কম্পিটিটর এনালাইসিস কি? কিভাবে কম্পিটিটর এনালাইসিস করতে হয় ২০২৪

কম্পিটিটার এনালাইসিস কি এবং কিভাবে এটি করতে হয়
কম্পিটিটর এনালাইস করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো সেক্টরে। মূলত কম্পিটিটর এনালাইস করার মাধ্যমেই একটি সফল প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করা সম্ভব। যার অন্তর্গত হতে পারে এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ই-কমার্স বিজনেস। 

বর্তমানে যেহেতু সব দিকেই কম্পিটিশন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কম্পিটিশনে এনালাইস করা অবশ্যই শিখতে হবে। কিন্তু কিভাবে কম্পিটিটর এনালাইস করতে হয় সেই বিষয়ে অনেকজনেরই ভালোভাবে ধারণা নেই। মূলত এই কারণেই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কম্পিটিটর এনালাইজ সম্পর্কে সমস্ত বিষয় ক্লিয়ার করব। যেমন; কম্পিটিটর এনালাইস কি, কিভাবে কম্পিটিটর এনালাইস করবেন, কোন বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রাখা উচিত এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করব। 

আপনি যদি ব্লগিং, এসইও, রাইটিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন সেক্টরে থাকেন আর আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনারা কম্পিটিটর এনালাইস সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা পেতে পারবেন। তাহলে চলুন আজকের মুল আর্টিকেল শুরু করি।

কম্পিটিটর এনালাইসিস কি

কম্পিটিটর এনালাইসিস বলতে মূলত বুঝানো হয়ে থাকে আপনার প্রতিযোগীদের কে বিশ্লেষণ করা। ধরে নেন আপনি একটি মার্কেটে বিজনেস বা ব্লগিং কিংবা এসইও করতে চাচ্ছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রতিযোগীদের শক্তিশালী এবং দুর্বল দিকগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। মূলত আপনার কম্পিটিটর কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে তাদের ওয়েবসাইটকে সবার সামনে উপস্থাপন করতেছে, কি ধরনের কনটেন্ট প্রদান করতেছে, অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও কিভাবে করতেছে। 

এর পাশাপাশি তারা কোন কোন মার্কেটিং টেকনিক অবলম্বন করে তাদের ওয়েবসাইট কিংবা প্রোডাক্ট প্রমোশন করতেছে। মূলত এই ধরনের বিষয়গুলো যখন এনালাইস করবেন আপনার কম্পিটিটর এর বিপক্ষে তখন এটাকে কম্পিটিটর এনালাইসিস বলা হয়। একটি ব্যবসা কিংবা ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভিস প্রদান করার ক্ষেত্রে কম্পিটিটরের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ব্লগিং এবং অন পেজ এসইওর ক্ষেত্রে এটি অনেক কার্যকরী একটি মেথড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণেই কম্পিটিটর এনালাইসিস করা হয় ।

কম্পিটিটরদের এনালাইসিস করা কোনো প্রয়োজন?

কম্পিটারদেরকে এনালাইস করা বিভিন্ন কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন আমরা ব্লগিং এবং এসইও করতে যাবেন তখন এটি অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন কারণে কম্পিটিটরদেরকে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন হয়। আমি কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করতেছি যেগুলোর কারণে মূলত কম্পিটিটরদেরকে এনালাইস করা প্রয়োজন।

১. কম্পিটিটর এর দুর্বলতা এবং শক্তিশালী দিকগুলো চিহ্নিত করা: 

আপনি যখন ব্লগিং করতে আসবেন তখন অবশ্যই আপনার সমস্ত কম্পিটিটরের একটি বেসিক ধারণা থাকতে হবে। তাদের প্লাস পয়েন্ট এবং মাইনাস পয়েন্ট গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যখন কম্পিটিটরদের কে এনালাইস করে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে যাবেন, তখন কম্পিটিটরের করা ভুল গুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনাকে তাদের থেকে ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। বেশি পরিমাণে অডিয়েন্স এবং ট্রাফিক নিয়ে আসতে সাহায্য করবে আপনার ওয়েবসাইটে।

২. কিওয়ার্ড রিসার্চ: 

কিওয়ার্ড রিসার্চ করা একটি তুলনামূলক সময় সাপেক্ষ কাজ। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি যখন কম্পিটিটরদের কে এনালাইস করবেন তখন আপনি খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন ধরনের কিওয়ার্ড গুলো নিয়ে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তারা কোন ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতেছে এবং নতুন নতুন কি কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতেছে সেগুলো সম্পর্কেও আপনার একটি সার্বিক ধারণা চলে আসবে। যা আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে আরো সহযোগিতা করবে এবং আপনার প্রচুর পরিমাণে সময় অপচয় হওয়া থাকে আটকাবে। যা আপনি আপনার মেইন কাজে অতিবাহিত করার ফলে আরও ভালো ফলাফল পাবেন।

৩. কনটেন্ট কৌশল: 

তারা কোন কোন পদ্ধতি কনটেন্ট মার্কেটিং অবলম্বন করতেছে সেগুলো আপনি শিখে নিতে পারবেন। মূলত যখন আপনি কম্পিটিটর এর মার্কেটিং কৌশল জেনে নিবেন এবং তারা কিভাবে অডিয়েন্সদেরকে আকৃষ্ট করতেছে তাদের একটি বেসিক গ্রাফ পেয়ে যাবেন। তখন আপনি একই ভাবে অন্য অডিয়েন্সদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। বলতে গেলে রেডিমেট অডিয়েন্স কালেক্ট করতে সহযোগিতা করবে। 

৪. ব্যাকলিংকের অপরচুনিটি: 

আপনার কম্পিটিটররা যেভাবে ব্যাকলিন তৈরি করতেছে আপনি ঠিক একই ভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করে আপনার কম্পিটিটরদের টেক্কা দিতে পারবেন। আপনি moz, ahrefs কিংবা semrush এর মত টুলসগুলো ইউটিলাইজ করার মাধ্যমে ব্যাক লিঙ্কের সন্ধান খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কারণে কম্পিটিটরদেরকে এনালাইস করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হোক ব্লগিং, এসইও কিংবা ডিরেক্ট প্রোডাক্ট এর মত বিষয়গুলোতেও। 

কম্পিটিটরদের চেনার উপায়

এখন হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতেছে যে কিভাবে কম্পিটিটরদেরকে চিহ্নিত করব। ওয়েল, কম্পিটিটার এনালাইস করা খুবই সহজ। মূলত আপনি যেই বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেই রিলেটেড যে কোন একটি কিওয়ার্ড নিয়ে যখন সার্চ করবেন। তখন যে সার্চ রেজাল্ট গুলো আপনার সামনে কিংবা পিছনে রয়েছে, তারাই মূলত আপনার কম্পিটিটর। 

ধরে নেন আপনি যেকোনো একটি কিওয়ার্ড অর্থাৎ "best laptop in bangladesh" নিচের গুগলে সার্চ করলেন এক্ষেত্রে প্রথম পেজগুলোতে যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সবগুলোই আপনার কম্পিটিটর। এখন আপনার কাজ হল আপনার এই কম্পিটিটরদের কে নিয়ে এনালাইসিস করা। এছাড়াও আরো বিভিন্ন উপায়ে কম্পিটিটরদেরকে খুঁজে বের করা সম্ভব। 

উদাহরণস্বরূপ আপনি Keyword Research, Industry Directories এর মত অপশনগুলো থেকেও আপনার কম্পিটিটরদেরকে বের করে আনতে পারবেন। 

তবে আপনি যদি এসইও কিংবা ব্লগিং নিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনি Competitor Research Tools ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিটিটরদেরকে খুঁজে বের করতে পারবেন। 

কিভাবে কম্পিটিটার অ্যানালাইস করতে হয়

কম্পিটিটার এনালাইসিস করার মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিটিটনের শক্তিশালী দিকগুলো এবং তাদের দুর্বলতা গুলো চিহ্নিত করে তাদের থেকে আরও ভালো পজিশনে যেতে পারবেন। কম্পিটিটার এনালাইসিস করে একটি সময়সাপেক্ষ কাজ কিন্তু যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। 

বর্তমানে ব্লগিং, এসইও, কন্টেন্ট রাইটিং সহ সমস্ত স্থানে যেহেতু কম্পিটিটর এনালাইসিস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে আমি কিছু সাধারণ টিপস দিচ্ছি যা অবশ্যই আপনাদের এখন থেকে মেনে চলা উচিত। 

কম্পিটিটর এনালাইস করার জন্য আপনি নিচের দেয়া টিপস গুলো ফলো করতে পারেন:

১. টার্গেট নিস সিলেক্ট করা: 

প্রথমে আপনি কম্পিটিটর এনালাইস করার পূর্বে অবশ্যই আপনার টার্গেট নিস সিলেক্ট করে নিবেন। এতে করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজতে এবং কম্পিটিটারদের কে চিহ্নিত করতে সহজ হবে। আপনি যেই সেক্টরে কাজ করুন না কেন অবশ্যই পূর্বে টার্গেট নিস সিলেক্ট করে নিতে হবে । তারপর কম্পিটিটর এনালাইস করা শুরু করতে হবে।

২. কম্পিটিটারদের লিস্ট তৈরি করা: 

আপনি যেই সেক্টরে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই সেক্টরে আপনার প্রধান প্রতিদ্বন্দী কে হতে পারে কিংবা এই মুহূর্তে কে সবথেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে তাদের একটি লিস্ট তৈরি করে নিতে পারেন।  জনপ্রিয় এবং বেশি ভিজিট করা হয় এমন কম্পিটিটরদের প্রথমদিকে টার্গেট না করে ছোট ছোট কম্পিটিটরদের কে টার্গেট করুন। যখন আপনি ছোট কম্পিটিটারদের কে হারাতে পারবেন তারপরই বড় কম্পিটিটরদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিবেন। এতে করে সফলতার জন্য সহযোগিতা হবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। 

৩. কম্পিটিটরদের ইনকাম সোর্স এনালাইস করা: 

আপনি যেহেতু ইনকামের উদ্দেশে কম্পিটিটর এনালাইসিস করতেছেন সেক্ষেত্রে আপনার কম্পিটিটর রা কোন উপায় গুলো ব্যবহার করে ইনকাম করতেছে সেই বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে নিবেন। মূলত বাইরের দেশকে কেন্দ্র করে যদি কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার কম্পিটিটর রা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারে। আর বাংলাদেশের মতো দেশ হলে ইনকাম সোর্স হয়তো google এড* সেন্স হতে পারে। 

৪. কম্পিটিটর এর ওয়েবসাইটের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় গুলো বিশ্লেষণ করা: 

আপনার কম্পিটিটারের ওয়েবসাইটের খুবই সূক্ষ সূক্ষ্ম বিষয়গুলো কেউ ছাড়ে দিবেন না। তাদের ওয়েবসাইটগুলোকে ভালোভাবে এনালাইজ করুন তাদের কি কি ত্রুটি রয়েছে সেগুলোকে খুঁজে বের করুন। ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং ভালো এবং মন্দ উভয় দিক পর্যালোচনা করে নিবেন। 

৫. কনটেন্ট এনালাইসিস করা: 

মূলত কনটেন্ট রাইটিং এর সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হলো কম্পিটিটরের আর্টিকেল এনালাইস করা। আমি মূলত এই পদ্ধতিতেই কাজ করি এবং অন্যদেরকে সাজেশনও দেই। আপনার কম্পিটিটর এর ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলো কিভাবে লেখা হয়েছে, কত শব্দে লেখা হয়েছে, কি কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে সমস্ত কিছু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিতে হবে। 

আপনার কনটেন্টে আরো কি কি যুক্ত করলে আরো বেশি ইনফরমেটিভ হবে এবং হেল্পফুল হবে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তারপর তাদের থেকেও বড় ভালো উন্নত কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন তাদের কনটেন্টের থেকে যেন আপনার কনটেন্ট আরো হেল্পফুল এবং ইনফরমেটিভ হয়। 

৬. অন পেইজ এসইও এনালাইস করা: 

বিভিন্ন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলো দিয়ে কম্পিটিটারের কনটেন্ট গুলোর ওয়ান পেজ এসইও পর্যবেক্ষণ করে নিবেন। তাদের অন পেজ এসইওতে কি কি ধরনের ভুল রয়েছে সেগুলোকে খুঁজে বের করে সেগুলোকে আপনার কনটেন্টের মধ্যে ইউটিলাইজ করতে হবে। মেইন ফোকাস কিওয়ার্ডের পাশাপাশি কিছু LSI কীওয়ার্ডও যুক্ত করে নিবেন। আপনাদের মধ্যে যারা ব্লগার ব্যবহার করেন তারা ভালোভাবে অন পেজ এসইও ম্যানুয়ালি চেক করে নিবেন। FAQs এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের স্কিমা মার্কআপ যুক্ত করে নিতে ভুলবেন না। 

৭. কম্পিটিটরের ব্যাকলিঙ্ক খুঁজে বের করা: 

বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে আপনি আপনার কম্পিটিটারের ব্যাকলিংক গুলোকে খুঁজে বের করতে পারবেন। আপনি সেম সেই ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে অর্থাৎ কম্পিটিটর এর ব্যাকলিংক প্রদান করি ওয়েবসাইটগুলোতে গিয়ে ব্যাক লিংক তৈরি করার চেষ্টা করবেন। মূলত আমি এই মেথডে অর্থাৎ স্কাই স্কিপিং পদ্ধতির ফলো করে ব্যাকলিংক তৈরি করার প্রতি নতুনদেরকে খুব একটা পরামর্শ দেই না। কেননা এটি একটি জটিল পদ্ধতি। 

তবে আপনারা গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক গ্রহণ করতে পারেন। চেষ্টা করবেন তাদের থেকে আরও ভাল ওয়েবসাইট গুলোতে ব্যাক লিংক তৈরি করার। ব্যাক লিংক তৈরি করার সময় অবশ্যই আপনার নিস রিলেটেড ব্যাকলিংক গ্রহণ করবেন। চেষ্টা করবেন আপনার কম্পিটিটর এর থেকে বেশি ব্যাকলিংক তৈরি করার যেগুলো অবশ্যই হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। 

৮. কম্পিটিটর এর মার্কেটিং সিস্টেম এনালাইসিস করা: 

আপনার কম্পিটিটর রা কোন মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের কনটেন্ট প্রমোশন করতেছে এবং ট্রাফিক গেইন করতেছে সেগুলোকে বিশ্লেষণ করুন। তারা কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতেছে সেগুলোকে কিভাবে ইউটিলাইজ করতেছে সেগুলোকে সূক্ষ্ম ভাবে এনালাইসিস করুন। এরপর তারা কোন কোন মাধ্যম থেকে ট্রাফিক বেশি পাচ্ছে এবং ট্রাফিকের ধরন কেমন এই বিষয়গুলো কেউ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। 

৯. কম্পিটিটর এর দুর্বল দিকগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা: 

কম্পিটিটররা মূলত কোন দিকগুলো তো এখনো দুর্বল রয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করা মূলত আপনার প্রধান কাজ। তারা কোন বিষয়গুলো কি ঠিকভাবে করতে পারতেছে না কিংবা ত্রুটি রয়েছে সেগুলোকে খুঁজে বের করে সেগুলো আপনার নিজের ক্ষেত্রে ঠিক করার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি সব বিষয়ে আপনার কম্পিটিটরদের কে সব দিক থেকে হারাতে না পারলেও তাদের দুর্বল দিকগুলোকে আপনার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তাদের ভুলগুলো আপনার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পাওয়ার কার্ড হবে। তাদেরকে কম্পিটিশনে হারানোর জন্য আপনি এই পাওয়ার কার্ডগুলো ইউজ করতে পারেন।

১০. কম্পিটি্টরের থেকে ইউনিক কিছু প্রদান করুন: 

আপনি হুবহু কম্পিটিটরের মত কনটেন্ট কিংবা মার্কেটিং স্টাইল ব্যবহার করবেন না। তাদের থেকে আরও উন্নত এবং কার্যকরী কনটেন্ট এবং মার্কেটিং স্টাইল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে অডিয়েন্সরা আরো আপনার দিকে বেশি আকৃষ্ট হবে। চেষ্টা করবেন নতুন নতুন মার্কেটিং এবং কনটেন্ট স্টাইল আপনার মধ্যে নিয়ে আসতে যেন অডিয়েন্সরা সবসময় নতুন কিছু পেতে পারে। এতে করে তাদের মধ্যে একটি আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। যা আপনার কম্পিটিটরের অডিয়েন্স দের কেউ আপনার দিকে আকৃষ্ট করতে বাধ্য করবে। 

উপসংহার

বর্তমানে যেহেতু সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে অনলাইনে। এর পাশাপাশি ব্লগার এবং এসইও নিয়ে যারা কাজ করে তাদের মূলত কম্পিটিটর এনালাইস করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  বর্তমানে যদি সঠিক ভাবে কম্পিটিটরদের কে এনালাইস করা না যায় তাহলে ভবিষ্যৎ খুব একটা অগ্রসর হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। আজকে আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে কিভাবে কম্পিটিটর এনালাইস করতে হয় সেই বিষয়ে একটি সার্বিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সামান্য হলেও কিছু শিখতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এই বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন কিছু বা কিছু জানার থেকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে আমরা নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে আবার আলোচনা করব তো আজকে এই পর্যন্তই সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url