূলত ফ্রিল্যান্সিং পেশা টা খুবই জনপ্রিয়। তুলনামূলক ইনকামের দিক থেকেও পাকিস্তান অনেক উপরে রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে গ্রোথ রেট হল 47%। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের প্রত্যেকটি বিষয়েই পাকিস্তানিদের অনেক বড় একটি অবদান এবং আধিপত্য রয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের প্রায় 2.5 মিলিয়ন অর্থাৎ ২৫ লাখের অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। আর একজন মধ্যমানের ফ্রিল্যান্সাররা বছরে প্রায় ৩০০০০ ডলার ইনকাম করে থাকে। এছাড়াও প্রত্যেক বছর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে তাদের দেশে প্রায় 500 মিলিয়ন এর কাছাকাছি রেমিটেন্স আসে। 

5. ইউক্রেন 

ইউক্রেন দেশটি ও মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে অনেক জনপ্রিয়। দেশটিতে তরুণদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অনেক ট্রেন্ডিং বলে মনে করা । বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে গ্রোথ রেট হল প্রায় 36%। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে ইউক্রেনের অবস্থা অবনতির দিকে। ২০২২-২৩ সালে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে যারা শুধুমাত্র ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে যা পূর্বের সময়ের থেকে অনেক কম। বর্তমানে দেশটিতে শুধুমাত্র দুই থেকে তিন লাখের কাছাকাছি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তুলনামূলক একজন ফ্রিল্যান্সারের ইনকাম মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ডলারের কাছাকাছি। 

6. ফিলিপাইন 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন মূলত ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে খুবই জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ফিলিপাইনদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। বর্তমানে ফিলিপাইনের ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্রোথ রেট হলো 35%। বর্তমানে ফিলিপাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর বাজার কত বড় সেটা নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না তবে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা বিভিন্ন তথ্য দেখে বোঝা যাচ্ছে। বর্তমানে ফিলিপাইনে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন বা 15 লক্ষের কাছাকাছি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। বর্তমানে একজন মধ্যমানের ফিলিপাইনি ফ্রিল্যান্সার বছরে প্রায় ৩০০০০ ডলারের কাছাকাছি ইনকাম করে থাকে। তবে তথ্যটা সম্পূর্ণ সঠিক তা কিন্তু নয়। এটা অনলাইনের একটি ব্লগ থেকে কালেক্ট করা হয়েছে। তবে একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্সারের ইনকাম স্বাভাবিকভাবেই এক বছরে ৩০ হাজার ডলারের কাছাকাছি হবে সেটা অস্বাভাবিক নয়। 

7. ভারত 

বিশ্বের সবথেকে বেশি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ইন্ডিয়ার মধ্যে। সব থেকে বেশি জনসংখ্যা থাকার কারণে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা ভারতে একটি জনপ্রিয় রূপ ধারণ করতেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়তম এবং সারা বিশ্বের মধ্যে সপ্তম তম।  সংখ্যার দিক থেকে ভারতের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি থাকলেও তাদের ইনকাম খুবই কম মূলত বাংলাদেশের থেকেও কম। বর্তমানে ভারতের ফ্রিল্যান্সিং এ গ্রোথ রেট হলো 29%। ভারতে বর্তমানে 15 মিলিয়ন এর অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যা বিশ্বের মধ্যে একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। এছাড়াও একজন মিডিয়াম সাইজের ফ্রিল্যান্সার মাসে ৫০ থেকে ৬০০০০ রুপি আয় করে থাকে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট বাজার হবে প্রায় ৩০ বিলিয়নের কাছাকাছি।

8. বাংলাদেশ 

বলা হয়ে থাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি বড় অংশই বাংলাদেশের অধীনে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যা একটু আগেই আমি আলোচনা করেছি। সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান অষ্টম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় তম। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সমস্ত মার্কেটপ্লেস এই অনেক সুনাম রয়েছে।  বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং এর গ্রোথ রেট হল 27%। প্রত্যেক বছর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে রেমিটেন্স আসে। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি। আর একজন মধ্যম মানের ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশের চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে প্রত্যেক মাসে।

9. রাশিয়া 

রাশিয়া মূলত ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিক থেকে অনেক জনপ্রিয় একটি দেশ। দেশটি অনেক বড় হলেও জনসংখ্যার তুলনামূলক অনেক কম। বর্তমানে রাশিয়ার ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রোথ রেট হল  20%। ২০২০ সালে রাশিয়ার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট থেকে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। এছাড়া বিভিন্ন তথ্য অনুসারে দেখা যায় যে রাশিয়ায় বর্তমানে ১৮ মিলিয়ন এর কাছাকাছি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অনলাইন এবং অফলাইনে কাজ করে। বর্তমানে রাশিয়া সম্পর্কে খুব একটা তথ্য অনলাইনে পাওয়া যায় না। 

10. সার্বিয়া 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সার্বিয়া। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানি এবং আইটি কোম্পানিগুলো সার্বিয়াতে তাদের কার্যক্রম চালু করতেছে। যার ফলে সার্বিয়া তে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে সার্বিয়ার ফ্রিল্যান্সিং এ গ্রোথ রেট হল 19%। বর্তমানে সার্বিয়াতে বিভিন্ন বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান সার্বিয়াতে তাদের প্রতিষ্ঠা চালু করতেছে। এতে করে নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার রা যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে সার্বিয়াতে প্রায় ১ লক্ষের অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। 

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে?

সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং-এ কত ডলারের বাজার রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান কত তম
সারাবিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে সেটা একজ্যাক্টলি বলা সম্ভব নয়। তবে বিভিন্ন তথ্য অনুসারে এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিবরণ অনুসারে, ২০২২ সালে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর আকার ছিল প্রায় ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালে প্রায় ৪.৯৪ বিলিয়ন ডলারের উত্তীর্ণ হয়। আশা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ৫.৮৭ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭.৪% শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হয়। ফ্রিল্যান্সিং এবং আইটি সেক্টরের বাজার খুবই দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। (সোর্স: গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চ)

ধারণা করা হয়ে থাকে ২০২৫ সালের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বাজারে দাঁড়াবে  ৬.৮৯ বিলিয়ন ডলার। মূলত এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি পশ্চিমা দেশগুলোতে লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং যে গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হিসেবে দেখা যায় যে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেট প্রাইস দাঁড়াবে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে। 

মূলত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টা আনপ্রেডিক্টেবল যার কারণে নির্দিষ্টভাবে কোন সংখ্যাকে ফাইনাল বলে ভেবে নেয়া ভুল হবে।  তবে এই পরিসংখ্যান গুলো থেকে আমরা একটি সার্বিক ধারণা পেতে পারি যে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বাজার মূল্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সব থেকে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

ফ্রিল্যান্সিং এর প্রত্যেকটি সেক্টরেই এখন ডিমান্ডেবল সেক্টর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বিশেষ করে কয়েকটি সেক্টর রয়েছে যেগুলো যাদের ডিমান্ড সাধারণ সেক্টর গুলো থেকে অনেক বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি:

১. Web Development 

২. Data Analytics

৩. Artificial intelligence

৪. Digital Marketing

৫. Video Editing

৬. SEO

৭. Social Media Marketing

৮. Mobile app development

৯. Blockchain

১০. Graphic Design

যদি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন সে ক্ষেত্রে এই দশটি সেক্টর হতে পারে সব থেকে ডিমান্ডেবল। আপনারা যারা এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলটা পড়ে নিবেন

বাংলাদেশে কত লক্ষ অ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষের অধিক একটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে ২০২৩ সালের লেটেস্ট তথ্য অনুসারে। মূলত বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সব থেকে উপরের দেশগুলোর মধ্যে। 

২০২১ সালের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে সেই সময় বাংলাদেশের একটি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে 5 লক্ষ। আমি পূর্বেও বলেছি যে করোনা ভাইরাসের পর থেকে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলস্বরূপ এই সংখ্যা। যদিও এটা একুরেট তথ্য না জাস্ট একটি আনুমানিক তথ্য। 

তবে যেহেতু বাংলাদেশের একটি ফ্রিল্যান্সিং সোসাইটি থেকে এই তথ্য দেয়া হয়েছে সুতরাং আমরা এখান থেকে বুঝতে পারতেছি যে বাংলাদেশে বর্তমানে একটিভ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষের অধিকবাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটা পড়ে নিতে পারেন। 

কিভাবে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়?

বর্তমানে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এই ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর জন্য। তারা এই উদ্যোগের নাম দিয়েছে LEDP। এখান থেকে আপনি চাইলেই এখান থেকেই সম্পূর্ণ ফ্রীতে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিতে পারবেন। এতে আপনার কোন প্রকার খরচ হবে না। 

এলইডিপি কোর্স করার জন্য আপনাকে অবশ্যই এইচএসসি পাশ করতে হবে। এছাড়াও এই কোর্সটি সম্পূর্ণ করার পর আপনি যদি ভাল ইনকাম করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ফ্রিতে ল্যাপটপ প্রদান করবে। 

দ্বিতীয় আরেকটি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জনপ্রিয় উপায় হল ইউটিউব। বর্তমানে ইউটিউবে সমস্ত প্রকার কোর্স ফ্রিতে পাওয়া যায়। আপনি যদি একটু চেষ্টা করেন এবং সময় দেন তাহলে ইউটিউব থেকেই আপনি সমস্ত বিষয়ে শিখে নিতে পারবেন। 

ইউটিউব এর মধ্যে আপনি যেকোনো বিষয়ে সার্চ দিলেই সেই রিলেটেড অসংখ্য ভিডিও পেয়ে যাবেন। আপনি যদি সমস্ত ভিডিও দেখেন তাহলে আপনি কোর্সের থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবেন। ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে আপনি যে কোন প্রকার সমস্যা খুব সহজে সমাধান করতে পারবেন। কেননা এখানে একটি বিষয়ের উপর অনেকজন অনেক রকম ভিডিও তৈরি করে। যা আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের সাহায্য করবে। 

আপনি চাইলে এই দুটি স্টেপ ফলো করেই ফ্রিতেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং মার্কেটপ্লেসে খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক অনেক ফ্রিল্যান্সার ভালো পজিশনে রয়েছে।  সুতরাং আপনি চাইলেও আপনিও একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন ফ্রিতে শিখেই। 

LEDP তে কি কি কোর্স রয়েছে?

এলইডিপিতে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যেকোনো একটি কোর্স ফ্রিতে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনি একাধিক কোর্স করতে চান সে ক্ষেত্রে প্রথমে একটি কোর্স শেষ করে আরেকটি কোর্সে যুক্ত হতে হবে। সরাসরি অনলাইন থেকে করার সুবিধা রয়েছে এই কোর্সটির। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

উপসংহার

বাংলাদেশের নতুন ফ্রিল্যান্সিং আসা লোকদের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত সেটা জানার আগ্রহ অনেক বেশি। বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং থেকে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। তাদের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে হারে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েছে বাংলাদেশে আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান আরো উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে। 

বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লক্ষের অধিক একটিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ইনকাম আগে তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের কাছে বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম সেই সম্পর্কে একটি বেসিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

যদি এই বিষয়ে আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে কিংবা বলার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল অর্থাৎ বাংলাদেশ ফ্রিলান্সিং সেক্টরে অবস্থান কত তম এই বিষয়ে আপনারা সামান্য হলেও জ্ঞান লাভ করেছেন। তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই, অবশ্যই পরবর্তী ও পরবর্তী আর্টিকেল গুলো পড়ে নিবেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url