ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ২০২৪

 

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ব্যাংক ভালো, Freelansarderder jonno shera 5 ti bank account, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ফ্রিল্যান্সাররা মূলত অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে। কিন্তু সব থেকে বড় প্রবলেম হয় সেটা উপার্জিত অর্থ নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে আনা। কেননা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়, আর এর পাশাপাশি রয়েছে অনিশ্চয়তা। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পুরো বিশ্বব্যাপী। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা বছরে দশ হাজার কোটি টাকার উপরে রেমিটেন্স নিয়ে আসতেছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে। 

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে এত বেশি টাকা পরিমাণে রেমিটেন্স আনার পরেও বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো ব্যাংক নেই, যেখানে ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট খুলে ভালো সুবিধা পাবে। 

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভালো ব্যাংক নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে নিরাপত্তা, ডুয়েল কারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এবং ভালো ট্রানজেকশন রেট এর মত বিষয়গুলো প্রভাব রাখে। 

তবে বাংলাদেশে প্রায় ৬১ টি ব্যাংক থাকার পরেও ফ্রিল্যান্সারদের অনেক কষ্ট করে টাকা আনতে হয়। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণে সুবিধা কোন ব্যাংকে প্রদান করে না। 

তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা পাঁচটি ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে আলোচনা করব। এর পাশাপাশি আরো আলোচনা করব কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে ব্যাংক একাউন্ট নির্বাচন করা উচিত, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ব্যাংক ভালো, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কি ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়, এবং কিছু অন্যান্য রিলেটেড বিষয় নিয়ে। 

তাহলে চলুন আমাদের আর্টিকেল শুরু করি।

কেন ফ্রিল্যান্সারদের সঠিক ব্যাংক একাউন্ট নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ?

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৬১টির অধিক ব্যাংক রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন স্পেশাল ব্যাংকিং ফ্যাসিলিটি নেই বললেই চলে। অন্যান্য দেশে যেমন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্পেশাল সুযোগ-সুবিধা থাকে সেরকম নেই। 

নিজের উপার্জিত অর্থগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য এবং দ্রুত লেনদেন করার জন্য সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেগুলোর জন্য অবশ্যই একটি সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা উচিত ফ্রিল্যান্সারদের।

বিশেষ করে দ্রুত এবং সহজ লেনদেন করার জন্য সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা প্রয়োজন। বর্তমানে এমন সব ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা আসার পর সাথে সাথে উত্তোলন করা যায় না কিংবা টাকা আসতে অনেক লেট হয়। 

এছাড়াও যদি ভাল কাস্টমার সাপোর্ট না থাকে সেক্ষেত্রেও অনেক সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। 

এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করতেছে। আবার অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা এই ধরনের কিছু সাপোর্ট করে না। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই অনলাইন ব্যাংকিং অপশন রাখা ব্যাংক নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। 

এগুলো ছাড়াও কতগুলো ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে যারা অনেক উচ্চ ট্রানজেকশন রেট দেয় আবার অনেকগুলো এমন ব্যাঙ্ক রয়েছে যারা খুব কম ট্রানজেকশন রেট দেয়। 

এছাড়াও বর্তমান সরকার প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের ইনকামের উপর প্রণোদনা দিচ্ছে, এখন ফ্রিল্যান্সারদের  উচিত এমন ব্যাংক নির্বাচন করা যেই ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের ওপর প্রনোদনা দেয়। 

মূলত এই কারণগুলোর জন্যই অবশ্যই একজন ফ্রিল্যান্সারের উচিত ভালো ব্যাংক নির্বাচন করা। তবে এসব কারন ছাড়া আরো অনেক কারণ রয়েছে সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করা।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ব্যাংক নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি উপযুক্ত ব্যাংক নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করা অনেক কঠিন একটি বিষয়। কেননা সব ব্যাংক সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করে না। 

একজন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ব্যাংক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিবেচ্য বিষয় রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য রেখে সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করা যায়। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সঠিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করার পূর্বে এই বিবেচ্য বিষয়গুলোকে অবশ্যই লক্ষ্য করে নিবেন।

1. দ্রুত এবং সহজ লেনদেন

একটি ব্যাংক বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে দ্রুত ও সহজ লেনদেন। লেনদেন প্রক্রিয়াকরণের সময়, লেনদেনের সহজতা, লেনদেনের লিমিট, লেনদেন ফি, রিচার্জ ফি, লেনদেন ফেইলের বা ব্যর্থতার হার ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা উচিত। বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ে তোর সাথে যেন সহজে সংযুক্ত করা যায় এদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে এছাড়াও লেনদেনের স্বচ্ছতা ও সহজ ট্র্যাকিং এর মত সুবিধাগুলো থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।  

2. ভালো কাস্টমার কেয়ার/সাপোর্ট

লেনদেন করার সময় কোন সমস্যা হওয়া থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্ট সমস্যা, টেকনিক্যাল প্রবলেম, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্রুত এবং কার্যকর কাস্টমার সাপোর্ট রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে। কেননা এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ সঠিক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে। বিভিন্ন সময়ে আপনার লেনদেনের কিংবা একাউন্টের যে কোন প্রবলেম হতে পারে কিংবা ব্যাংকের যে কোন সময় স্টেটমেন্ট নিতে হয় যে সময় আপনাকে সাপোর্টের কথা বলতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই যেন দ্রুত ও কার্যকর সমস্যা সমাধান পাওয়া যায় সাপোর্টের থেকে সেই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।  তাই ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার/ সাপোর্ট ব্যবস্থা কতটা ভালো তা বিবেচনা করা উচিত।

3. হাই ট্রানজেকশন রেট

আপনি যখন কষ্ট করে ফ্রিল্যান্সিং বৈদেশিক মুদ্রা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসেন তখন ব্যাংক দ্বারা প্রতি ডলার কিংবা অন্য কারেন্সির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কোন ব্যাংক সব থেকে বেশি পরিমাণে ট্রানজেকশন রেট প্রদান করতেছে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর ফ্রিল্যান্সাররা যখন বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসে তখন ব্যাংক কিছু পরিমাণ ফি চার্জ করে। সব সময় লক্ষ্য রাখবেন যেই ব্যাংক কম ফি চার্জ করে এবং উচ্চ ট্রানজেকশন রেট প্রদান করে সেই ব্যাংক নির্বাচন করার। এছাড়াও লেনদেনের উপর কোনো লুকানো খরচ আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে।

4. মাল্টি-কারেন্সি কার্ড

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে না। তবে কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা ইন্টারন্যাশনাল কার্ড প্রদান করে। যার ফলে যেকোনো স্থান থেকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস ক্রয় করা যায় কিংবা কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। এছাড়াও এই ধরনের কার্ডগুলো বাইরের দেশে গেলেও নানা ধরনের সুবিধা দেয়।  এছাড়াও একাধিক মুদ্রায় লেনদেন করার সুবিধা প্রদান করার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা কিছুটা পেমেন্ট সমস্যা থেকে রেহাই পায়।

5. সিকিউরিটি

অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে সিকিউরিটি খুবই জরুরি একটি বিবেচ্য বিষয়, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে। এইজন্য অবশ্যই কোন ব্যাংকের সিকিউরিটি ব্যবস্থা কতটা উন্নত তা বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেম যেমন OTP, PIN, ও EMV রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও কাস্টমারের প্রাইভেসির ক্ষেত্রে তারা কতটা শ্রদ্ধাশীল সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

6. অনলাইন ব্যাংকিং

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমটা অনেক প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিবেচ্য বিষয়।  কোন ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম কতটা ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং ব্যবহারযোগ্য তা বিবেচনা করা উচিত। কেননা একজন ফ্রিল্যান্সার সব সময় অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলো করতে পছন্দ করে। এক্ষেত্রে যদি ফ্রিল্যান্সাররা তাদের মোবাইল কিংবা অনলাইনে সাহায্য নিয়ে তাদের ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করতে পারে সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এজন্য আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হন সেক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং যুক্ত ব্যাংক একাউন্টে নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন।

7. লো সার্ভিস চার্জ

ব্যাংকের বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য ব্যাংকগুলো কতটা সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে তা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও লেনদেন ফি, রিচার্জ ফি, ATM withdrawal fee, account maintenance fee সমূহ লক্ষ্য করে নিবেন। প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যাংকগুলোর সাথে তুলনা করার চেষ্টা করবেন। কেননা বাংলাদেশে তেমন কিছু যারা সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি পরিমাণে কেটে থাকে। 

8. মিনিমাম ব্যালেন্স

ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা মিনিমাম ব্যালেন্স রাখতে হবে, মিনিমাম ব্যালেন্স না রাখার জন্য কোনো জরিমানা আছে কিনা বিবেচনা করতে হবে। কেননা অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা মিনিমাম ব্যালেন্স না রাখলে একাউন্ট ডিএক্টিভ করে দেয়। এজন্য ফ্রিল্যান্সারদের উচিত একটি ভালো ব্যাংক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মিনিমাম ব্যালেন্সের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা। 

9. প্রণোদনা

বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের ওপর ৪ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে থাকে, যা বেশিরভাগ ব্যাংক প্রদান করলেও কিছু বের হয়েছে যারা এই প্রণোদনা দেয় না। এছাড়াও অনেক ব্যাংক রয়েছে যারা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অনেক আকর্ষণীয় অফার ও রিওয়ার্ড প্রদান করে থাকে। এজন্য অবশ্যই ব্যাংক একাউন্ট নির্বাচন করার ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক প্রণোদনা প্রদান করে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা। 

10. ঋণের সুযোগ

বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কে একটি পেশা পরিচিতি দিয়েছে। ফ্রিল্যান্সাররা একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পেশা দেখিয়ে যেকোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুবিধা প্রদান করেছে। তবে বর্তমানে অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সারদেরকে পেশা হিসেবে সম্মতি দেয়নি যার কারণে তারা ফ্রিল্যান্সারদেরকে ঋণ প্রদান করে না। এজন্য আপনার যদি ঋণের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কোন ব্যাংক ঋণ প্রদান করে আর কোন ব্যাংক ঋণ প্রদান করে না সেটা বিবেচনায় রাখবেন। 

সবমিলিয়ে বলা যায়, একজন ফ্রিল্যান্সারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করার পূর্বে অবশ্যই অনেকগুলো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা আপনার উপার্জিত অর্থ আপনি যেকোনো ব্যাংকে রাখতে পারেন না অনেক বিষয়কে কেন্দ্র করে। উপরের বিষয়গুলো বিবেচনা রেখে একটি সঠিক ব্যাংক নির্বাচন করার চেষ্টা করা উচিত। 

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক একাউন্ট

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন ব্যাংক ভালো, Freelansarderder jonno shera 5 ti bank account, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক থাকার পরেও সব ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করে না। নিচে আমরা সেরা ৫টি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করতেছি যারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তুলনামূলক বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং উপরে বিবেচ্য বিষয়গুলো যথাযথ মেইনটেইন করার চেষ্টা করে।

১. Dutch Bangla Bank/ডাচ বাংলা ব্যাংক

ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংক। ফ্রিল্যান্সাররা এখান থেকে অনেক বেশি পরিমাণ সুবিধা পেয়ে থাকে। 

এছাড়াও ডাচ-বাংলা ব্যাংক খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্টের লেনদেন করে থাকে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অধিক ট্রানজেকশন রেট পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। 

এছাড়াও ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রদান করা থেকে শুরু করে ই-কমার্স লেনদেনের সুবিধা রয়েছে এই ব্যাংকে। 

তুলনামূলক বাংলাদেশের সব প্রান্তেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অথবা শাখা রয়েছে। এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। 

সবথেকে ভালো বিষয় হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক "রকেট" এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা প্রদান করে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস তুলনামূলক অনেক নমনীয় এবং ফ্রেন্ডলি। 

এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা ফ্রিল্যান্সার এদেরকে প্রণোদনা দিয়ে থাকে তবে শর্তসাপেক্ষে। 

ডাচ-বাংলা ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে:

  • ১৮ বছর বা তার বেশি
  • অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  •  জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  • ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ওয়াটার বিল ইত্যাদি। 
  • ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ের প্রমাণ (যেমন, পেমেন্ট রিসিট অথবা ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড)
  • সদ্য তোলা ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ১ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি

২. Islami Bank Bangladesh limited/ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের অন্যতম সেরা ও প্রধান শরীয়া ভিত্তিক ব্যাংক গুলোর একটি। ইসলামী ব্যাংক মূলত ইসলামি শরীয়া আইন অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। 

এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবত ফ্রিল্যান্সার এবং রেমিটেন্স যোদ্ধাদের অর্থাৎ প্রবাসীদের অর্থনৈতিক লেনদেনের সব থেকে ভরসাযোগ্য ব্যাংক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি ইন্টারন্যাশনাল যে কোন পেমেন্ট একসেপ্ট করতে পারবেন। 

এছাড়াও সারা বাংলাদেশে প্রায় ৩০০টির অধিক শাখা রয়েছে এই ব্যাংকের এছাড়াও রয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং এর মত সুবিধা। দ্রুত এবং সহজ লেনদেন সহজ করার জন্য ইসলামী ব্যাংক অনেক জনপ্রিয়। 

কাস্টমার সার্ভিসে তুলনামূলক অন্যান্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় ভালো। ট্রানজেকশন রেট মোটামুটি ভালোই পাওয়া যায় এর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট এর জন্য মাল্টি কারেন্সি কার্ড প্রদান করে থাকে। 

এছাড়াও অনলাইন ব্যাংকিং সেক্টরে রয়েছে অনেক ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন এবং Ibanking এর মত জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেম। তা সব থেকে ভালো বিষয় হচ্ছে এখানে মিনিমাম ব্যালেন্স ১০০ টাকা পর্যন্ত রাখা যায় এর পাশাপাশি সিকিউরিটি সিস্টেম তুলনামূলক ভালো। 

পেমেন্ট তোলার সময় আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং রেটিনা স্ক্যান করার মত সিকিউরিটি অপশন রয়েছে। এছাড়াও সারা বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকের অনেকগুলো এটিএম বুথ রয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার কার্ড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। 

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের উপর প্রণোদনা দিয়ে থাকে এবং ছোটখাটো ঋণ পর্যন্ত দিয়ে থাকে। 

অ্যাকাউন্ট তৈরি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

  • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি 
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র (ইউটিলিটি বিল/ওয়ার্ড সার্টিফিকেট)
  • আয়ের উৎসের প্রমাণ
  • নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র ও ২ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি। 
  • ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড (প্রয়োজন সাপেক্ষে)

৩. Bank Asia/ ব্যাংক এশিয়া

ব্যাংক এশিয়া আরেকটি উন্নতম জনপ্রিয় ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। এই ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। 

এছাড়াও ব্যাংক এশিয়া বর্তমানে নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে চুক্তি করতেছে যেন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপার্জিত অর্থ সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসতে পারে। 

ব্যাংক এশিয়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষভাবে ব্যাংকিং সলিউশন প্রদান করার চেষ্টা করতেছে। এছাড়াও ব্যাংক এশিয়া খুব সহজে ফ্রিল্যান্সারদের লেনদেন করার জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতেছে। 

এছাড়াও ব্যাংক এশিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কম লেনদেন চার্জ এবং পরিচালনার ফি গ্রহণ করে। এছাড়া ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ব্যাংকিং চ্যানেল এর মত সুবিধা অফার করে যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা খুব সহজেই করতে পারে। 

Bank Asia-এর বিশেষ সুবিধা:

স্বাধীন কার্ড: এটি একটি ডেবিট কার্ড যা ফ্রিল্যান্সাররা Upwork, Fiverr, Freelancer.com, এবং অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের আয় উইথড্রো করার এবং বিভিন্ন পেমেন্ট করার সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। 

এটি মূলত এক ধরনের মাল্টি কারেন্সি কার্ড, যার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা একাধিক মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবে। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সাররা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে তাদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবে।

Bank Asia-তে ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট তৈরি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: 

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / পাসপোর্ট
  • TIN সার্টিফিকেট (সর্বস্তরে প্রযোজ্য নয়)
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে আয়ের প্রমাণ (যদি প্রয়োজন হয়)
  • সর্বশেষ ট্যাক্স রিটার্ন (যদি থাকে)
  • পূরণকৃত অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম
  • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ইউটিলিটি বিল এর প্রমাণ

৪. United commercial bank/ ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক (UCB)

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় কমার্শিয়াল ব্যাংক। বর্তমানে ইউসিবি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতেছে। 

এছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতেছে। এই উদ্দেশ্যে UCB (ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক) ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্পেশালি "UCB স্বাধীন" নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরীর অপশন তৈরি করেছে। 

"ইউসিবি স্বাধীন" অ্যাকাউন্টটি তৈরি করা হয়েছে যেন ফ্রিল্যান্সারদের লেনদেনকে সহজ করার জন্য। এছাড়াও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

যেমন রক্ষণাবেক্ষণ ফ্রি ছাড়াই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার সুবিধা, Unet এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা, কোন মিনিমাম ব্যালেন্সের প্রয়োজন নেই, অনলাইনে যেকোনো সময় স্টেটমেন্ট নেয়ার মত সুযোগ। 

এছাড়া সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে তারা ইন্টারন্যাশনাল মাল্টি কারেন্সি কার্ড প্রদান করে যেগুলো ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পেমেন্ট উইথড্র থেকে শুরু করে পেমেন্ট এক্সেপ্ট করতে পারে। এছাড়াও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লোন সুবিধা মত অপশন রেখেছে। 

SWADHIN অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় রিকোয়ারমেন্ট:

  • ন্যূনতম বয়স: 18 বছর
  • ফ্রিল্যান্সিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম 3 মাস
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল
  • ট্রানজেকশনের প্রমাণ: পেমেন্ট রিসিপ্ট ইত্যাদি
  • KYC ডকুমেন্ট: NID, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • পূরণকৃত অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম

৫. City bank Bangladesh limited/ সিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড

সিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক গুলোর একটি। বর্তমানে সিটি ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য "সিটি ব্যাংক ফ্রিল্যান্সার সলিউশন" নামে একটি বিশেষ সুবিধা প্রদান করতেছে।  

এখান থেকে কাস্টমাররা খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর উপার্জিত অর্থ তার ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবে। 

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ডুয়েল কারেন্সি কার্ড অনলাইন ব্যাংকিং এবং দ্রুত লেনদেন সুবিধার মতো অপশন রাখা হয়েছে। 

এছাড়া সম্পূর্ণ ফ্রিতে একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তবে সিটি ব্যাংক এর লেনদেন ফি কম এবং কাস্টমার সার্ভিস তুলনামূলক অনেক ভালো। 

ফ্রিল্যান্সাররা USD, EUR, GBP, CAD, AUD, SGD এবং JPY মুদ্রায় অর্থাৎ মাল্টি কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া অন্যান্য সুবিধা দিয়ে সম্পর্কে জানতে তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। 

সিটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

  • NID কার্ড /জন্ম সনদ/পাসপোর্ট
  • গ্রহণযোগ্য ফ্রিল্যান্সার ID 
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নমিনির ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নমিনির NID কার্ড /জন্ম সনদ/পাসপোর্ট
  • ঠিকানা প্রমাণপত্র
  • E-TIN 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয় 

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য প্রথমেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যালেন্স থাকতে হবে। 

যেমন ফাইভারে নির্দিষ্ট ২০ ডলার হলে আপনি উইথড্র করতে পারবেন। আর আপনি যদি আপওয়ার্ক এ কাজ করেন তাহলে automatic payment পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১০০ ডলার রাখতে হবে, আর আপনি যদি ম্যানুয়ালি উইথড্র করতে চান তাহলে যেকোনো ব্যালেন্স হলে চলবে। 

তবে মাথায় রাখবেন, বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মেই মিনিমাম ব্যালেন্স ক্রাইটেরিয়া রয়েছে। আপনার যদি মিনিমাম ব্যালেন্স না থাকে তাহলে আপনি কখনোই আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। 

প্রত্যেকটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আলাদা আলাদা মিনিমাম ব্যালেন্সের রিকোয়ারমেন্ট দেয়া থেকে সেগুলো আপনারা দেখে নিতে পারেন। 

আপনার যদি কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে মিনিমাম উইথড্র ব্যালেন্স হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট এই ব্যবহার করে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি পেপাল, পেওনিয়ার কিংবা স্ক্রিলের মতো অনলাইন মানি ট্রানজেকশন বা পেমেন্ট গেটওয়ের সুবিধা নিতে পারেন।

সহজ ভাবে বলতে গেলে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যে টাকা উপার্জন করেছেন সেটা প্রথমে আপনাকে পেওনিয়ার কিংবা পেপাল একাউন্টে নিয়ে আসতে হবে। তারপর পেমেন্ট গেটওয়ের মিনিমাম ব্যালেন্স পূরণ করার মাধ্যমে আপনি সেগুলো ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। 

উল্লেখ্য যে, পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতে মিনিমাম অ্যামাউন্ট না থাকলে আপনি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। প্রত্যেকটি পেমেন্টের আলাদা আলাদা শর্ত থাকে। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি পেওনিয়ার এর মাধ্যমে আপনার উপার্জিত অর্থ ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে ৫০ ডলার থাকতে হবে। 

যখন আপনার পেমেন্ট গেটওয়েগুলোতে মিনিমাম ব্যালেন্স হয়ে যাবে তখন আপনি সরাসরি উইথড্র করে আপনার টাকাগুলো আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। 

তবে প্রত্যেকটি ট্রানজেকশনের জন্য আপনাকে ট্রানজেকশন ফি দিতে হবে। আর আপনি যেকোনো ব্যাংক একাউন্টের সেভিং একাউন্টে আপনার টাকাগুলো নিতে পারবেন। 

তবে উপরে যে পাঁচটি ব্যাংকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর যেকোনো একটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন সে ক্ষেত্রে ভালো ট্রানজেকশন রেট পাবেন। 

তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে পেওনিয়ার আর পেওনিয়ার থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা আসতে প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে। কখনো কখনো এর অধিক সময় লাগে আবার কখনো কখনো এর কম সময়ের মধ্যেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। 

যদি উপরের কথাগুলোকে একটু সামারি আকারে লিখি তাহলে দাঁড়ায় যে,

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (ফাইভার, আপওয়ার্ক) ➡️ পেমেন্ট গেটওয়ে (পেওনিয়ার, পেপাল) ➡️ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট 

Notice: পেপাল বর্তমানে বাংলাদেশে অনুপস্থিত যার ফলের পেপাল বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায় না। তবে পেপালের পরিবর্তে আপনি পেওনিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটা পড়ুন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে উইথড্র করা যায়

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে উইথড্র করা যায়, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে উইথড্র করা যায়

বর্তমানে, বাংলাদেশে সরাসরি কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উইথড্র করা সম্ভব নয়।
তবে, কিছু বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা আনা সম্ভব। যেমন; আপনি পেওনিয়ার মাধ্যমে টাকা জামা পরার পর পেওনিয়ার থেকে  সরাসরি "Bkash" কিংবা অন্যান্য সাপোর্টেড মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সরাসরি আপনার একাউন্টে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। কিভাবে বিকাশে পেওনিয়ার একাউন্ট যুক্ত করতে হয় এই রিলেটেড অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আমরা কিভাবে বিকাশ এবং পেওনিয়ার একাউন্টে একত্রিত করতে হয় এই বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখেছি আপনি চাইলে সেটি পড়ে নিতে পারেন। 

তবে সরাসরি কোন এমন পদ্ধতি নেই যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে উইথড্র করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা ওঠানোর জন্য বাংলাদেশের কোন ব্যাংক ভালো হবে?

ফ্রিল্যান্সিং এ টাকা উঠানোর জন্য সমস্ত ব্যাংক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আলাদা কোন কারিকুলাম রাখেনা। 

আজকের আর্টিকেলে যে আমরা পাঁচটি ব্যাংককে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সেগুলোর মধ্যে যখন একটি কে চয়েস করার চেষ্টা করবেন। এছাড়া আরো কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে চাইলে সেই ব্যাংকগুলোকেও পর্যালোচনা করতে পারেন। 

তবে যেই ব্যাংকে ব্যবহার করুন না কেন অবশ্যই এদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয় কিনা তা যাচাই করে নিবেন। এছাড়াও ওপরে যে বিবেচ্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো লক্ষ্য করে নিবেন। 

স্বাভাবিকভাবে আপনি যেকোনো ব্যাংক একাউন্টে ব্যবহার করতে পারেন যদি সেটা অনলাইনে লেনদেন করার যোগ্য হয়। আর অবশ্যই এমন কোন ব্যাংকে সিলেক্ট করবেন না যার রেপুটেশন পূর্বে থেকে খারাপ। 

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কী ধরনের ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন?

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা লেনদেন করার জন্য আপনি সাধারণত সেভিং একাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বাংলাদেশ থেকে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললে ভালো হবে?

ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং অন্যান্য যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই ব্যাংক একাউন্টে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলো লক্ষ্য করে নিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে উইথড্র করা যায়?

বেশিরভাগ ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপে টাকা উইথড্র করা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক (বিকাশ), ইসলামী ব্যাংক (iBanking, সেলফিন) এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক (রকেট) এর মোবাইল অ্যাপগুলো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

সব ব্যাংক কি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ অ্যাকাউন্ট অফার করে?

না, সব ব্যাংকই এই বিশেষ অ্যাকাউন্ট অফার করে না। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেবা দেয় এমন ব্যাংকগুলো সম্পর্কে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এ ছাড়াও আরো কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।

উপসংহার

বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার অনেক কষ্ট করে অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকেন। কিন্তু সেই টাকা নিয়ে আসার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের অনেক কষ্ট করতে হয়। 

কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সরাসরি আপনি বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। প্রথমে আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরি করতে হবে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে। অর্থাৎ আপনি যে বাংলাদেশের ব্যাংক রয়েছে সেই ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। 

তারপর পেওনিয়ারের পক্ষ থেকে আপনাকে একটি আমেরিকান ভিত্তিক একটি ব্যাংক একাউন্টে ইনফরমেশন প্রভাব করবে। যা যা আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে পেওনিয়ারে টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যবহার করবেন। তারপর আবার পেওনিয়ার থেকে সরাসরি আপনার লোকাল ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। মূলত এটি একটি অনেক লং প্রসেস।

সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশে খুব কম পরিমাণে এমন ব্যাংক রয়েছে, যারা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সরাসরি কোন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। 

তবে আজকের এই আর্টিকেল আমরা আলোচনা করেছি সেরা পাঁচটি ব্যাংক নিয়ে যা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তুলনামূলক বেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে। এছাড়া সঠিক ব্যাংক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হয় সেই সম্পর্কেও আমরা যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার সামান্য হলেও সাহায্য করবে। ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড আরও এরকম আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরি ভিজিট করুন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url