অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪

 আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার কোন অভিজ্ঞতা নেই? টেক লার্নার এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৩৬ শতাংশ ফ্রিল্যান্সার তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে কোন প্রকার পূর্বের এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের অন্যতম উপায় গুলোর একটি। তবে আমরা সবাই জানি ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে প্রথমেই স্কিল ডেভলপ করতে হয় এবং এর পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে হয়। তবে আপনার যদি কোন প্রকার এক্সপেরিয়েন্স না থাকে এবং সঠিক গাইডলাইন মেনে কাজ করতে না পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করা খুব একটা সহজ ব্যাপার হবে না।

কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন এই বিষয়ে একটি আল্টিমেট গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব। কিভাবে কোন প্রকার এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, কোন বিষয়গুলোর দিকে বেশি মনোযোগ রাখবেন এবং কিভাবে কাজ করবেন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

যেন আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটি নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেন সেই বিষয়টা ক্লিয়ার হয়। যদি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নতুন হয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার চেষ্টা করবেন এবং প্রত্যেকটি বিষয়কে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। তাহলেই আপনি পরিপূর্ণভাবে জানতে পারবেন যে কিভাবে কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন এবং এর পাশাপাশি এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নিজের একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবেন। তাহলে চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে আজকের আমাদের মেইন আর্টিকেল শুরু করি।

ধাপ 1: আপনার স্কিল নির্ধারণ করুন

যদি আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হন এবং আপনার এক্সপেরিয়েন্স না থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমেই একটি লো কম্পিটিটিভ স্কিল নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কেননা আপনার যদি কোন প্রকার অভিজ্ঞতা না থাকে এবং আপনি একটি বড় এবং কম্পিটিটিভ সেক্টরে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। 

আর আপনি যদি এমন কোন সেক্টরে কাজ করতে পারেন যেই সেক্টরে পূর্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেক্ষেত্রে সেই সেক্টরে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এখন কোন স্কিল কে ডিপেন্ড করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর ডিপেন্ড করবে। তবে আপনি এই তিনটা প্রশ্নের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই বের করতে পারবেন যে আপনার কোন বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত।

১. আপনি কী বিষয় নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী? 

২. আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে? 

৩. আপনার কোন স্পেশাল দক্ষতা আছে কি? 

আপনি যে বিষয় সম্পর্কে আগ্রহী এবং যেই বিষয় নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে চেষ্টা করবেন সেই সেক্টর নিয়ে কাজ করার। কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস প্রায় সমস্ত প্রকার কাজ পাওয়া যায়। প্রথমে ইনকামের দিকে খুব একটা ইনকামের দিকে নজর দিবেন না। শুধুমাত্র যেই বিষয় সম্পর্কে কাজ করতে আগ্রহী এবং ভালো লাগে সেই বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিন। যখন আপনি উক্ত সেক্টরে একটি ভালো অবস্থান তৈরি করতে পারবেন তখন আপনি অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করে আয় করতে পারবেন।

ধাপ 2: নিয়মিত প্র্যাকটিস করা

প্রথম দিকে যখন আপনি কোন প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং করবেন তখন আপনাকে সব থেকে বেশি মনোযোগী হতে হবে প্রাক্টিস করার দিকে। অর্থাৎ আপনি যে সেক্টর নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন সেই সেক্টরে যদি আপনার অভিজ্ঞতা নাও থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভালোভাবে স্কিল উন্নতির দিকে মনোযোগী হতে হবে। আপনি যত বেশি পরিমাণে প্র্যাকটিস করবেন আপনার স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। 

আর আপনি যদি কোন প্রকার প্রাক্টিস না করেন সেক্ষেত্রে আপনি কখনোই এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে পারবেন না। কেননা প্রাক্টিস এর মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা এবং স্কিল উন্নত হয়। প্রথমদিকে বেশি সময় ধরে প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করবেন। কমপক্ষে দৈনিক ৬-৮ ঘন্টার অধিক সময় ধরে প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার স্কিল উন্নত হবে এবং এর পাশাপাশি এক্সপেরিয়েন্সও উন্নত হবে। আপনি যদি কোন সফল ফ্রিল্যান্সারের সাথে কথা বলে দেখেন তাহলে তারা আপনাকে সবসময় সাজেস্ট করবে যে আপনি নিয়মিত বেশি পরিমাণে প্র্যাকটিস করার জন্য। 

কারণ আপনি যত পরিমানে প্র্যাকটিস করবেন তত বেশি পরিমাণে সেই সেক্টরে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এবং ধীরে ধীরে শেষ সেক্টরের ওপর এক্সপেরিয়েন্স ও তৈরি করতে পারবেন। এই জন্য অবশ্যই যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন কিংবা আপনার যদি কোন প্রকার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে নিয়মিত বেশি সময় ধরে প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই নতুন নতুন প্রবলেম এবং টেকনিক আয়ত্ত করতে পারবেন যা আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাহায্য করবে। 

ধাপ 3: রিসার্চ করার দিকে মনোযোগী হওয়া

আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে রিসার্চ করে নিতে হবে। আপনি যেই সেক্টর নিয়ে কাজ করুন না কেন সেই সেক্টর রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে কখনোই ভুলবেন না। কেননা আপনি যত পরিমাণে রিসার্চ করবেন তত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। 

আপনি প্রয়োজনে ইউটিউব, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিংবা গুগল সার্চ করে নতুন নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। আপনি যত পরিমাণে রিসার্চ করবেন তত নতুন নতুন আপডেট বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে যত আপডেটেড তার ইনকামের সম্ভাবনা ততো বেশি। 

সুতরাং আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং এ কোন প্রকার অভিজ্ঞতা না থাকে সেক্ষেত্রে প্রথম দিকে একটু ভালোভাবে রিসার্চ করে নিবেন তাহলে অনেক বিষয় সম্পর্কে আপনি অবগত হতে পারবেন। আর যখন আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে পারবেন তখন আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে আরো বিস্তারিতভাবে কাজ করতে পারবেন।

ধাপ 4: পোর্টফোলিও তৈরি করা

পোর্টফোলিও হল আপনার কাজের একটি ডেমো যেখানে আপনি আপনার যাবতীয় ইনফরমেশন এবং সাকসেস গুলো তুলে ধরতে পারেন, যা আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টকে আপনার স্কিল সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা দিবে । পোর্টফোলিও এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্কিল এবং অভিজ্ঞতাগুলো ক্লাইন্টকে শো করানোর মাধ্যমে কাজ পাওয়ার উল্লেখযোগ্য একটি উপায় হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ পাওয়ার  যখন আপনি কাজ শুরু করে দিবেন তখন আপনার নিয়মিত সাকসেসগুলোকে একটি পোর্টফোলিওর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে দিবেন। 

আর অবশ্যই পোর্টফোলিওতে আপনার সব থেকে ভালো কাজগুলো যুক্ত করে দিবেন এবং পোর্টফোলিওকে সুন্দর এবং প্রফেশনাল ভাবে ডিজাইন করার চেষ্টা করবেন। 

ধাপ 5: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যোগ দিন

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুন হন এবং আপনার কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে প্রথমদিকে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং কিভাবে ক্লাইন্টকে ম্যানেজ করতে হয় সেটা জানার জন্য আপনি একটি যেকোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। অবশ্যই এটাকে সিরিয়াস ভাবে করার চেষ্টা করবেন। 

যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে সরাসরি ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলবেন তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে তাদেরকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়, কিভাবে কাজ খুঁজে পেতে হয়। এখান থেকেই আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যে সেক্টরে কাজ করতেছেন সেই সেক্টরে একজন ক্লায়েন্টের কি কি প্রয়োজন হতে পারে এবং কোন বিষয়গুলো ভালোভাবে জানতে হতে পারে সেই বিষয়গুলোও জানতে পারবেন। 

ফাইভার, আপওয়ার্ক কিংবা ফ্রিল্যান্সার ডট কমে এর মত ওয়েবসাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই ক্লাইন্টের সাথে কিভাবে কথাবার্তা বলতে হয় সেই বিষয়টাকে ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। এভাবেই আপনি কাজ করতে করতে একসময় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন এবং কিভাবে ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করতে হয়, কিভাবে কাজ খুঁজে পেতে হয় তার একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। 

আর এখান থেকে আপনি সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। কেননা কাজ করতে করতেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন বিষয়গুলোর থেকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত আর কোন বিষয়গুলোকে ইগনোর করা উচিত।

ধাপ 6: আপনার দক্ষতা উন্নত করুন

যখন আপনি অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং করতে আসবেন তখন আপনাকে প্রতিনিয়তই আপনার স্কিলকে উন্নত করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে কাজ করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা ক্রিয়েট করবেন। নতুন নতুন টেকনিক সেখান থেকে বেশি মনোযোগী হবেন এবং কোন কাজগুলো করলে আরো ভালো ফলাফল আসতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। 

তবে আপনি দক্ষতা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোর্স বা টিউটোরিয়াল ফলো করতে পারেন। তবে আপনার যদি এরকম কোর্স করার আগ্রহ না থাকে কিংবা টাকা না থাকে তাহলে আপনি youtube থেকে আপনার সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলো দেখে নিতে পারেন। আপনার স্কিল রিলেটেড বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের সাথে যুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন এবং সেখান থেকে নতুন নতুন ইনফরমেশন কালেক্ট করার চেষ্টা করবেন। 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন আপনি কোন প্রকার experience ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করতে আসবেন সেক্ষেত্রে একজন ভালো মানের মেন্টরের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন। যিনি আপনাকে সমস্ত ধরনের গাইডলাইন প্রদান করবে এবং যেকোনো সমস্যায় সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। এতে করে কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে আপনি তার কাছ থেকেও সাহায্য নিতে পারেন। 

আর অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করবেন এতে করে নতুন নতুন জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি নতুন নতুন টেকনিক শিখতে পারবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার স্কিলকে উন্নত করতে পারেন সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।

ধাপ 7: প্রফেশনাল হন

ফ্রিল্যান্সিং এক ধরনের পেশা, এজন্য অবশ্যই কাজের মধ্যে প্রফেশনালিজম যুক্ত করার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে আপনি যখন একজন নতুন থাকবেন তখন আপনাকে অবশ্যই পেশাদারদের মতো আচরণ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি নিজেকে যত প্রফেশনাল ভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পাবে। 

আপনার দুর্বলতা গুলো কখনোই আপনার ক্লায়েন্টের সাথে উপস্থাপন করবেন না। সব বিষয়কে খুব সহজে এবং প্রফেশনাল ভাবে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ক্লাইন্ট আপনার প্রতি আরো বেশি আসক্ত হবে এবং পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকে কাজ করিয়ে নিতে আগ্রহী হবে। ফ্রিল্যান্সিং এ প্রফেশনালিজম নিয়ে আসার জন্য অবশ্যই এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখবেন;

  • ক্লায়েন্টদের সাথে কমিউনিকেশন সঠিকভাবে করার চেষ্টা করবেন। 
  • কমিউনিকেশন করার সময় সঠিক তথ্য এবং সঠিক ভাষা ব্যবহার করবেন।   
  • সময়মতো কাজ ডেলিভারি করবেন।
  • সর্বোচ্চ মানের কাজ প্রদান করার চেষ্টা করবেন।
  • সব সময় পাংচুয়াল বা দ্রুততার সাথে কাজ করার চেষ্টা করবেন কোন প্রকার ত্রুটি ছাড়া। 
  • ক্লায়েন্টদের চাহিদা পূরণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

প্রাথমিকভাবে এই কয়েকটি বিষয় কে মাথায় রাখবেন। তবে আপনি youtube থেকে আরও বিস্তারিত এই বিষয়ে জেনে নিতে পারেন। 

কিছু অতিরিক্ত প্রিমিয়াম টিপস

আপনি যখন কোন প্রকার এক্সপেরিয়েন্স ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করতে আসবেন তখন খুব দ্রুত সময়ে সফল হওয়ার জন্য এই কয়েকটি টিপস ফলো করার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি টিপসগুলো ফলো করেন তাহলে ১০০% সফল না হলেও অনেক বড় একটি সম্ভাবনা থাকবে ভালো কিছু করার। 

১. গ্রহণযোগ্য সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করা: যখন আপনি প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে আসবেন তখন অবশ্যই প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করবেন। খুব বেশি পরিমাণে চার্জ করবেন না যেন ক্লায়েন্ট কাজ করাতে অনাগ্রহী হয়। আবার খুব কম পরিমাণেও সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করবেন না যেন আপনার সার্ভিসের প্রতি বৈষম্য হয়। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য একটি মূল্য সেট করার চেষ্টা করবেন। আপনি মার্কেটপ্লেস গুলোতে রিসার্চ করার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি অ্যাভারেজ মূল্য বের করতে পারবেন আপনার সার্ভিসের জন্য। প্রয়োজনে অন্যদের থেকে আপনি ৫ থেকে ১০ ডলার কম নিতে পারেন। যখন আপনি একসময় খুব একটি ভাল পর্যায়ে চলে আসবেন তখন আপনি চাইলে সার্ভিস চার্জ বেশি করতে পারেন তবে প্রাথমিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য মূল্য রাখার চেষ্টা করবেন।

২. নিখুঁতভাবে কাজ করা: ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে রিভিউ অনেক বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি কোন একজন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করবেন তখন চেষ্টা করবেন প্রাথমিকভাবে তার কাজকে সবথেকে নিখুঁত ভাবে করার। এতে করে ক্লাইন্ট আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে এবং পজিটিভ রিভিউ প্রদান করবে যা আপনাকে পরবর্তী কাজ পেতে সাহায্য করবে। এর আরেকটি সুবিধা হল পরবর্তীতে সেই একই ক্লায়েন্ট টা আপনাকে দিয়ে কাজ করা সম্ভবনা বেশি থাকবে। আর নিজেকে যখন আপনি প্রফেশনাল ভাবে পরিচয় ঘটাবেন তখন সেটা অন্যদের কাছে আরো বেশি অ্যাটেনশন গ্রববিং হবে। 

৩. নেটওয়ার্ক স্থাপন করা: যখন আপনি অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেই রিলেটেড বড় বড় ব্যক্তিত্ব এবং যারা এই সেক্টরে ভালো পজিশনে রয়েছে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করবেন। ইউটিউবার কিংবা যারা অনেক বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং করতেছে তাদের কাছ থেকে সব সময় নতুন নতুন তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করবেন তাদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনি যত বেশি নেটওয়ার্ক স্থাপন করবেন তত বেশি সম্ভবনা থাকবে অন্যদের কাছে পরিচিত হওয়ার। আর যখন আপনি একটি ফিল্ডে পরিচিত হবেন তখন আপনার রেপুটেশন অনেক বৃদ্ধি পাবে যা আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে আরো উন্নতি প্রদান করবে।

৪. নিজেকে প্রমোট করা: আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করেন সে রিলেটেড বিভিন্ন কমিউনিটি ফোরাম কিংবা গ্রুপগুলোতে জয়েন হয়ে নিতে পারেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন নতুন নতুন আপডেট প্রদান করতে পারেন এতে করে আপনি একটি অবস্থান তৈরি করতে পারবেন সেই সেক্টরের প্রতি। আর যখন আপনি সেখানে আপনার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর লিংক প্রদান করবেন তখন সেখানে অনেক ক্লিক আসবে এবং সেখান থেকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয়, আপনি চাইলে পরবর্তীতে সরাসরি গ্রুপ থেকেও ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পারেন। ফেসবুক, লিংকডইন, রেড্ডিট প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে বর্তমানে অনেক ক্লায়েন্ট পাওয়া যায় যার অনেক বাস্তব প্রমাণ রয়েছে। 

অভিজ্ঞতা ছাড়া করা যেতে পারে এমন কয়েকটি কাজ

কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার মতো অনেকগুলো কাজ রয়েছে অনলাইনে। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার নিজস্ব কোন স্কিল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার। তবে আপনার যদি কোন প্রকার স্কিল না থাকে তাহলে নিচের দেয়া ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর গুলোকে বিবেচনা করতে পারেন।

১. কপিরাইটিং এবং ট্রান্সলেটর

যদি আপনি ভাল রাইটার হয়ে থাকেন বা অন্য ভাষায় কথা বলতে পারেন তবে আপনি কপিরাইটিং বা ট্রান্সলেশন এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এই ধরনের কাজগুলো করার জন্য বেশিরভাগ সময় কোনও নির্দিষ্ট নলেজ বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না, তবে যদি পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে এই সেক্টরে আপনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যেতে পারেন। আর আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ইউটিউব কিংবা অনলাইনে কোর্স করার মাধ্যমে এই বিষয়ে স্কিল তৈরি করতে পারেন। আর বর্তমানে অনলাইনে এই ধরনের কাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। 

২. গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং

যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ফটো এডিটিং এ আগ্রহী হন তবে আপনি এই সেক্টরগুলো নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। মূলত বেশিরভাগ সময় এই কাজগুলো করার জন্য কিছু মৌলিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়, আমরা সবাই মূলত ফটো এডিটিং এর সামান্য হলেও পারদর্শী হয়ে থাকি। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন তুলনামূলক সহজ যা ল্যাপটপ দিয়ে অনায়াসে করা সম্ভব। তবে আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে কোর্স বা টিউটোরিয়াল নিয়ে নিজেকে প্রশিক্ষিত করতে পারেন। তবে এই ধরনের কাজগুলো করতে আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। নতুন নতুন ডিজাইন এবং এডিটিং সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তবে এই কাজের চাহিদা অনলাইনে অনেক বেশি, যদি আপনি প্রপার হবে নলেজ এবং স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন সে ক্ষেত্রে এই সেক্টরে ভালো কিছু করা সম্ভাবনা থাকবে।

৩. AI স্পেশালিস্ট

২০২২ সাল থেকে পুরো বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বিপ্লব চলতেছে। বর্তমানে চ্যাট জিপিটি, google বার্ড, ক্লাউড এ সহ আরো অনেক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাপক ভূমিকা রাখতেছে অনলাইন সেক্টরে। আপনি এআই নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রিসার্চ এবং কার্যাবলীতে যুক্ত হতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে AI কনটেন্ট রাইটার, আর্টিফিশিয়াল গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট এনালাইজার, প্রম্পট ডেভলপার সহ অন্যান্য অনেক ধরনের নামিদামি কাজ যুক্ত হচ্ছে। আপনি যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে দক্ষ হন সে ক্ষেত্রে আপনি এই সেক্টরগুলোতেও অনেক ভালো একটি পজিশন ক্রিয়েট করতে পারবেন। আর ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি হবে তা বলার রাখে না। 

৪. ডেটা এন্ট্রি এবং মাইক্রোওয়ার্ক: 

যদি আপনি ডেটা এন্ট্রি বা মাইক্রোওয়ার্কের মতো কাজগুলোতে ইন্টারেস্টেড হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই সেক্টরগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এই কাজগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে সহজ কাজগুলোর অন্যতম। এজন্য আপনাকে স্পেশাল কোন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে না শুধুমাত্র বেসিক জ্ঞান এবং কম্পিউটারের জ্ঞান থাকলেই হবে। আর যদি কোন প্রয়োগ জায়গায় সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন এই সম্পর্কিত। তবে একটি প্রবলেম হল এই কাজগুলো পূর্বের তুলনায় ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে অর্থাৎ ভবিষ্যতে হয়তো এই কাজগুলোর চাহিদা খুব একটা বেশি থাকবে না। তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য এটি একটি উত্তম সেক্টর হতে পারে।

সর্বোপরি আমি আপনাকে এটাই পরামর্শ দিব যে, আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের উপর নির্ভর করে আপনি যেকোন একটি কাজকে নির্ধারণ করে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করুন। এতে করে আপনার সফলতার হার বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য নিজে নিজে প্র্যাকটিস করতে পারেন এর পাশাপাশি অনলাইনে টিউটোরিয়াল কিংবা কোর্সের মত বিষয়গুলোকে বিবেচনা করতে পারেন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

১. ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজের প্রক্রিয়া যা একজন ব্যক্তিকে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে এবং অধিক পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে।

২. ফ্রিল্যান্সিং কেন শুরু করবেন?

ফ্রিল্যান্সিং করার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো:

১. নিজের অবস্থান, সময় এবং কাজের পরিবেশ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা প্রদান করে। 

২. নিজের স্কিল মত বিভিন্ন ধরনের কাজ করার সুযোগ থাকে।

৩. বিভিন্ন ধরনের লোকের সাথে দেখা করার এবং নতুন দক্ষতা শেখার সুযোগ থাকে। 

৪. ট্রেডিশনাল জবের থেকে অধিক পরিমাণে ইনকাম করার সুযোগ থাকে।

৩. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কি কি দরকার হয়?

প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে আপনার স্কিল সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন কাজগুলো ভালো করতে পারেন? আপনার কোন বিষয়ে অধিক জ্ঞান রয়েছে এবং অন্যদেরকে সাহায্য করতে পারবেন? এছাড়াও প্রয়োজনীয় এক্সেসোরিজ যেমন ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন এবং ইংরেজি কমিউনিকেশন এর উপর জ্ঞান থাকতে হবে।

৪. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কোন পদক্ষেপগুলো ফলো করা উচিত?

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে লিখিত পদক্ষেপগুলো ধারাবাহিকভাবে ফলো করতে পারেন।

  • প্রথমেই আপনি কোন বিষয়ে সার্ভিস দিতে চান সেটা সিলেক্ট করুন অর্থাৎ আপনার দক্ষতা নির্ধারণ করুন। 
  • আপনার দক্ষতা নির্ধারণ করার পর সেই রিলেটেড একটি প্রফেশনাল পোর্টফোলিও তৈরি করুন
  • পোর্টফোলিও তৈরি হয়ে গেলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যোগ দিন
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যোগ দেয়ার পর কমমূল্যের কাজ দিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু করুন
  • যে কাজে পাবেন না কেন অবশ্যই কাজটাকে প্রফেশনাল ভাবে কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন এবং ক্লায়েন্টের সাথে কমিউনিকেশন উন্নত করুন।

৫. কোন কাজের জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন?

অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং জব রয়েছে যেগুলোর জন্য অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা না থাকলেও খুব একটা প্রবলেম হয় না। তবে অবশ্যই ভালো মানের স্কিল থাকতে হবে এই জন্য;

  1.  Writing এবং ট্রান্সলেশন
  2.  গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ফটো এডিটিং
  3.  AI স্পেশালিস্ট
  4.  লিড জেনারেশন
  5.  ডেটা এন্ট্রি এবং মাইক্রোওয়ার্ক

৬. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল মূলত এক ধরনের প্ল্যাটফর্ম যেখানে ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সাররা একত্রিত হয়ে কাজ করতে সহযোগিতা করে। বর্তমানে কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো Upwork, Fiverr, এবং Freelancer.com।

৭. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য পোর্টফোলিও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

পোর্টফোলিও হল আপনার কাজের একটি নমুনা, যেখানে আপনি আপনার যাবতীয় সেরা কাজগুলো নমুনা যুক্ত করে রাখতে পারেন। যা সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আপনার দিকে আকৃষ্ট করতে অনেক সহযোগিতা করবে।

৮. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কিভাবে নিজের প্রাইস সেট করব?

আপনার স্কিলের জন্য মূল্য সেট করার সময়, আপনার স্কিল, অভিজ্ঞতা, কাজের কোয়ালিটি এবং কাজের ধরনের মতো বিষয়গুলোকে মাথায় রাখতে হবে। আর এটা কে সহজ ভাবে নির্ধারণ করার জন্য আপনার কম্পিটিটারদের কে এনালাইস করুন। 

৯. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কিভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করব?

ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রাইম ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল। আর অবশ্যই আপনাকে আপনার সময়কে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে হবে। যাতে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের চাহিদা পূরণ করতে পারে।

১০. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য কিভাবে নেটওয়ার্ক তৈরি করব?

নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা  আপনাকে আরও কাজ খুঁজে পেতে এবং আপনার বিজনেস কে প্রচার করতে সাহায্য করবে। নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য আপনি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সম্মেলন এবং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

শেষ কথা

বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পূর্বের তুলনায় অনেক কম্পেটিভ হয়ে গেছে। যা ভবিষ্যতে হয় তো আরো বেশি পরিমাণে কম্পিটিটিভ হবে। এক্ষেত্রে যদি অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং করতে আসেন সে ক্ষেত্রে হয়তো বা আপনাকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। তবে আপনি যদি ধৈর্যশীল হন এবং আপনার ফ্রিল্যান্সিং করার ভালো ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন অভিজ্ঞতা ছাড়াও। কিভাবে অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করবেন এটা নিয়েই আজকে আমাদের মূলত আর্টিকেলটা লেখা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সামান্য হলেও উপকার প্রদান করবেন। যদি এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট জানাতে পারেন এবং এই রিলেটেড আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলো লেখা হয়েছে সেগুলো করে নিতে পারেন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url